বাংলার কোন সুলতানের শাসনকালকে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
C
রুকনুদ্দিন বারবক শাহ
D
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকালে বাংলায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শিল্প-সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে, যার কারণে তার শাসনকালকে প্রায়শই বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ:
-
তিনি হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
-
১৪৯৩ সালে ‘আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তার সময়ে আরাকান ও চট্টগ্রাম দখল করা হয়।
-
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার ভিত্তি প্রাধান্য পেত।
-
বাংলাকে রাজদরবারের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাকে নৃপতি তিলক, জগৎভূষণ, কৃষ্ণাবতার উপাধিতে অভিহিত করা হতো।
-
তার শাসনামলকে বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ:
-
জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন লঙ্গরখানা স্থাপন ও পানির কূপ খনন করেন।
-
বহু মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং খানকাহ নির্মাণ করেন।
-
বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেবকে সম্মান এবং ধর্ম প্রচারে সুবিধা প্রদান করেন।
-
তার সময়ে বিজয়গুপ্ত পদ্মপুরাণ, মনসা মঙ্গল, বিপ্রদাস মনসা বিজয়, যশোরাজ খান শ্রীকৃষ্ণ বিজয় কাব্য রচিত হয়।
-
মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
তিনি নিজেও শ্রীকৃষ্ণ বিজয় নামে একটি কাব্য রচনা করেন।
-
রাজত্বকালে গৌড়ের ‘ছোট সোনা’ মসজিদ নির্মিত হয়।
-
দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করার পর ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি কর বহির্ভূত রাজস্ব?
Created: 4 weeks ago
A
রেলওয়ের আয়
B
ভূমি রাজস্ব
C
আয়কর
D
আমদানি শুল্ক
বাংলাদেশ সরকারের আয় প্রধানত দুটি প্রধান উৎস থেকে সংগৃহীত হয়: কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব, যা সরকারের কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়।
-
কর-বহির্ভূত রাজস্বের উৎস:
-
লভ্যাংশ ও মুনাফা
-
রেলওয়ে আয়, ডাক আয় ইত্যাদি
-
সরকারের অআর্থিক সম্পদ বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত আয়
-
সুদ ও ভাড়া
-
বিপননযোগ্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত আয়
-
প্রশাসনিক ফি
-
জরিমানা
-
দণ্ড ও বাজেয়াপ্ত অর্থ
-
কুয়াসি-কর্পোরেশনের উদ্বৃত্ত আয়
-
-
কর রাজস্বের প্রধান উৎস:
-
ভূমি রাজস্ব
-
আয়কর
-
আমদানি শুল্ক
-
0
Updated: 4 weeks ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চার ফসলি জমির পরিমাণ কত হেক্টর?
Created: 1 month ago
A
১৯,০০০ হেক্টর
B
২৩,০০০ হেক্টর
C
২৭,০০০ হেক্টর
D
৩১,০০০ হেক্টর
এই তথ্যগুলো কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২৪ (BBS) অনুযায়ী আদৌ করা হয়েছে; নিচের সংখ্যাগুলো সেই প্রতিবেদনের প্রতিলিপি — মূল তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। (BBS Portal)
-
আবাদযোগ্য নয় এমন জমি: ৮৩,৫৮,০০০ একর।
-
মোট আবাদযোগ্য জমি: ৩,৯২,৯৬,০০০ একর (১,৫৯,০৩,০০০ হেক্টর)।
-
এক ফসলি জমি: ৫০,৪৯,০০০ একর (২০,৪৪,০০০ হেক্টর)।
-
দুই ফসলি জমি: ১,০১,৪০,০০০ একর (৪১,০৫,০০০ হেক্টর)।
-
তিন ফসলি জমি: ৪৫,৯৩,০০০ একর (১৮,৫৯,০০০ হেক্টর)।
-
চার ফসলি জমি: ৪৭,০০০ একর (১৯,০০০ হেক্টর)।
তথ্যসূত্র: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২৪ (Bangladesh Bureau of Statistics) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সামারি পাতা। (BBS Portal)
(আপনি চাইলে আমি এই সংখ্যাগুলো আরও সাম্প্রতিক প্রকাশনা বা অন্য উৎস দিয়ে যাচাই করে সংক্ষেপ-টীকা যোগ করতে পারি।)
0
Updated: 1 month ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কতটি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৬টি
B
২১টি
C
২২টি
D
২৮টি
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঐকমত্যের রাজনৈতিক দলিল হিসেবে কাজ করে।
-
উদ্বোধন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
ধারা: এই ঘোষণাপত্রে মোট ২৮টি ধারা অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল বক্তব্য: ২৮ দফা ধারা অনুযায়ী, “বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে, এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।”
0
Updated: 1 month ago