মুজিবনগর সরকারের অর্থনীতি বিষয়ক ও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে কে ছিলেন?
A
তাজউদ্দিন আহমদ
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
এম. মনসুর আলী
D
এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
উত্তরের বিবরণ
মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় গঠিত একটি সরকারী ব্যবস্থা, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশের রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এই সরকারের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং শত্রু দমন ও মুক্তিসংগ্রামের সমন্বয় সাধন করা হতো।
মুজিবনগর সরকারের মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল।
-
শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
-
সরকার ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার।
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে বন্দী থাকার সময় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করেন।
মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো:
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: রাষ্ট্রপতি।
-
সৈয়দ নজরুল ইসলাম: উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।
-
তাজউদ্দীন আহমদ: প্রধানমন্ত্রী; পাশাপাশি প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ এবং অন্যান্য বাকি বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
-
খন্দকার মোশতাক আহমদ: মন্ত্রী, পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
-
এম মনসুর আলী: মন্ত্রী, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
-
এ এইচ এম কামরুজ্জামান: মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়।
0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পূনর্বাসণ মন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
এ এইচ এম কামরুজ্জামান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
D
খন্দকার মোশতাক আহমদ
মুক্তিযুদ্ধকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার, মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এটি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় এবং শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর ছিল স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী, আর সচিবালয়/সদরদপ্তর স্থাপিত ছিল কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভা:
-
রাষ্ট্রপতি: শেখ মুজিবুর রহমান
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ
-
পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ
-
অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
-
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান
-
প্রধান সেনাপতি: কর্নেল (অব.) এম. এ. জি. ওসমানী
-
চিফ অব স্টাফ: লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রব
-
ডেপুটি চিফ অব স্টাফ: গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্ব:
-
শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গঠন করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
-
এই সরকার গঠনের পর অগণিত মানুষ দেশের মুক্তির জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত হন।
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
তাজউদ্দিন আহমেদ
B
এ এইচ এম কামরুজ্জামান
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
এম মনসুর আলী
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সাংগঠনিক রূপ দিতে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার বা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এটি ১০ এপ্রিল গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নেতৃত্ব প্রদান করে।
-
রাষ্ট্রপতি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
-
উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম
-
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহমেদ
-
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী : এ এইচ এম কামরুজ্জামান
-
অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী : এম মনসুর আলী
-
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী : খন্দকার মুশতাক আহমেদ
0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার নেতৃত্ব দেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
মোহাম্মদ সোলায়মান
B
আব্দুল খালেক
C
মাহবুব উদ্দিন আহমেদ
D
শৈলেন্দ্র কিশোর চৌধুরী
মুজিবনগর সরকারকে Guard of Honour প্রদানকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালে ঝিনাইদহ মহকুমার পুলিশ প্রধান এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুজিবনগর সরকার গঠন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
-
এদিন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠান, যা পরবর্তীতে “মুজিবনগর সরকার” নামে পরিচিত হয়।
-
এই সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
-
এর আগে ১০ এপ্রিল, দেশের নাম রাখা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি মন্ত্রীসভা ঘোষণা করা হয়।
-
মেহেরপুর মহকুমা পরবর্তীতে জেলা হিসেবে উন্নীত হয় এবং বৈদ্যনাথতলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুজিবনগর।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী, আর সরকারের সচিবালয় বা সদর দপ্তর ছিল কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভা ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
-
উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ
-
অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী: ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
-
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী: আবুল হাসনাত মুহাম্মদ কামারুজ্জামান
-
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ
মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য:
-
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ.
-
মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন গণপরিষদের আওয়ামী লীগ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ.
-
ভারপ্রাপ্ত ও উপররাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ-এর নেতৃত্বে আনসার, পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ সদস্যের একটি দল।
-
শপথ অনুষ্ঠানে শতাধিক ভারতীয় ও বিদেশি সাংবাদিক ও প্রচারমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতির প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago