বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
A
হাশেম খান
B
এ.কে.এম আব্দুর রউফ
C
আবুল বারক আলভী
D
সমরজিৎ রায় চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম হাতে লেখা সংবিধান, যা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল এবং যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০৯। সংবিধানের হস্তলিপির কাজ সম্পন্ন করেন এ কে এম আবদুর রউফ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা আছে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। এছাড়া, সংবিধানের অঙ্গসজ্জার কার্যক্রমের মূল তত্ত্বাবধান করেন শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন।
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
প্রথম হাতে লেখা সংবিধান: গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
-
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯
-
হস্তলিপি প্রস্তুতকারী: এ কে এম আবদুর রউফ
-
প্রচ্ছদে লেখা: "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"
-
অঙ্গসজ্জার তত্ত্বাবধায়ক: জয়নাল আবেদীন
0
Updated: 1 month ago
সংবিধান অনুযায়ী 'আমার সোনার বাংলা'র কত চরণ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত?
Created: 2 months ago
A
প্রথম ৪ চরণ
B
প্রথম ৮ চরণ
C
প্রথম ১০ চরণ
D
সম্পূর্ণটি
সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়।
-
সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায় আছে ১১টি।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।
অনুচ্ছেদ ০৪: জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত: "আমার সোনার বাংলা" এর প্রথম দশ চরণ।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক:
-
উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত,
-
পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা,
-
শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর-সংযুক্ত পত্র,
-
উভয় পার্শ্বে দুইটি করে তারকা।
-
-
উপরোক্ত দফাসমূহ-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে ১৯৭২ সালের কোন তারিখে উত্থাপিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১১ নভেম্বর
B
১২ অক্টোবর
C
১৬ ডিসেম্বর
D
৩ মার্চ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কাঠামো গঠনের জন্য গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান রচিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিন ও ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন পরিষদের সামনে সব প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
-
শুধুমাত্র ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন যোগাযোগমন্ত্রী এম মনসুর আলী।
-
একই দিনে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭২ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এতে স্বাক্ষর করেননি।
-
সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে কোন তফসিলের অপব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৪র্থ তফসিল
B
৫ম তফসিল
C
৬ষ্ঠ তফসিল
D
৭ম তফসিল
বাংলাদেশে ৪র্থ তফসিল ও সামরিক শাসন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের আইনের কাঠামোতে মোট সাতটি তফসিল রয়েছে। তবে, ইতিহাসে দেখা যায় সামরিক শাসনের সময় চতুর্থ তফসিলকে ভুলভাবে ব্যবহার করে সংবিধানের চেতনার বিপরীতে আইনকে বৈধ করা হয়েছে।
এটি মূলত সাময়িক বা ক্রান্তিকালীন বিধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা সংবিধানের মূল নীতির সঙ্গে মিল খায়নি।
বাংলাদেশের সংবিধানের সাতটি তফসিল:
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন।
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বর্তমানে বিলুপ্ত)।
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা।
-
চতুর্থ তফসিল: ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধান।
-
পঞ্চম তফসিল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ।
-
ষষ্ঠ তফসিল: বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
সপ্তম তফসিল: মুজিবনগর সরকার জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago