ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র কে ছিলেন?
A
আনিসুল হক
B
সাঈদ খােকন
C
সাদেক হােসেন খােকা
D
মােহাম্মদ হানিফ
উত্তরের বিবরণ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সঙ্গে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুতে এটি একটি সাধারণ পৌরসভা হিসেবে গঠিত হয়েছিল, পরে ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত হয়,
যা নগরবাসীর সেবা আরও কার্যকরভাবে পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসের মূল দিকগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট ঢাকা পৌরসভা স্থাপিত হয়।
-
১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা নগরীকে ৫০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ঢাকা পৌরসভা গঠন করা হয়।
-
১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
-
১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এ উন্নীত করা হয় এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে অভিহিত করা হয়।
-
১৯৯০ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম পরিবর্তন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন রাখা হয়।
-
প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, যেখানে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ।
-
নগরবাসীর সেবা সহজলভ্য করার জন্য ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার সংশোধনী বিল ২০১১ অনুযায়ী সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
-
এই আইন অনুযায়ী ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
-
ফলস্বরূপ, ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে পৃথক দুটি সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম শুরু করে।

0
Updated: 13 hours ago
বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
Created: 3 weeks ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান – প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী
-
কামরুল হাসান ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, যিনি ‘পটুয়া’ নামেও পরিচিত।
-
১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৯৬০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপাদান হলো: নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ এবং প্রকৃতি।
-
শিল্পকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন, যেমন: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)।
কামরুল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম ও অবদান:
-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম: ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’। এগুলোর উপর ভিত্তি করে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার এবং জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকারী।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুবই জনপ্রিয়।
-
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার বিখ্যাত ‘বলাকা’ লোগো ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 weeks ago
পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন মেয়াদে হবে?
Created: 3 weeks ago
A
২০১৫-২০১৯
B
২০১৬-২০২০
C
২০১৭-২০২১
D
২০১৮-২০২২
সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
বাংলাদেশে পরিকল্পনা কমিশন এ পর্যন্ত মোট ৮টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭টি পরিকল্পনা শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২৫) কার্যকর রয়েছে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদকালসমূহ
-
১ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৭৩-১৯৭৮
-
২য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮০-১৯৮৫
-
৩য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮৫-১৯৯০
-
৪র্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯০-১৯৯৫
-
৫ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯৭-২০০২
-
৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১১-২০১৫
-
৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১৬-২০২০
-
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০২০-২০২৫ (চলমান)
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (জুলাই ২০২০ – জুন ২০২৫) মূল লক্ষ্যসমূহ
-
বাস্তবায়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা
-
মোট বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে: ৩৭.৪%
-
বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য: ৮.৫১%
-
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ
-
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: ৪.৬%
-
গড় আয়ু বৃদ্ধি: ৭৪ বছর
-
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা: ৩০ হাজার মেগাওয়াট
-
দারিদ্র্যের হার: ১৫.৬%
-
চরম দারিদ্র্যের হার: ৭.৪%
দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা হবে।
উৎস: পরিকল্পনা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

0
Updated: 3 weeks ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 week ago
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago