পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কী নামে পরিচিত ছিল?
A
কৈবর্ত বিদ্রোহ
B
মাৎস্যন্যায়
C
বর্গী হানা
D
শতবর্ষের যুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে এবং শক্তিশালীরা দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালাত। এই অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
পাল বংশ:
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করত, যা বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল, একজন উচ্চবর্গীয় ব্যক্তি।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দটির অর্থ হলো অরাজক পরিস্থিতি।
-
পাল বংশের শাসনের মাধ্যমে বাংলায় অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটে।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
'e-TIN' চালু করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
২০১২ সালে
B
২০১৩ সালে
C
২০১৫ সালে
D
২০১০ সালে
ই-টিআইএন বা e-TIN হলো আয়কর নিবন্ধনের একটি আধুনিক পদ্ধতি যা করদাতাদের অনলাইনে সহজে নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ করে দেয়।
-
e-TIN এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Tax Identification Number
-
এটি আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ
-
ই-টিআইএন নম্বরটি ১২ ডিজিটের হয়ে থাকে
-
২০১৩ সালে এটি চালু করা হয়
-
করদাতারা যেন সহজে, ঘরে বসে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন সে উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে
0
Updated: 1 month ago
রবার্ট ক্লাইভ কত সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
Created: 1 month ago
A
১৭৬২ সালে
B
১৭৬৩ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৬৭ সালে
দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন এবং দেশের রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে থাকলেও, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর অর্পিত ছিল। দায়িত্ব বিভাজনের ফলে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অবাধ লুণ্ঠন এবং যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায়ের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়, এবং নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হন।
-
দ্বৈতশাসনে রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসন ও বিচার নবাবের হাতে ছিল।
-
দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা দেখা দেয়।
-
অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচারের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংস হয়।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতিতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
Created: 1 month ago
A
১.২০%
B
১.১৫%
C
১.১২%
D
১.১০%
বাংলাদেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত। এই গণনায় দেশের মোট জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, সাক্ষরতার হারসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন।
-
বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.১২%।
-
সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.৮০%।
-
তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয় CPI পদ্ধতি, আর গণনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় Modified De-fecto পদ্ধতি।
-
জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে ঢাকা বিভাগে ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি এবং বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম।
-
জেলার হিসেবে সবচেয়ে কম জনঘনত্বের অধিকারী হলো রাঙ্গামাটি জেলা।
0
Updated: 1 month ago