কোন ঘটনার পর ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে?
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
বক্সারের যুদ্ধ
C
সিপাহী বিদ্রোহ
D
বঙ্গভঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজ সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।
সিপাহী বিদ্রোহ:
-
ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে ‘মঙ্গল পান্ডে’ নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেলখণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর এবং দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
মারাঠা নেতা নানা সাহেব, ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করেন।
সূত্র:

0
Updated: 11 hours ago
খিয়াংদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সাংসারেক
B
সাংলান
C
বৈসু
D
চাপচারকৃত
খিয়াং:
- খিয়াং পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি নৃজাতি গোষ্ঠী।আরাকান-ইয়োমা উপত্যকার অববাহিকা অঞ্চলে বসবাসরত নৃগোষ্ঠী থেকে খিয়াংদের আগমন।
- বর্তমানে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় এ জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
- খিয়াংরা চীনা-তিববতীয় ভাষাগোষ্ঠীর তিববতি-ব্রহ্ম শাখার কুকি-চীন দলভুক্ত।
- খিয়াংদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ‘সাংলান’।
- তারা বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেয়। তবে তাদের আদি দেব-দেবীদের পূজা করতেও দেখা যায়।
- বর্তমানে অনেকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে।।
- পাহাড়ের উপর খোলা জায়গায় এবং ছোট খাল বা ঝর্ণাধারার কাছে এদের গ্রামগুলি গড়ে উঠে।
- এরা ঘরকে বলে ‘ইম’ এবং গ্রামকে বলে ‘নাম’।
- খিয়াংদের সমাজব্যবস্থায় একজন নেতা থাকে যাকে বলা হয় কার্বারী।
- খিয়াংদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।

0
Updated: 1 week ago
(প্রশ্নটি তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।) ২০০৩-০৪ সনের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মোট ব্যয়-
Created: 1 month ago
A
২০,৩০০ কোটি টাকা
B
১৯,২০০ কোটি টাকা
C
১৭,১০০ কোটি টাকা
D
১৯,৫০০ কোটি টাকা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (ADP) বরাদ্দের পরিমাণ ২,৬৩,০০০ কোটি টাকা।
- এর আকার জিডিপির ৫.৩% ও বাজেটের ৩৬.৩%।
মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা — ৪,৭৮,০০০ কোটি টাকা (GDP’এর ৯.৫১%)।
এনবিআর কর্তৃক কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা — ৪,১০,০০০ কোটি টাকা (GDP’এর ৮.১৬%)।
• মোট সরকারি ব্যয়:
— ৭,১৪,৪১৮ কোটি টাকা (জিডিপির ১৪.২১%)।
— পরিচালন ব্যয় — ৪,৫৩,২২৮ কোটি টাকা,
— উন্নয়ন ব্যয় — ২,৬০,০০৭ কোটি টাকা,
— বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাবদ ব্যয় — ২,৪৫,০০০ কোটি টাকা।
— অন্যান্য ব্যয় – ১১৮৩ কোটি টাকা।
উৎস: ২০২৩-২৪ জাতীয় বাজেট।

0
Updated: 1 month ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম কোন প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়?
Created: 2 days ago
A
চারুকলা ইন্সটিটিউট
B
বাংলা একাডেমী
C
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট
D
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা সংক্রান্ত দেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
-
বাংলা একাডেমীর জন্ম হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং দেশের মুসলিম মধ্যবিত্তের জাগরণ ও আত্মপরিচয় বিকাশের প্রেরণায়।
-
১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে শহীদুল্লাহ্ মূল সভাপতির অভিভাষণে একটি একাডেমি গড়ার কথা উল্লেখ করেন।
-
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
-
দ্বিতীয়বার যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে বাংলা একাডেমীর উদ্বোধন করেন।
-
এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাস্তব রূপ পায়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago