মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
উত্তরের বিবরণ
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।
0
Updated: 1 month ago
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে 'কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ফজলে হাসান আবেদ
B
রেজওয়ানা চৌধুরী
C
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
D
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
কিং তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫
তথ্যগুলো হলো:
-
অ্যাওয়ার্ড পরিচিতি: ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, যা প্রতি বছর পরিবেশ রক্ষা, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প দক্ষতা, পরিবেশবান্ধব ব্যবসা এবং প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়।
-
বাংলাদেশি অর্জন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালে এই সম্মানজনক পুরস্কার পান।
-
মনোনয়ন কারণ: বিশ্বব্যাপী শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের ও প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠায় অবদান।
-
পুরস্কার প্রদান: ১২ জুন ২০২৫, দ্য কিংস ফাউন্ডেশন, সেন্ট জেমস’স প্যালেস, লন্ডন থেকে তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত ১৯৯০ সালে, তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের উদ্যোগে।
-
নতুন এই পুরস্কার ২০২৪ সালের জুনে রাজা চার্লস কর্তৃক প্রবর্তিত হয়, প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের উদযাপনের উদ্দেশ্যে।
-
প্রথম বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি–মুন।
অর্থাৎ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক।
0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা চূড়ান্ত রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার -
Created: 1 month ago
A
১.০২%
B
১.১২%
C
১.২৪%
D
১.৩৩%
জনশুমারি ও গৃহগণনা (২০২২)
-
আইনি প্রেক্ষাপট:
-
২০১৩ সালে প্রণীত পরিসংখ্যান আইন অনুযায়ী, পূর্বের ‘আদমশুমারি’কে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
-
তাই ২০২২ সালের জুনে ‘৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা’ অনুষ্ঠিত হয়।
-
-
ঐতিহাসিক তথ্য:
-
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি: ১৯৭৪
-
দ্বিতীয়: ১৯৮১
-
পঞ্চম: ২০১১
-
-
২০২২ সালের ফলাফল:
-
মোট জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১,১১৯ জন/কিমি²
-
পুরুষ ও নারীর অনুপাত: ৯৯.০৮ : ১০০.৯০
-
সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%
-
পুরুষ: ৭৬.৭১%
-
নারী: ৭২.৯৪%
-
-
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী সর্বোচ্চ:
-
বিভাগ: ঢাকা বিভাগ – ২,১৫৬ জন/কিমি²
-
জেলা: ঢাকা জেলা – ১০,০৬৭ জন/কিমি²
-
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী সর্বনিম্ন:
-
বিভাগ: বরিশাল বিভাগ – ৬৮৮ জন/কিমি²
-
জেলা: রাঙ্গামাটি জেলা – ১০৬ জন/কিমি²
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago