বাংলাদেশে কোন সালে বয়স্ক ভাতা চালু হয়?
A
১৯৯৫
B
১৯৯৬
C
১৯৯৭
D
১৯৯৮
উত্তরের বিবরণ
বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছে। এই কর্মসূচি প্রথমবার ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে চালু হয়।
প্রাথমিকভাবে এটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিমাসে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা অর্থাৎ মোট ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনে। পরবর্তীতে দেশের সকল পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশনেও এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়।
২০১৩ সালে প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়, যেখানে মহিলাদের বয়স ৬৫ থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ করা হয়, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্তকরণ এবং একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়।
২০২৪-২৫ সালের বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন ভাতার হার নিম্নরূপ:
-
বয়স্ক ভাতা: ৬০০ টাকা মাসিক
-
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা: ৫৫০ টাকা মাসিক
-
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা: ৮৫০ টাকা মাসিক
-
অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কার্যক্রমে ভাতা: ৪০০ টাকা মাসিক
-
মাতৃত্বকালীন ভাতা (৩৬ মাস পর্যন্ত): ৮০০ টাকা মাসিক
-
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ভাতা: ১০৫০ টাকা মাসিক
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: ২০,০০০ টাকা মাসিক

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কোন খাতে প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 days ago
A
কৃষি ও বনজ
B
মৎস্য
C
শিল্প
D
স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের অবদান ও প্রবৃদ্ধির হার নিম্নরূপ:
-
শিল্প খাতের অবদান: ৩৭.৯৫% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬% (সবচেয়ে বেশি)।
-
কৃষি খাতের অবদান: ১১.০২% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%।
-
সেবা খাতের অবদান: ৫১.০৪% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপি: ২,৬৭৫ মার্কিন ডলার।
-
স্থির মূল্যে জিডিপি: ৩৩,৯৭,২৩১ কোটি টাকা।
-
স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮২%।
-
চলতি মূল্যে মোট জাতীয় আয় (GNI): ৩,০৬,১৪৪ কোটি টাকা।
-
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় (GNI): ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার।
-
মুদ্রাস্ফীতি/মূল্যস্ফীতি: ৯.৭৪%।
-
অর্থনীতির মোট খাত: ১৯টি।

0
Updated: 2 days ago
সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর যে অংশ সরকার বা কর্পোরেট গ্রুপে থাকে না, কিন্তু সকলের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে-
Created: 1 week ago
A
রাজনৈতিক দল
B
সুশীল সমাজ
C
বিচার বিভাগ
D
প্রশাসন বিভাগ
সুশীল সমাজ (Civil Society)
-
সুশীল সমাজ হলো সমাজের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের একটি অংশ, যারা সরকার বা বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন না, তবুও সমাজের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে সক্ষম।
-
এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বা সরকারের পক্ষপাতিত্বে কাজ করে না এবং নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচার করা সুশীল সমাজের কাজ নয়।
-
সুশীল সমাজ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অংশ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
-
আজকাল সুশীল সমাজ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সমাজসেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
এটি সরকারের জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
সুশীল সমাজ সরকারকে গঠনমূলক সমালোচনা করে, যার ফলে সরকার সহজেই তাদের পরামর্শ বা সুপারিশকে উপেক্ষা করতে পারে না।
-
এছাড়া, সমাজে সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা সুশীল সমাজের দায়িত্ব।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ১ম পত্র, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান-
Created: 1 week ago
A
নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
B
অনিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
C
ক্রমহ্রাসমান
D
অপরিবর্তিত থাকছে
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুসারে -
• অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান - ১১.৫০%,
• অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান - ৩৭.০৭%,
• অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতের অবদান - ৫১.৪৪%।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান:
- সেবা খাতের অবদান ৫১.২৪ শতাংশ।
- শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬ শতাংশ।
- কৃষি খাতের অবদান ১১.২০ শতাংশ।
- সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুসারে,
- অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান = ১১.০২%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান = ৩৭.৯৫%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতের অবদান= ৫১.০৮%।
সুতরাং,
দেখা যাচ্ছে যে, জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ক্রমহ্রাসমান।
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২, ২০২৩, ২০২৪।

0
Updated: 1 week ago