১৯৬৬ সালের ৬ দফার কয়টি দফা অর্থনীতি বিষয়ক ছিল?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
‘ছয় দফা’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি, যা ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক দাবির ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয়।
এই কর্মসূচি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আন্দোলনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইতিহাসে একে ‘মুক্তির সনদ’ বা ‘ম্যাগনেকার্টা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের দাবিসমূহ নিয়ে একটি সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
-
২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
-
৬ দফা দাবির ভিত্তি ছিল ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’।
ছয় দফার বিবরণ:
-
প্রথম দফা: প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
-
ষষ্ঠ দফা: আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
অর্থনৈতিক বিষয়ক দফা:
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশে মর্যাদা অনুসারে ৩য় বীরত্বসূচক খেতাব-
Created: 2 weeks ago
A
বীরপ্রতীক
B
বীরশ্রেষ্ঠ
C
বীরউত্তম
D
বীরবিক্রম
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব ও পরিসংখ্যান
-
তারিখ ও প্রেক্ষাপট: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে, সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণকারীদের সম্মান জানাতে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান শুরু করে।
-
খেতাবের ধরণ: মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক মোট ৪ ধাপে প্রদান করা হয়, মর্যাদার ক্রম অনুযায়ী:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – প্রথম ও সর্বোচ্চ মর্যাদার খেতাব
-
বীর উত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব
-
বীর বিক্রম – তৃতীয় খেতাব
-
বীর প্রতীক – চতুর্থ খেতাব
-
-
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
মোট: ৬৭৬ জন
-
-
সংশোধন: ৬ জুন ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডিত ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে। এ কারণে বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭২ জন।তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম অনারব মুসলিম দেশ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ইন্দোনেশিয়া
B
মালয়েশিয়া
C
মালদ্বীপ
D
পাকিস্তান
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইতিহাস
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো:
-
প্রথম অনারব ও আফ্রিকান দেশ:
-
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
-
প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেনেগাল স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
-
-
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া আরব দেশসমূহ:
-
ইরাক: আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৮ জুলাই ১৯৭২।
-
লেবানন: ২৮ মার্চ ১৯৭৩।
-
ইরান: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪।
-
সৌদি আরব: ১৬ আগস্ট ১৯৭৫।
-
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশসমূহ:
-
প্রথম এশিয়ার মুসলিম দেশ: মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
-
প্রথম এশিয়ার বাইরে দেশ: পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
-
প্রথম পশ্চিমা দেশ: গ্রেট ব্রিটেন (৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৪ এপ্রিল ১৯৭২।
-
দক্ষিণ আমেরিকা: ভেনিজুয়েলা (২ মে ১৯৭২)।
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
-
ব্রাজিল: ১৫ মে ১৯৭২।
-
আর্জেন্টিনা: ২৫ মে ১৯৭২।
-
উৎস: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

0
Updated: 2 weeks ago
অবস্থান অনুসারে বাংলাদেশের টারশিয়ারি পাহাড়কে কত ভাগে ভাগ করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২ ভাগে
B
৪ ভাগে
C
৫ ভাগে
D
৮ ভাগে
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি প্রধান ভাগে تقسیم করা যায়:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বতের উত্থানের সময় যে পাহাড়গুলো সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় বলা হয়।
-
এই যুগ প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
-
বাংলাদেশের টারশিয়ারি পাহাড়গুলো রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে অবস্থিত।
-
এ পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধরা হয়।
-
গঠন: বেলেপাথর, শেল ও কর্দম।
অবস্থান অনুসারে ভাগ:
-
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
ভূমির ভাগ
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়: ১২%
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপান: ৮%
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি: ৮০%
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago