ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে প্রধানত বাংলাদেশকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
A
৩টি
B
৫টি
C
৭টি
D
২টি
উত্তরের বিবরণ
ভূ-প্রকৃতি:
-
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩) সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ:
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ অঞ্চলের অন্তর্গত।
-
হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময়, টারশিয়ারি যুগে এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়।
-
এগুলো বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
-
(ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
(খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
এসব সোপান প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশই নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভূমি।
-
এখানে কিছু সংখ্যক পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত রয়েছে।
-
স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলা হয়।
-
এর মধ্যে চলনবিল, মাদারিপুর বিল ও সিলেট অঞ্চলের হাওড়সমূহ উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 9 hours ago