কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কণিষ্কের রাজধানী ছিল কোনটি?
পুরুষপুর
A
পুরুষপুর
B
মথুরা
C
তক্ষশিলা
D
উজ্জয়িনী
উত্তরের বিবরণ
কুষাণ যুগ (৩০ খ্রিস্টপূর্ব – ৩য় শতক)
কুষাণদের পরিচয়
-
কুষাণরা ছিল ইউ-চি জাতির একটি শাখা।
-
ইউ-চির পাঁচটি শাখা ঐক্যবদ্ধ করে কুজলা কদফিসেস কুষাণ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
তিনি কাবুল, সোমায়ার, কাশ্মির দখল করেন।
কদফিসেস বংশ
-
কুজলা কদফিসেসের পুত্র বিম কদফিসেস → তাঁর সাম্রাজ্য তুর্কিস্থান থেকে সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
সম্রাট কণিষ্ক (৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১০১ খ্রিস্টাব্দ)
-
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
-
৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং একটি অব্দ চালু করেন → পরবর্তীতে এটি শকাব্দ নামে পরিচিত হয়।
-
রাজধানী: পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার)।
-
সাম্রাজ্য বিস্তার:
-
পশ্চিমে পেশোয়ার থেকে পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ,
-
উত্তরে কাশ্মির থেকে দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত।
-
ভারতের বাইরে আফগানিস্তান ও সোভিয়েত তুর্কিস্থানের অংশ।
-
-
প্রশাসন → বিশাল সাম্রাজ্যকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে কর্মকর্তাদের দ্বারা শাসন।
-
ধর্ম: তাঁর আমলে বৌদ্ধধর্ম → হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
-
মৃত্যু: ২৩ বছর রাজত্বের পর ১০১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ।
0
Updated: 1 month ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
সংশপ্তক:
- মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’।
- মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় বাঙালির বীরত্বগাথার স্মারক এই ভাস্কর্য।।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থান।
- চার স্তরের লাল সিরামিক ইটের বেদির ওপর ব্রোঞ্জের তৈরি ভাস্কর্যের উচ্চতা ১৫ ফুট।
- ২৬ মার্চ, ১৯৯০ সালে ভাস্কর্য স্থাপিত হয়।
- এর ভাস্কর স্থপতি হামিদুজ্জামান খান।
- ভাস্কর্যটিতে মূর্ত হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত ও এক পা হারিয়েও বন্দুক হাতে লড়ে যাওয়া এক বীরের প্রতিকৃতি। যিনি পঙ্গুত্ববরণ করেও নির্ভীক এবং যুদ্ধে জয়লাভে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 1 month ago
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
স্যার সৈয়দ আহমেদ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর অবদান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট:
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরদার করে।
সরকারের প্রতি দাবি:
নওয়াব সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
লর্ড হার্ডিঞ্জের সফর:
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় তিন দিনের জন্য আসেন। ৩১ জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থে একটি মানপত্র পেশ করে।
সরকারি ঘোষণা:
এর পরপরই ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ঘোষণা জারি করে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু:
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষাকর্তা-
Created: 1 month ago
A
প্রেসিডেন্ট
B
জাতীয় সংসদ
C
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
D
হাই কোর্ট
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষাকর্তা এবং সংবিধান
♦ সংবিধানের রক্ষক
→ বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক হল সুপ্রীম কোর্ট।
→ সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক।
→ সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী অপরিসীম।
→ সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রীম কোর্ট দেশের সকল আদালতের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
→ সংবিধান বহির্ভূত যেকোনো কার্যকলাপকে সুপ্রীম কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করতে পারে।
→ সুপ্রীম কোর্ট জনগণের মৌলিক অধিকারের সংরক্ষক এবং সংবিধানের রক্ষক।
♦ উল্লেখযোগ্য তথ্য
→ বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদের মাধ্যমে প্রণীত হয়।
→ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়।
→ সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
→ সংবিধানের খসড়া প্রণয়ের জন্য ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল একটি কমিটি গঠন করা হয়।
→ কমিটিতে মোট ৩৪ জন সদস্য ছিলেন।
→ কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
→ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু।
0
Updated: 1 month ago