A
রাজশাহী
B
নওগাঁ
C
বগুড়া
D
নাটোর
উত্তরের বিবরণ
নাটোর জেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হলো উত্তরা গণভবন, যা একসময় দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী হিসেবে পরিচিত ছিল। এই রাজবাড়ীর ইতিহাস ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বাংলার প্রভাবশালী জমিদার বংশ ও রাজনীতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে।
১৮শ শতকে নাটোরের খ্যাতনামা রাণী ভবানী তাঁর বিশ্বস্ত নায়েব দয়ারামের সেবা ও দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। এরই সূত্র ধরে দিঘাপতিয়ায় গড়ে ওঠে রাজবাড়ী, যা দীর্ঘদিন রাজা-রানীদের বাসস্থান ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৯৫২ সালে, দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভানাথ রায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে তাঁর পরিবারসহ কলকাতায় পাড়ি জমান এবং রাজবাড়ীটি পরিত্যক্ত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালে, রাজবাড়ীটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটিকে 'উত্তরা গণভবন' নামে পুনঃনামকরণ করেন। বর্তমানে এটি ৪১.৫১ একর জমির ওপর বিস্তৃত, যেখানে রয়েছে চমৎকার স্থাপত্যশৈলী ও মনোরম উদ্যান।
বর্তমানে সরকার এই ঐতিহাসিক ভবনটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে রাজা-রানীদের ব্যবহৃত হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্রব্যসামগ্রীর সংরক্ষণে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তরা গণভবন শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক ভবন নয়, বরং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও পরিগণিত হচ্ছে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago