বাংলাদেশ সরকার কোন খাত থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে?
A
আয়কর
B
ভূমিকর
C
আমদানি-রপ্তানি শুল্ক
D
মূল্য সংযােজন কর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসগুলো বিভিন্ন ধরনের কর ও শুল্কের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। এই আয় সরকারকে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনসেবায় ব্যবহার করতে সহায়তা করে। প্রধান বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
-
মূ্ল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হলো বাংলাদেশের সরকারের আয়ের সবচেয়ে বড় খাত।
-
বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাট (VAT – Value Added Tax) চালু হয় ১ জুলাই, ১৯৯১ সালে।
-
ভ্যাট বা মূসক একটি পরোক্ষ কর, যা পণ্য ও সেবার ক্রয়ের সময় গ্রাহক থেকে আদায় করা হয়।
-
ভ্যাট থেকে সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় সংগৃহীত হয়।
-
দ্বিতীয় প্রধান রাজস্ব উৎস হলো আয়কর, যা সরাসরি নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের আয় থেকে আদায় করা হয়।
-
তৃতীয় প্রধান উৎস হলো সম্পূরক শুল্ক।
-
চতুর্থ প্রধান উৎস হলো আমদানি শুল্ক, যা বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় -
Created: 2 months ago
A
আউশ ধান
B
আমন ধান
C
বোরো ধান
D
ইরি ধান
বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন পরিসংখ্যান (২০২৩)
বাংলাদেশে ধান প্রধান খাদ্যশস্য, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বোরো ধান। কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৩ অনুযায়ী ধানের আবাদ ও উৎপাদনের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
মোট ধান
-
উৎপাদন: ৩৯০.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ২৮৭.৫৪ লক্ষ একর
-
-
বোরো ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ২০৭.৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ১১৯.৮৯ লক্ষ একর
-
-
আউশ ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ২৯.০১ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ২৬.২২ লক্ষ একর
-
-
আমন ধান (স্থানীয় + অন্যান্য)
-
উৎপাদন: ১৫৪.২৬ লক্ষ মেট্রিক টন
-
আবাদকৃত জমি: ১৪১.৪৩ লক্ষ একর
-
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২৩
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে কোনটি ব্যাংক নােট নয়?
Created: 1 month ago
A
২ টাকা
B
১০ টাকা
C
৫০ টাকা
D
১০০ টাকা
বাংলাদেশে সরকারি ও ব্যাংক নোটের বিষয়টি দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। সরকারি নোট এবং ব্যাংক নোটের মধ্যে পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
-
প্রচলিত সরকারি নোট:
-
বাংলাদেশের ১, ২ ও ৫ টাকার নোট সরকারি নোট হিসেবে প্রচলিত।
-
এসব নোট অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা ইস্যু করা হয়।
-
নোটগুলিতে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে।
-
-
বাংলাদেশ ব্যাংক নোট:
-
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইস্যু করা নোটগুলোকে ব্যাংক নোট বলা হয়।
-
এসব নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।
-
বর্তমানে দেশে সাতটি ব্যাংক নোট প্রচলিত রয়েছে।
-
প্রচলিত নোটগুলো হলো: ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট।
-
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
আনিসুল হক
B
সাঈদ খােকন
C
সাদেক হােসেন খােকা
D
মােহাম্মদ হানিফ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সঙ্গে ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুতে এটি একটি সাধারণ পৌরসভা হিসেবে গঠিত হয়েছিল, পরে ধীরে ধীরে একটি পূর্ণাঙ্গ সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত হয়,
যা নগরবাসীর সেবা আরও কার্যকরভাবে পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসের মূল দিকগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট ঢাকা পৌরসভা স্থাপিত হয়।
-
১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা নগরীকে ৫০টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে ঢাকা পৌরসভা গঠন করা হয়।
-
১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
-
১৯৭৮ সালে ঢাকা পৌরসভাকে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এ উন্নীত করা হয় এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে অভিহিত করা হয়।
-
১৯৯০ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম পরিবর্তন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন রাখা হয়।
-
প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, যেখানে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ।
-
নগরবাসীর সেবা সহজলভ্য করার জন্য ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার সংশোধনী বিল ২০১১ অনুযায়ী সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
-
এই আইন অনুযায়ী ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
-
ফলস্বরূপ, ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে পৃথক দুটি সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম শুরু করে।
0
Updated: 1 month ago