[তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন। বর্তমানে গুরুত্বহীন।] কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদনে সম্প্রতি চীনের সাথে বাংলাদেশের কোন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
A
বেক্সিমকো
B
স্কয়ার
C
ইনসেপটা
D
এক্মি
উত্তরের বিবরণ
২০২১ সালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ঢাকায় একটি ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশটিতে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার কাঠামো নির্ধারণ করা হয়।
-
চুক্তির পক্ষসমূহ: চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান, চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও চায়না সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন, এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে।
-
উৎপাদন প্রক্রিয়া: চীনের প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাঁচামাল ও উপকরণ বা 'সেমি-ফিনিশড' বাল্ক আনা হবে।
-
দেশীয় প্রক্রিয়াকরণ: আনা উপকরণকে দেশে বোতলজাতকরণ, লেবেলিং ও ফিনিশিং করা হবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে।
-
সরকারের ক্রয় নীতি: উৎপাদনের পর, সরকার চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যে ইনসেপ্টা থেকে ভ্যাকসিন কিনবে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম
B
সিলেট
C
পঞ্চগড়
D
মৌলভীবাজার
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষের সূচনা হয় ১৮৫৪ সালে, যখন সিলেটের মালিনীছড়ায় প্রথম চা বাগান গড়ে ওঠে। বর্তমানে, বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনে মোট ১৬৭টি চা বাগান ও টি এস্টেট পরিচালিত হচ্ছে।
-
মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে, এখানে মোট ৯১টি চা বাগান আছে।
-
অন্যান্য জেলার চা বাগানের সংখ্যা:
-
হবিগঞ্জ: ২৫টি
-
চট্টগ্রাম: ২১টি
-
সিলেট: ১৯টি
-
পঞ্চগড়: ৮টি
-
রাঙামাটি: ২টি
-
ঠাকুরগাঁও: ১টি
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুযায়ী গড় সাক্ষরতার হার-
Created: 2 months ago
A
৬১.১%
B
৫৭.৯%
C
৫৬.৮%
D
৬৫.৫%
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুসারে দেশের গড় সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৫৭.৯%।
কিন্তু পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী:
-
৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগণের গড় সাক্ষরতার হার দাঁড়ায় ৭৬.৪%।
-
এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৮.৬% এবং মহিলার সাক্ষরতার হার ৭৪.২%।
অন্যদিকে, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত রিপোর্টে পাওয়া তথ্য হলো—
-
মোট সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%
-
পুরুষ সাক্ষরতার হার: ৭৬.৭১%
-
নারী সাক্ষরতার হার: ৭২.৯৪%
-
বিভাগভিত্তিক হিসেবে সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার ঢাকা বিভাগে, আর সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ বিভাগে।
-
জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার পিরোজপুরে, আর সর্বনিম্ন জামালপুরে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ এবং জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ (চূড়ান্ত রিপোর্ট)।
0
Updated: 2 months ago
(তৎকালীন সাম্প্রতিক তথ্যের প্রশ্ন। বর্তমানে অপ্রয়োজনীয়) বাংলাদেশের কোন ছবি সম্প্রতি 'কোলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল' পুরস্কার লাভ করে?
Created: 2 months ago
A
ওরা এগার জন
B
গেরিলা
C
আবার তোরা মানুষ হ
D
স্টপ জেনোসাইড
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
ওরা ১১ জন:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন'।
- এর পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।
- প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল।
- এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, এ টি এম শামসুজ্জামান, খলিল উল্লাহ প্রমুখ।
- সিনেমায় অভিনয় করা ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার ১০ জনই সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
- তাঁদের মধ্যে আছেন খসরু, মুরাদ, হেলাল, নান্টু।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্ররা ১১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করে।
- এখান থেকে ছবির নামকরণ হয়েছে ‘ওরা ১১ জন'।
গেরিলা চলচ্চিত্র:
- গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।
- নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত।
- সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
- যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও এবাদুর রহমান।
- এটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার' পেয়েছে।
আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩):
- চলচ্চিত্রটির পরিচালক খান আতাউর রহমান।
- এ চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র উঠে এসেছে।
- বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিলসহ অনেকে।
- এখানে আছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা।
Stop Genocide:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র Stop Genocide.
- Stop Genocide নির্মাণ করেন জহির রায়হান।
- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের মে/জুন মাসে এটি প্রথম কলকাতায় প্রদর্শিত হয়।
- মূলত বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া স্টক ফুটেজ ও নিউজ রিলের ছবির ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয় স্টপ জেনোসাইড।
- একজন চলচ্চিত্র-নির্মাতা হিসেবে জহির রায়হান দুনিয়ার মানুষকে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার খবর জানান দেওয়ার এক বড় দায়িত্ব কাঁধে নেন।
- বিভিন্ন জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রসঙ্গে লেনিনের একটি বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় ছবিটি।
- ২০ মিনিটের এই ছবিতে বাংলাদেশের মানুষ আছে, এর প্রকৃতি আছে, আছে পাকিস্তানিদের অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের দৃশ্য।
উৎস: প্রথম আলো।
0
Updated: 2 months ago