চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য কী?
A
নির্বাচন জেতা
B
সরকার গঠন
C
রাজনৈতিক দল পরিচালনা
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
উত্তরের বিবরণ
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী:
- চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা।
- চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হল এমন এক জনসমষ্টি যারা সমজাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়।
- চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা রাজনৈতিক দলের তুলনায় সাধারণত কম হয় এবং অভিন্ন স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে গোষ্ঠীর সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ থাকে।
- সাংগঠনিক দিক থেকে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী রাজনৈতিক দল অপেক্ষা দুর্বল।
- চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে প্রভাবিত করাই হল চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য।
তথ্যসূত্র - পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য:
• দলীয় সংগঠনবিহীন,
• দলীয় কর্মসূচিবিহীন,
• নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া,
• সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা,
• সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়,
• সমজাতীয় মনোভাব,
• বেসরকারি সংগঠন।

0
Updated: 13 hours ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 13 hours ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।

0
Updated: 13 hours ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 6 days ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 6 days ago
কোন উপজাতিটির আবাসস্থল “বিরিশিরি” নেত্রকোনায়?
Created: 5 days ago
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
খাসিয়া
D
মুরং
‘গারো’ উপজাতি
-
প্রধান নিবাস: বাংলাদেশের গারো উপজাতি মূলত ময়মনসিংহ জেলার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে।
-
অন্যান্য জেলা: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজারে কিছু গারো উপজাতি দেখা যায়।
-
প্রধান উপজেলাগুলি:
-
ময়মনসিংহ: হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া
-
নেত্রকোনা: দুর্গাপুর, কলমাকান্দা
-
শেরপুর: নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী
-
টাঙ্গাইল: মধুপুর
-
-
বিশেষ কেন্দ্র: নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকায় গারোদের সংখ্যা বেশি এবং তারা সেখানে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ধর্ম: ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ‘সাংসারেক’, কিছু গারো খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে।
-
প্রধান দেবতা: তাতারা রাবুগা
-
উৎসব: ওয়ানগালা
-
ভাষা: মান্দি
-
পরিবার ব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক
উৎস: ময়মনসিংহ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 5 days ago