বাংলার প্রাচীন জনপদ কোনটি?
A
পুণ্ড্র
B
তাম্রলিপ্ত
C
গৌড়
D
হরিকেল
উত্তরের বিবরণ
পুণ্ড্র জনপদ প্রাচীন বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত পুণ্ড্র জনগোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং তারা বঙ্গসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক থেকে পুণ্ড্র রাজ্যকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল পুন্ড্রনগর।
-
পুণ্ড্র জনপদ প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
-
জনপদটি মূলত পুণ্ড্র জনগোষ্ঠী দ্বারা গঠিত।
-
পুণ্ড্ররা বঙ্গসহ অন্যান্য প্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর নিকটজন ছিলেন।
-
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক থেকে এটি সমৃদ্ধ ও প্রাচীনতম রাজ্য।
-
রাজ্যের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর।
-
প্রাচীন বাংলার অন্যান্য জনপদগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বঙ্গ, বরেন্দ্র, সমতট, হরিকেল, রাঢ়, চন্দ্রদ্বীপ, তাম্রলিপ্ত, গঙ্গারিডাই, গৌড়।

0
Updated: 13 hours ago
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
Created: 5 days ago
A
পুন্ড্র
B
তাম্রলিপ্ত
C
গৌড়
D
হরিকেল
বাংলার প্রাচীন জনপদ: পুন্ড্র
-
বাংলার প্রাচীনতম জনপদের নাম ছিল পুন্ড্র।
-
‘পুন্ড্র’ নামে পরিচিত একটি জাতি এই জনপদ গড়ে তোলে। তারা বঙ্গসহ আশেপাশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ ছিল।
-
এই জনপদের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। বর্তমানে বগুড়া শহরের কাছে করতোয়া নদীর তীরে এর অবস্থান ছিল। পরবর্তী সময়ে এটি মহাস্থানগড় নামে পরিচিত হয়।
-
ঐতিহাসিকদের মতে, মৌর্য সম্রাট অশোকের শাসনামলে (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩–২৩২ অব্দ) পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীনতা হারায়।
-
এ জনপদের বিস্তৃতি বর্তমান বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল পর্যন্ত ছিল।
বাংলার অন্যান্য প্রাচীন জনপদ
পুন্ড্র ছাড়াও বাংলায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল, যেমন—
-
বঙ্গ
-
বরেন্দ্র
-
সমতট
-
হরিকেল
-
রাঢ়
-
চন্দ্রদ্বীপ
-
তাম্রলিপ্ত
-
গঙ্গারিডাই
-
গৌড় প্রভৃতি
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 5 days ago
বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনপদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মহাস্থানগড়
B
পাহাড়পুর
C
ময়নামতি
D
উয়ারীবটেশ্বর
বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনপদ: পুণ্ড্র এবং এর রাজধানী মহাস্থানগড়
পুণ্ড্র ছিল বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনপদগুলোর মধ্যে একটি। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে যাকে পুদনগল বা পুণ্ড্র নগর বলা হয়েছে, সেটি বর্তমান বগুড়া অঞ্চলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
ইতিহাসবিদ ড. নীহাররঞ্জন রায় বলেন, দশম শতক থেকে এই এলাকার আরেক নাম ছিল বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী, যা পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। মধ্যযুগে মুসলিম ঐতিহাসিকরা বরেন্দ্রকে বরীন্দ্র নামে ডাকতেন।
পুণ্ড্র জনপদের অঞ্চলটি ছিল বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার আশেপাশের এলাকা। এ জনপদের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর, যা এখন মহাস্থানগড় নামে পরিচিত। করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থানটি বগুড়া শহরের কাছাকাছি। সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের সময় পুণ্ড্র রাজ্যের স্বাধীনতা কমে যায়। পরে গুপ্ত যুগে এটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুণ্ড্র ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অঞ্চল।
মহাস্থানগড়
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন সাম্রাজ্যের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। সেন বংশের শেষ শাসক লক্ষ্মণ সেন যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন, তখন এই দুর্গটি রক্ষিত ছিল না।
১৮৭৯ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের এই ঐতিহাসিক স্থান আবিষ্কার করেন। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো ঐতিহাসিক স্থান এবং ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন স্থানগুলো
-
পাহাড়পুর বিহার:
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, যাকে সোমপুর বিহারও বলা হয়, পাল বংশের দ্বিতীয় শাসক শ্রী ধর্মপালের আমলে (৮ম থেকে ৯ম শতক) নির্মিত হয়। এখন এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। -
ময়নামতি:
ময়নামতি কুমিল্লায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান। সপ্তম থেকে অষ্টম শতকে দেববংশের রাজা শ্রীভবদেব এটি নির্মাণ করেন। -
উয়ারী-বটেশ্বর:
ঢাকা থেকে প্রায় ৭০-৭৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অবস্থিত উয়ারী ও বটেশ্বর নামক দুই গ্রামে পাওয়া গেছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন। এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো প্রায় আড়াই হাজার বছর পুরানো। এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে, যার বেশিরভাগ মাটিচাপা রাখা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
পুণ্ড্র
B
হরিকেল
C
বঙ্গ
D
সমতট
হরিকেল জনপদ
-
অবস্থান: প্রাচীন পূর্ববঙ্গ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটও হরিকেল জনপদের অংশ ছিল।
-
স্বরূপ: সাত শতকের চৈনিক পরিব্রাজক ই-ৎসিঙ্ হরিকেলকে ‘পূর্বভারতের পূর্বসীমা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
প্রমাণ:
-
চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ অঞ্চলের কান্তিদেব মন্দিরে আবিষ্কৃত অসম্পূর্ণ তাম্রলিপি
-
মহারাজাধিরাজ কান্তিদেব হরিকেলের শাসক ছিলেন
-
চন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের উল্লেখ আছে
-
অন্যান্য প্রাচীন জনপদসমূহ
-
বঙ্গ জনপদ:
-
বিস্তৃতি: বৃহত্তর ফরিদপুর, বিক্রমপুর, বাখেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর নিচু জলাভূমি
-
‘বঙ্গ’ জনগোষ্ঠী থেকে ‘বঙ্গ’ নামের উৎপত্তি
-
-
সমতট জনপদ: বর্তমান বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা
-
বরেন্দ্র জনপদ: বর্তমান রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর

0
Updated: 3 weeks ago