১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস না হওয়ার প্রধান কারণ -
A
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো
B
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
C
ভারতের আপত্তি
D
চীনের অনুপস্থিতি
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি, যা বাংলাদেশের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে মোট তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই তিনবারের প্রতিটি প্রস্তাবেই ভেটো দেয়।
-
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণ করে।
-
তার পাল্টা হিসেবে ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত সোভিয়েত ইউনিয়নের ২০তম নৌবহর ৭ম নৌবহরের পিছু নেয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৪র্থ সংশোধনী
B
৭ম সংশোধনী
C
৬ষ্ঠ সংশোধনী
D
৯ম সংশোধনী
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে গৃহীত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে নবম সংশোধনী (১৯৮৯) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
নবম সংশোধনী (১৯৮৯)
-
গৃহীত: ১৯৮৯ সালের ১১ জুলাই
-
প্রধান পরিবর্তনসমূহ:
-
উপ-রাষ্ট্রপতি পদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন।
-
রাষ্ট্রপতির পদে একই ব্যক্তির দায়িত্ব পরপর দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা (প্রতি মেয়াদ ৫ বছর)।
-
শূন্যতা সৃষ্টি হলে উপ-রাষ্ট্রপতি নিয়োগের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন।
-
অন্য সংশোধনীগুলি (সংক্ষিপ্ত বিবরণ)
| সংশোধনী | সাল | মূল বিষয় |
|---|---|---|
| ১ম | ১৯৭৩, জুলাই | সংবিধানের প্রথম সংশোধনী |
| ২য় | ১৯৭৩, ২২ সেপ্টেম্বর | বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিবর্তন |
| ৩য় | ১৯৭৪, ২৩ নভেম্বর | ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন |
| ৪র্থ | ১৯৭৫, ২৫ জানুয়ারি | শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন |
| ৫ম | ১৯৭৯, ৬ এপ্রিল | সংসদীয় আইন পরিবর্তন |
| ৬ষ্ঠ | ১৯৮১, ১০ জুলাই | অন্যান্য প্রশাসনিক পরিবর্তন |
| ৭ম | ১৯৮৬, ১১ নভেম্বর | জাতীয় সংসদে সংশোধনী |
| ৮ম | ১৯৮৮, ৯ জুন | সংবিধানে পরিবর্তন |
| ৯ম | ১৯৮৯, ১১ জুলাই | উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচন |
| ১০ম | ১৯৯০, ১২ জুন | সংশোধনী বিল পাস |
| ১১তম | ১৯৯১ | বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কিত |
| ১২তম | ১৯৯১, ৬ আগস্ট | রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় সরকার পুনঃপ্রবর্তন |
| ১৩তম | ১৯৯৬, ২৬ মার্চ | নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু |
| ১৪তম | ২০০৪, ১৬ মে | সংবিধানে পরিবর্তন |
| ১৫তম | ২০১১, ৩০ জুন | উচ্চ আদালতের বিচারপতি সম্পর্কিত ক্ষমতা |
| ১৬তম | ২০১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর | বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা আইনপ্রণেতাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া |
| ১৭তম | ২০১৮, ২৯ জানুয়ারি | সর্বশেষ সংশোধনী |
উপসংহার:
নবম সংশোধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান চালু করা হয়, যা বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা ছিলেন -
Created: 3 weeks ago
A
মাদার বক্স
B
চেরাগ আলী শাহ
C
মুসা শাহ
D
বর্ণিত সবাই
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ প্রায় ৪০ বছর (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) ধরে চলেছে এবং এটি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলায় প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ আন্দোলন।
-
আদ্যাবস্থা:
-
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় সন্ন্যাসীরা প্রথম বিদ্রোহ শুরু করেন
-
১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ উত্তর বাংলায় ইংরেজ বিরোধী তৎপরতা শুরু করেন
-
-
প্রসার ও তীব্রতা:
-
১৭৭৭ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহসহ বিভিন্ন অঞ্চলে
-
সবচেয়ে তীব্র বিদ্রোহ উত্তর বঙ্গে দেখা যায়
-
-
অন্তর্ভুক্ত সংঘর্ষ ও কৌশল:
-
বিদ্রোহীরা বহু ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা হত্যা ও কোম্পানির কুঠি লুট করে
-
মজনু শাহের যুদ্ধ কৌশল ছিল গেরিলা পদ্ধতি
-
-
নেতৃত্বের পরিবর্তন:
-
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে মজনু শাহ মৃত্যুবরণ করলে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মুসা শাহ, সোবান শাহ, চেরাগ আলী শাহ, করিম শাহ, মাদার বক্স প্রমুখ ফকির
-
-
পরাজয়: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহীরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়
0
Updated: 3 weeks ago
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
Created: 1 month ago
A
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
B
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
C
ভগৎ সিং
D
মাস্টারদা সূর্য সেন
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব দেন মাস্টারদা সূর্য সেন, যিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
পূর্ণ নাম: সূর্যকুমার সেন।
-
জন্ম: ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে।
-
বিএ পড়ার সময় তিনি তাঁর শিক্ষক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন।
-
অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামে বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
-
১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে বি.এ. শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী তাঁকে বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত করেন।
-
১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে তিনি বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
-
শিক্ষকতা করার কারণে পরিচিত মহলে তাঁকে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা দেওয়া হয়।
-
সূর্য সেন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।
-
ক্রমে এই আন্দোলন চট্টগ্রাম এলাকায় বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
-
চট্টগ্রামে ফিরে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
-
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযান পরিচালনা করা হয়, যা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফল ছিল।
-
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago