'রেহেনা মরিয়ম নূর' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
A
জেরেমি চুয়া
B
আবদুল্লাহ মােহাম্মদ সাদ
C
রাজীব মহাজন
D
আজমেরী হক বাঁধন
উত্তরের বিবরণ
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন প্রতিভাবান তরুণ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
এটি ২০২১ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আন সার্তে রিগা’ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, যা দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
চলচ্চিত্রটি মূলত দৃঢ় চরিত্র ও কঠিন সিদ্ধান্তের গল্প বলেছে। জীবনে মানুষকে নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি তাকে কঠিন মূল্য দিতে হয় এবং তা জানার পরও অবিচল থাকে,
তখন তাকে দৃঢ় চরিত্রের মানুষ বলা যায়। ঠিক এমনই একজন চরিত্রের গল্প ফুটে উঠেছে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এ।

0
Updated: 12 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২৫ মার্চ ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
মুক্তিযুদ্ধকালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সার্বিক নির্দেশনা: জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (পাক সেনা, ইস্টার্ন কমান্ড)
-
সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
-
বাস্তবায়নে: ব্রিগেডিয়ার বশির, লেঃ কর্নেল হেজাজী, মেজর আসলাম, মেজর জহুর, ক্যাপ্টেন নাসের, ক্যাপ্টেন কাইউম
-
স্থানীয় সহযোগী: আলবদর ও আলশামস বাহিনী
-
আলবদর: জামাত ইসলামের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা
-
আলশামস: মুসলিম লীগ, জামায়েত ইসলামি ও উর্দুভাষী বিহারীদের সমন্বয়ে গঠিত
-
-
হত্যা সংঘটিত স্থান: ঢাকার মিরপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা
১৯৭১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়, যেখানে দেশ এই মহান বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
উৎস: উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলামতি কি?
Created: 1 month ago
A
এক প্রকার ধান
B
এক প্রকার গম
C
এক প্রকার আম
D
একটি নদীর নাম
বাংলামতি ধান
বাংলামতি হলো একটি উন্নত জাতের ধান, যা দেখতে ও গন্ধে বাসমতি ধানের মতো। এটি ব্রি ধান-৫০ নামে পরিচিত এবং বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী।
-
উদ্ভাবন করেছে: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
-
জীবনকাল: প্রায় ১৫৫ দিন
-
উৎপাদন (সেচসহ): প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬ টন
বাংলামতি ধানের বৈশিষ্ট্য:
-
গাছের উচ্চতা প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার
-
গাছ সাধারণত হেলে পড়ে না
-
চাল লম্বা, চিকন, সাদা ও সুগন্ধি
-
ভাত ঝরঝরে হয়
-
চালের প্রোটিনের পরিমাণ ৮.২%
আরও কিছু উন্নত জাতের ধান (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত)
-
ইরাটম
-
ব্রি হাইব্রিড-১
-
চান্দিনা
-
হীরা
-
মালা
-
বিপ্লব
-
দুলাভোগ
-
মোহিনী
-
সুফলা
-
আশা
-
প্রগতি
তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

0
Updated: 1 month ago
যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
Created: 3 weeks ago
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 weeks ago