বাংলায় স্বাধীন নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
আলীবর্দী খান
B
সিরাজ-উদ-দৌলা
C
মুর্শিদকুলী খান
D
সুজাউদ্দিন খান
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় নবাবী শাসনের সূচনা মুর্শিদকুলী খানের মাধ্যমে হয় এবং তিনি বঙ্গের নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
বাংলায় নবাবী শাসন:
-
মুর্শিদকুলী খান ছিলেন মুঘল সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার শেষ সুবাদা।
-
সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরে দিল্লির দুর্বল শাসনের কারণে বাংলার সুবাদারগণ প্রায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে শুরু করেন।
-
মোগল আমলের এই সময়কালকে নবাবী আমল বলা হয়।
-
নবাবদের শাসনকাল প্রায় ৫০ বছর, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
-
নবাবী শাসনের সূচনাকারী ছিলেন নবাব মুর্শিদকুলী খান।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
-
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম শাসক।
-
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ (১৩৩৮-১৩৪৯) ছিলেন বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন সংশোধনীতে "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" সংযোজিত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয় সংশোধনী
B
চতুর্থ সংশোধনী
C
অষ্টম সংশোধনী
D
দশম সংশোধনী
অষ্টম সংশোধনী সংসদে ১১ মে ১৯৮৮ তারিখে উত্থাপিত হয়, উত্থাপনকারী ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। সংসদে এটি গৃহীত হয় ৭ জুন ১৯৮৮ এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে ৯ জুন ১৯৮৮ তারিখে।
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা।
-
হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি বেঞ্চ যথাক্রমে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেট এ স্থাপন।
-
বাংলাদেশের নাগরিকরা রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশ থেকে কোনো উপাধি গ্রহণ করতে পারবে।
-
রাজধানীর নামের ইংরেজি বানান Dacca এর পরিবর্তে Dhaka, এবং বাংলা ভাষার ইংরেজি নাম Bengali এর পরিবর্তে Bangla গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গ:
-
হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে দুটি নাগরিক রীট পিটিশন দায়ের করেন—আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও জালাল উদ্দিন।
-
তাদের রীট পিটিশনের কারণে ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থগিত হয়। পরবর্তীতে এটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৬ সালে
B
১৯৯৭ সালে
C
১৯৯৮ সালে
D
১৯৯৯ সালে
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) সংক্রান্ত তথ্য:
-
দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশে সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম।
-
সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে গৃহীত আইনের মাধ্যমে পিডিবিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
পিডিবিএফ হলো একটি সংবিধিবদ্ধ, স্ব-শাসিত, অমুনাফাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
-
এর ভিত্তি ছিল আরডি-২ আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লী বিত্তহীন কর্মসূচী।
-
১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কানাডিয়ান সিডার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছিল।
-
সরকারী সেক্টরে এগুলোই প্রথম বিত্তহীন কল্যাণ প্রোগ্রাম, যা পরবর্তীতে পিডিবিএফ নামে স্বশাসিত স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়।
-
পিডিবিএফ ক্ষুদ্র ঋণ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ (SELP) পরিচালনা করে, যা গ্রামীণ বঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করে।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
আইনের প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ধর্ম
B
আইনসভা
C
প্রথা
D
বিচারকের রায়
-
রাষ্ট্র ও আইনসভা প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সমাজে প্রথা বিদ্যমান ছিল। মানুষের আচার-আচরণ ও রীতিনীতি দীর্ঘদিন ধরে পালিত হতে হতে প্রথাভিত্তিক আইনে পরিণত হয়। তাই প্রথাই আইনের প্রাচীনতম উৎস।
আইন:
-
ফার্সি ভাষায় "আইন" শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম।
-
সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানকেই আইন বলা হয়।
-
মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে, সাধারণভাবে সেগুলোকেই আইন বলা হয়।
-
আইন বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
-
আইনের উৎসসমূহ হলো: প্রথা বা রীতিনীতি, ধর্ম, বিচারকের রায়, ন্যায়বিচার, বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও আইনসভা।
-
আইনের অন্যতম প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
-
প্রাচীনকাল থেকে সমাজে অধিকাংশ মানুষের দ্বারা সমর্থিত, স্বীকৃত ও পালিত আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি ও অভ্যাসকেই প্রথা বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে কোনো লিখিত আইনের অস্তিত্ব ছিল না।
-
তখন মানুষের আচরণ প্রথা, অভ্যাস ও রীতি-নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।
-
কালক্রমে অনেক প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: পৌরনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago