পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:

0
Updated: 12 hours ago
বিসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা কোনটি?
Created: 6 days ago
A
আকিজ সিমেন্ট
B
বসুন্ধরা সিমেন্ট
C
ছাতক সিমেন্ট
D
শাহ সিমেন্ট
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড:
- বিসিআইসির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ছাতক সিমেন্ট কারখানা দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা।
- এখানে ক্লিংকার ও সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়।
⇒ ছাতক সিমেন্ট কোং লিঃ, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে অবস্থিত দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা।
- এটি ১৯৩৭ সালে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোম্পানী নামে ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত।
- ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ব্যক্তি মালিক কর্তৃক কারখনাটি পরিত্যক্ত হলে ১৯৬৬ সাল হতে এটি ইপিআইডিসি’র নিয়ন্ত্রনে আসে।
- বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমে বিএমওজিসি, পরে বিএমইডিসি এবং সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ১লা জুলাই থেকে বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য,
- সিমেন্ট উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ক্লিংকার।
- চুনাপাথর ও মাটি থেকে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম, সিলিকা, অ্যালুমিনা, আয়রন ইত্যাদিকে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে ক্লিংকার প্রস্তুত করা হয়।

0
Updated: 6 days ago
মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন?
Created: 2 days ago
A
সরাসরি ভোটে
B
রাষ্ট্রপতির নিয়োগে
C
সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে
D
নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্তে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আইন বিভাগ
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
বাংলাদেশের আইনসভা ও আইন প্রণয়ন
No subjects available.
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট একটি সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
-
অবশিষ্ট ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।
-
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন, তবে তাদের নির্বাচন হয় সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর, তবে এর আগেও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
নির্বাচনে আসন সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলের প্রধানকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪ অনুসারে, টাকার অঙ্কে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে?
Created: 6 days ago
A
ভারত
B
চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র
D
জার্মানি
দেশভিত্তিক আমদানি (বাংলাদেশ – অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী)
আমদানি রিপোর্ট
-
চীন: ১২,৫৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৫১%)
-
মালয়েশিয়া: ১,৪৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.৩৬%)
-
সিঙ্গাপুর: ১,৩৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.১৫%)
-
জাপান: ১,৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.০৫%)
-
দক্ষিণ কোরিয়া: ৭৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১.৭০%)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় চীন থেকে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় ভারত থেকে।
-
আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ অপারেটিভ ধাপ: ৬টি।
-
সর্বোচ্চ শুল্কহার: ২৫%।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪

0
Updated: 6 days ago