বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হলেন-
A
আইনমন্ত্রী
B
আইন সচিব
C
অ্যাটর্নি জেনারেল
D
প্রধান বিচারপতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হচ্ছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, যিনি রাষ্ট্রের আইনগত বিষয়গুলোতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। সংবিধানের ৬৪ নং অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ ও কর্তব্য সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
-
নিয়োগ: সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য যে কোনও ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দিতে পারেন।
-
দায়িত্ব: অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
-
আইনি বক্তব্য: অ্যাটর্নি জেনারেলকে বাংলাদেশের সকল আদালতে রাষ্ট্রের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করার অধিকার রয়েছে।
-
পদে স্থায়িত্ব ও পারিশ্রমিক: রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকবেন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক গ্রহণ করবেন।
0
Updated: 1 month ago
বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় স্থলবন্দর-
Created: 2 months ago
A
পেট্রাপোল
B
কৃষ্ণনগর
C
ডাউকি
D
মোহাদিপুর
বেনাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দর
বেনাপোল স্থলবন্দর:
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর।
-
অবস্থিত যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্তে।
-
বিস্তৃত এলাকা: ৮৬.৬৮ একর।
-
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর এর সঙ্গে সংযুক্ত।
-
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মহত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কেন্দ্র।
-
দেশের স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এই বন্দরের মাধ্যমে হয়।
-
এছাড়া, তল্লাশী ও আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও সংলগ্ন ভারতের বন্দর:
| বাংলাদেশের বন্দর | অবস্থান | সংলগ্ন ভারতীয় বন্দর |
|---|---|---|
| দর্শনা | চুয়াডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ) |
| তামাবিল | সিলেট | ডাউকি (মেঘালয়) |
| সোনা মসজিদ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মোহাদিপুর (পশ্চিমবঙ্গ) |
বিভিন্ন স্থলবন্দর ও তাদের অবস্থান:
-
বেনাপোল: শার্শা, যশোর
-
বুড়িমারী: পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
-
আখাউড়া: আখাউড়া, বাহ্মনবাড়িয়া
-
নাকুগাঁও: নালিতাবাড়ী, শেরপুর
-
তামাবিল: গোয়াইনঘাট, সিলেট
-
সোনাহাট: ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
-
দর্শনা: দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা
-
বিলোনিয়া: বিলোনিয়া, ফেনী
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
যুক্তরাজ্য
B
পূর্ব জার্মানি
C
স্পেন
D
গ্রিস
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত।
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন বুলগেরিয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১২ জানুয়ারি ১৯৭২: পোল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়।
-
১২ মে ১৯৭২: স্পেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, নিউইয়র্ক টাইমস
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে রোপা আমন ধান কাটা হয়-
Created: 2 months ago
A
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
B
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
C
অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
D
মাঘ-ফাল্গুন
বাংলাদেশে ধানের মৌসুমভিত্তিক চাষ ও কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আমন ধান
-
আমন ধান দুই প্রকার – রোপা আমন ও বোনা আমন।
-
রোপা আমন হলো সেই ধান, যেখানে আগে আলাদা জমিতে চারা তৈরি করা হয়, পরে তা মূল জমিতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন করা হয়।
-
রোপা আমনের বীজ বপন করা হয় আষাঢ় মাসে, আর মূল জমিতে চারা রোপণ হয় শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে।
-
সাধারণত রোপা আমন ধান কাটা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে (ডিসেম্বর – জানুয়ারির শুরুতে)।
আউশ ধান
-
আউশ ধান রোপণ করা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিলের মধ্যে।
-
এটি কাটা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
বোরো ধান
-
বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে।
-
এটি উত্তোলন করা হয় এপ্রিল থেকে মে মাসে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে বছরে মূলত তিন মৌসুমে ধান চাষ হয় – আউশ, আমন ও বোরো।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস ওয়েবসাইট; কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২১ (বিবিএস)।
0
Updated: 2 months ago