‘নির্বাণ’ ধারণাটি কোন ধর্মবিশ্বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট?
A
হিন্দুধর্ম
B
বৌদ্ধধর্ম
C
খ্রিষ্টধর্ম
D
ইহুদীধর্ম
উত্তরের বিবরণ
'নির্বাণ' ধারণাটি মূলত বৌদ্ধধর্মের সাথে সংযুক্ত। বৌদ্ধদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী মানুষের পরম মুক্তি বা সর্বোচ্চ অর্জনকে নির্বাণ বলা হয়।
এটি সেই অবস্থা যেখানে ব্যক্তি ভববন্ধন ও অজ্ঞানতা থেকে মুক্তি লাভ করে, যা বৌদ্ধ ধর্মে পরম প্রাপ্তি হিসেবে গণ্য। বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ ৮০ বছর বয়সে নির্বাণ লাভ করেন।
বাংলা একাডেমি অভিধান অনুযায়ী নির্বাণ শব্দের অর্থ:
-
মোক্ষ
-
মুক্তি
-
ভববন্ধন থেকে পরিত্রাণ লাভ
-
জীবন্মুক্তি
-
অজ্ঞানতা থেকে মুক্তিলাভ

0
Updated: 13 hours ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ড গঠিত হয় কোন সেক্টর নিয়ে?
Created: 1 week ago
A
১০ নং সেক্টর
B
১১ নং সেক্টর
C
৮ নং সেক্টর
D
৯ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে ১০ নং সেক্টর
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুদ্ধকে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে।
এর মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল বিশেষ নৌ সেক্টর।
-
এ সেক্টরটি দেশের সমুদ্র অঞ্চল ও নৌপথের দায়িত্বে ছিল।
-
এই সেক্টরে আলাদা কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়নি।
-
যে এলাকায় নৌ-অভিযান পরিচালিত হতো, সেখানকার সেক্টর কমান্ডারই সাময়িকভাবে ১০ নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করতেন।
১০ নং সেক্টরের উদ্যোক্তারা
ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি কর্মকর্তা এই নৌবাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেন। তাঁরা হলেন—
-
গাজী মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ (চীফ পেটি অফিসার)
-
সৈয়দ মোশাররফ হোসেন (পেটি অফিসার)
-
আমিন উল্লাহ শেখ (পেটি অফিসার)
-
আহসান উল্লাহ (এম.ই-১)
-
এ.ডব্লিউ. চৌধুরী (আর.ও-১)
-
বদিউল আলম (এম.ই-১)
-
এ.আর. মিয়া (ই.এন-১)
-
আবেদুর রহমান (স্টুয়ার্ড-১)
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 1 month ago
যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তা হলো -
Created: 4 weeks ago
A
অয়ন বায়ু
B
নিয়ত বায়ু
C
প্রত্যয়ন বায়ু
D
মৌসুমী বায়ু
বায়ুপ্রবাহ ও এর প্রকারভেদ
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণত, উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে যায়। এছাড়াও, ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে।
বায়ুপ্রবাহের প্রধান চারটি প্রকার:
-
নিয়ত বায়ু
-
সাময়িক বায়ু
-
স্থানীয় বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
নিয়ত বায়ু:
-
যে বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলা হয়।
-
এটি বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
নিয়ত বায়ুর দিক পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
নিয়ত বায়ু আবার তিন ভাগে বিভক্ত:
-
অয়ন বায়ু
-
পশ্চিমী বায়ু
-
মেরু বায়ু
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 weeks ago