চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য কী?
A
নির্বাচন জেতা
B
সরকার গঠন
C
রাজনৈতিক দল পরিচালনা
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
উত্তরের বিবরণ
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী:
- চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা।
- চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হল এমন এক জনসমষ্টি যারা সমজাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়।
- চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা রাজনৈতিক দলের তুলনায় সাধারণত কম হয় এবং অভিন্ন স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে গোষ্ঠীর সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ থাকে।
- সাংগঠনিক দিক থেকে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী রাজনৈতিক দল অপেক্ষা দুর্বল।
- চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে প্রভাবিত করাই হল চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য।
তথ্যসূত্র - পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য:
• দলীয় সংগঠনবিহীন,
• দলীয় কর্মসূচিবিহীন,
• নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া,
• সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা,
• সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়,
• সমজাতীয় মনোভাব,
• বেসরকারি সংগঠন।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন পেতে হলে দেশের অন্তত কয়টি উপজেলা/থানা কমিটি থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
৫০টি
B
৬০টি
C
৮০টি
D
১০০টি
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন (বাংলাদেশ)
-
নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান:
-
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশনের অধীন।
-
-
পটভূমি:
-
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শতাধিক রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব।
-
নিবন্ধন প্রথা চালু: ২০০৮ সালে।
-
১৯৭২ সালের Representation of People Order (RPO)–এ সংশোধন আনা হয় ১/১১ সরকারের সময়, যার ফলে Representation of People (Amendment) Ordinance, 2008 তৈরি হয়।
-
এই আইনে ১৯৭২ সালের RPO–এর অতিরিক্ত অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে (ধারা ৯০এ থেকে ৯০আই)।
-
-
নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা (ধারা ৯০এ):
-
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক দলসমূহকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে।
-
-
নিবন্ধনের শর্তাবলী (ধারা ৯০বি(১)এ):
১. স্বাধীনতার পর থেকে দরখাস্ত দাখিলের তারিখ পর্যন্ত যে কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন জয়; অথবা
২. যে কোনো নির্বাচনে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক অংশগ্রহণকৃত আসনসমূহে মোট ভোটের ৫% পেতে হবে; অথবা
৩. একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস ও কমিটি থাকা:-
কেন্দ্রীয় কমিটি ও অফিস
-
কমপক্ষে ২১টি জেলা কমিটি ও অফিস
-
কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা/থানা কমিটি, যার প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটার সদস্য থাকতে হবে।
-
0
Updated: 1 month ago
ভাস্কর্য জননী ও গর্বিত বর্ণমামৃণাল হকলা-এর স্থপতি কে?
Created: 1 month ago
A
মৃণাল হক
B
হামিদুজ্জামান খান
C
সৈয়দ মাঈনুল হোসেন
D
শ্যামল চৌধুরী
ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা
-
অবস্থান: ঢাকার পরিবাগে।
-
স্থপতি: শিল্পী মৃণাল হক।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
ভাস্কর্যে একজন মা তার মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
-
মায়ের সামনে সবুজ বৃত্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বাংলা বর্ণসমূহ।
-
পেছনের লাল বৃত্তে দেখা যায় ‘২১’ এবং ‘ব’ ও ‘ক’।
-
0
Updated: 1 month ago
'নবযুগ তেভাগা খামার'-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ফজলে হাসান আবেদ
B
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
C
আখতার হামিদ খান
D
শায়েখ সিরাজ
নবযুগ তেভাগা খামার
-
প্রতিষ্ঠাতা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৭৪
-
অবস্থান: চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম
-
ধরন: মাঠ গবেষণা (Field Research)
মূল উদ্দেশ্য:
-
সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য ঋণ সরবরাহের সম্ভাবনা যাচাই।
-
তেভাগা পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকদের খামার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু।
প্রকল্পের কার্যক্রম:
-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রুরাল ইকনোমিকস প্রোগ্রামের’ অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সম্ভাবনা যাচাই করা।
-
গ্রামের অবহেলিত নারী ও পুরুষদের নিয়ে সমিতি গঠন, যেখানে সবাই সঞ্চয় করতো।
-
এই কৃষকদের খামার থেকে পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ভিত্তি রচিত হয় (১৯৭৬)।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রভাব:
-
১৯৮৩ সালের ২রা অক্টোবর ক্ষুদ্রঋণের ধারনায় পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
-
ভূমিহীন ও দরিদ্র নারীদের পাঁচজনের ক্ষুদ্র দল গঠন করে ঋণ প্রদান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
0
Updated: 1 month ago