A
পরশুরাম
B
নীললোহিত
C
ভানুসিংহ ঠাকুর
D
গাজী মিয়া
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে নানা পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি মোট নয়টি ছদ্মনামে লিখতেন, যা তাঁর লেখনীতে বৈচিত্র্য আনার এক অভিনব প্রয়াস:
-
ভানুসিংহ ঠাকুর
-
অকপটচন্দ্র ভাস্কর
-
আন্নাকালী পাকড়াশী
-
দিকশূন্য ভট্টাচার্য
-
নবীন কিশোর শর্মণঃ
-
ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ
-
বাণী বিনোদ বিদ্যাবিনোদ
-
শ্রীমতি মধ্যমা
-
শ্রীমতি কনিষ্ঠা
এদের মধ্যে “ভানুসিংহ ঠাকুর” ছদ্মনামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে তিনি প্রাচীন পদাবলির ঢঙে কবিতা রচনা করেন।
✒️ অন্যান্য সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম:
রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও বাংলা সাহিত্যে অন্যান্য খ্যাতিমান লেখকরা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, যেমন:
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রাজশেখর বসু — উভয়ের ছদ্মনাম ছিল: পরশুরাম
(তবে অধিক পরিচিতভাবে রাজশেখর বসু “পরশুরাম” ছদ্মনামে ব্যঙ্গরসাত্মক রচনার জন্য বিখ্যাত।) -
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় — সাহিত্যে তাঁর ভিন্ন স্বর প্রকাশ পায় এই ছদ্মনামগুলোর মাধ্যমে:
-
নীললোহিত
-
সনাতন পাঠক
-
নীল উপাধ্যায়
-
-
মীর মোশাররফ হোসেন — বাংলা মুসলিম উপন্যাসের অন্যতম পথিকৃৎ, তাঁর ছদ্মনাম ছিল:
-
গাজী মিয়াঁ
-
📚 উপসংহার:
বাংলা সাহিত্যে ছদ্মনামের ব্যবহার কেবল লেখকের নাম গোপন রাখার কৌশল নয়, বরং এটি ছিল সৃষ্টিশীলতা, রসিকতা ও বহুস্তরীয় সাহিত্যচর্চার একটি অনন্য দিক। এই ছদ্মনামগুলো আজও পাঠকের কাছে কৌতূহল ও আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯৫১
B
১৯৬১
C
১৯৭১
D
১৯৮১
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম ও পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর খ্যাতনামা ঠাকুর পরিবারে। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক— প্রকৃত অর্থেই এক বহুমাত্রিক প্রতিভা।
প্রথম সাহিত্যপ্রকাশ ও নোবেল প্রাপ্তি
শৈশবেই তাঁর সাহিত্যপ্রতিভার প্রকাশ ঘটে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে তিনি ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁকে শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, সমগ্র এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মৃত্যু
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে তিনি পরলোকগমন করেন।
১৫০তম জন্মবার্ষিকী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয় ২০১১ সালে—not ১৯৬১ সালে।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
চোখের বালি
-
গোরা
-
যোগাযোগ
-
শেষের কবিতা
-
চতুরঙ্গ
-
চার অধ্যায়
-
ঘরে-বাইরে
কাব্যগ্রন্থ:
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্রা
-
চৈতালী
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপুট
-
সেঁজুতি
-
শেষ লেখা
নাটক:
-
বিসর্জন
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
চিরকুমার সভা
-
রক্তকরবী
-
তাসের দেশ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
পঞ্চভূত
-
বিচিত্রপ্রবন্ধ
-
সাহিত্য
-
মানুষের ধর্ম
-
কালান্তর
-
সভ্যতার সংকট
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
পদাবলী লিখেছেন-
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
কায়কোবাদ
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী
‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি অনন্য কাব্যগ্রন্থ, যা বৈষ্ণব পদাবলির ধারা অনুসরণ করে এবং ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
এই কাব্যের প্রথম প্রকাশ ঘটে বাংলা সন ১২৯১ সালের আষাঢ় মাসে। প্রকাশের সময় কবির ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’, আর প্রকৃত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই হন এই গ্রন্থের প্রকাশক।
প্রকাশনার সময় পাঠকদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “ভানুসিংহের পদাবলী শৈশবের গীতিসঙ্গীতের পরিপূরক স্বরূপ প্রকাশিত হইল। ইহার অধিকাংশ পদ পুরাতন পাণ্ডুলিপি থেকে উদ্ধার করিয়া সংগৃহীত।”
এই কাব্যগ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ সংকলিত আছে। এর মধ্যে দুটি বিখ্যাত কবিতা হলো— মরণ ও প্রশ্ন।
মরণ কবিতার একটি চিরস্মরণীয় পঙ্ক্তি:
"মরণ রে, তুই মম শ্যামসমান।"
উৎস: ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী কাব্য।

0
Updated: 2 weeks ago
'সঞ্চয়িতা' কার রচনা?
Created: 1 week ago
A
মাইকেল মধুসুদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জসীমউদ্দীন
'সঞ্চয়িতা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য সংকলন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: কবি কাহিনী, প্রভাতসঙ্গীত, সোনার তরী, চিত্রা, ক্ষণিকা, স্মরণ, বলাকা, পুরবী, পুনশ্চ, শেষলেখা, মানসী ইত্যাদি। আর সঞ্চিতা লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।

0
Updated: 1 week ago