বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
A
হাশেম খান
B
এ.কে.এম আব্দুর রউফ
C
আবুল বারক আলভী
D
সমরজিৎ রায় চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম হাতে লেখা সংবিধান, যা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল এবং যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০৯। সংবিধানের হস্তলিপির কাজ সম্পন্ন করেন এ কে এম আবদুর রউফ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা আছে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। এছাড়া, সংবিধানের অঙ্গসজ্জার কার্যক্রমের মূল তত্ত্বাবধান করেন শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন।
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
প্রথম হাতে লেখা সংবিধান: গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
-
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯
-
হস্তলিপি প্রস্তুতকারী: এ কে এম আবদুর রউফ
-
প্রচ্ছদে লেখা: "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"
-
অঙ্গসজ্জার তত্ত্বাবধায়ক: জয়নাল আবেদীন

0
Updated: 13 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 1 month ago
A
১৫
B
২৭
C
৩৭
D
৩৯
বাংলাদেশের সংবিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
⇒ ৩৯ নং অনুচ্ছেদ:
- (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
- (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ১৫ নং অনুচ্ছেদে 'মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা' সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সমাবেশের স্বাধীনতা। ৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে ১৯৭২ সালের কোন তারিখে উত্থাপিত হয়?
Created: 2 days ago
A
১১ নভেম্বর
B
১২ অক্টোবর
C
১৬ ডিসেম্বর
D
৩ মার্চ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল কাঠামো গঠনের জন্য গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান রচিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিন ও ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন পরিষদের সামনে সব প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
-
শুধুমাত্র ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন যোগাযোগমন্ত্রী এম মনসুর আলী।
-
একই দিনে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭২ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২ খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এতে স্বাক্ষর করেননি।
-
সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল-
Created: 1 week ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১১৮) দেশটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
-
কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়।
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকেন।
-
একাধিক কমিশনার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ ৫ বছর, যা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে গণ্য হবে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago