আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম কী ছিল?
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
গীতা
D
বেদ
উত্তরের বিবরণ
ভারতে সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর একটি নতুন জাতি প্রবেশ করে, যারা ইতিহাসে আর্য নামে পরিচিত। এরা বেদের ধর্ম অনুসরণ করতো এবং ধর্মের নিয়ম-কানুন নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতো।
বেদের অনুসারী এই আর্যরা ভারতে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তোলে, যা ইতিহাসে আর্য সভ্যতা বা বৈদিক সভ্যতা নামে পরিচিত। বেদ কেবল ধর্মগ্রন্থই নয়, এতে সাহিত্যিক গুণাবলীরও পরিচয় মেলে। আর্য সভ্যতা ভারতবর্ষে উন্নত সাহিত্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জীবনের নতুন ধারণা ও প্রথার সূচনা করে।
এছাড়া, এই সভ্যতা ভারতকে ধাতু যুগের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বেদের অপরনাম শ্রুতি, কারণ বেদ লিপিবদ্ধ হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের স্মৃতিতে সংরক্ষিত ছিল।
-
সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর ভারতে প্রবেশ করে আর্য জাতি
-
ইতিহাসে এদের নাম আর্য
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: বেদ
-
ধর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতো আর্যরা
-
বেদের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলে আর্য সভ্যতা / বৈদিক সভ্যতা
-
বেদ কেবল ধর্মগ্রন্থ নয়, এতে সাহিত্যিক মূল্যও ছিল
-
আর্য সভ্যতা বৈদিক সাহিত্য জন্ম দেয়
-
সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে নতুন ধারণা সৃষ্টি করে
-
ভারতকে ধাতু যুগের সঙ্গে পরিচয় করায়
-
বেদের অপরনাম শ্রুতি, দীর্ঘ সময় মানুষের স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকায়
0
Updated: 1 month ago
‘ম্যানিলা’ কোন ফসলের উন্নত জাত?
Created: 1 month ago
A
তুলা
B
তামাক
C
পেয়ারা
D
তরমুজ
বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যা অধিক ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী এবং কৃষকদের জন্য লাভজনক। এসব জাত দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
ইরাটম, চান্দিনা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, সুফলা: উন্নত জাতের ধান
-
সোনালিকা ও আকবর: উন্নত জাতের গম
-
সুমাত্রা ও ম্যানিলা: উন্নত জাতের তামাক
-
বর্ণালী, শুভ্রা ও উত্তরণ: উন্নত জাতের ভুট্টা
-
মহানন্দা, ল্যাংড়া ও মােহনভােগ: উন্নত জাতের আম
-
বাহার: উন্নত জাতের টমেটো
-
যমুনা: উন্নত জাতের মরিচ
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি কে উত্থাপন করেন?
Created: 2 months ago
A
আব্দুল মতিন
B
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
C
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি
পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন কুমিল্লার সন্তান।
-
তারিখ ও ঘটনা: ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথমবার গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
-
প্রস্তাবের কারণ: তিনি সরকারি কাগজপত্রে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, যেখানে বাংলার ব্যবহার নেই।
-
ভাষার গুরুত্ব: সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
পটভূমি: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতারা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে বাংলার সংখ্যা ও প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করা হচ্ছিল।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
0
Updated: 2 months ago
'জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মন্ত্রিসভায় কত তারিখে অনুমোদন করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
২ মার্চ, ২০২২
B
৩ মার্চ, ২০২২
C
৪ মার্চ, ২০২২
D
৫ মার্চ, ২০২২
‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ঘিরে জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নিচে বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে সাজানো হলো—
-
২ মার্চ, ২০২২ তারিখে মন্ত্রিসভায় ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
-
এর আগে ১০ মার্চ, ২০২০ তারিখে হাইকোর্ট এক রায়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় সরকার এটি অনুমোদন করে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়—
-
‘জয় বাংলা’ হবে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান।
-
দেশের সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং দেশে-বিদেশে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব জাতীয় দিবসের কর্মসূচি ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করবেন।
-
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশের শেষে এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্য সমাপ্তির পর শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।
0
Updated: 3 weeks ago