নিপাের্ট (NIPORT) কী ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান?
A
জনসংখ্যা গবেষণা
B
নদী গবেষণা
C
মিঠাপানি গবেষণা
D
বন্দর গবেষণা
উত্তরের বিবরণ
NIPORT হলো বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিষয়ক জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের জনসংখ্যা নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
এর পূর্ণরূপ হলো National Institute of Population Research and Training।
-
এটি ১৯৭৭ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সদর দফতর ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত।
-
নিপোর্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কোন নদী কার্পজাতীয় মাছের রেণুর প্রধান উৎস?
Created: 3 weeks ago
A
সালদা
B
হালদা
C
পদ্মা
D
কুমার
হালদা নদী বাংলাদেশের কার্পজাতীয় মাছের প্রজননের জন্য অন্যতম প্রধান উৎস। এটি দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
→ হালদা নদী সরকার ঘোষিত একটি মৎস্য অভয়াশ্রম।
→ এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে উৎপত্তি ও সমাপ্তি হয়েছে।
→ চট্টগ্রামে অবস্থিত হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র।
→ নদীটি খাগড়াছড়ির বাদনাতলী থেকে শুরু হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়।
→ সরকার এই নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
0
Updated: 3 weeks ago
ওরাওঁ জনগােষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী-দিনাজপুর
B
বরগুনা-পটুয়াখালী
C
রাঙামাটি-বান্দরবান
D
সিলেট-হবিগঞ্জ
ওরাওঁ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রধানত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
অবস্থান: ওরাওঁ জনগোষ্ঠী মূলত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরে বসবাস করে।
-
ভাষা: তারা কুঁড়ুখ ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি আদি ও কথ্য ভাষা।
-
লিপি: কুঁড়ুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
-
অতিরিক্ত ভাষা: কুঁড়ুখ ভাষার পাশাপাশি ওরাওঁ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাদরি ভাষাও প্রচলিত রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক উৎসব: ওরাওঁ সমাজের পার্বণিক উৎসবের মধ্যে প্রধান হল ফাগুয়া।
0
Updated: 1 month ago
বঙ্গভঙ্গের ফলে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
পূর্ববঙ্গ
B
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
C
পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
D
পূর্ববঙ্গ ও আসাম
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলা প্রদেশকে দুইটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ এই নতুন বিন্যাসে তৈরি হয়,
যা তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। নতুন প্রদেশের গঠন, আয়তন, জনসংখ্যা ও প্রতিক্রিয়ার বিবরণ নিম্নরূপ:
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুটি প্রদেশ তৈরি করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদাহ এবং আসাম যুক্ত করা হয়।
-
নতুন প্রদেশের নাম হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশের আয়তন দাঁড়ায় ১০৬,৫৪০ বর্গমাইল।
-
জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান।
-
নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকা এবং অনুসঙ্গী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে।
অন্য দিকে:
-
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ গঠিত হয়।
-
এর নামকরণ করা হয় বাংলা প্রদেশ।
-
বাংলা প্রদেশের রাজধানী করা হয় কলকাতা।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
-
নতুন প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তারা কার্জনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
-
উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা এর তীব্র বিরোধিতা করে।
-
কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে ওঠে।
-
অবশেষে সরকার ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে।
0
Updated: 1 month ago