একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত?
A
৭টি
B
৮টি
C
৯টি
D
১০টি
উত্তরের বিবরণ
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন:
- একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
- চেয়ারম্যান ১ জন।
- নির্বাচিত সদস্য ৯ জন।
- সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩ জন।
- ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে।
- প্রতি তিন ওয়ার্ড থেকে একজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন।
- কার্যালয় পরিচালনার জন্য এক জন সচিব নিয়োগ করা হয়।
- ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর, সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যদের অপসারণ করা যায়।
- ইউনিয়ন পরিষদের সকলেই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।

0
Updated: 13 hours ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 5 days ago
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
স্যার সৈয়দ আহমেদ
C
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর অবদান:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেছিলেন।
বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট:
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরদার করে।
সরকারের প্রতি দাবি:
নওয়াব সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
লর্ড হার্ডিঞ্জের সফর:
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় তিন দিনের জন্য আসেন। ৩১ জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থে একটি মানপত্র পেশ করে।
সরকারি ঘোষণা:
এর পরপরই ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ঘোষণা জারি করে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরু:
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 5 days ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
Created: 5 days ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
C
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক। সৈয়দ হোসেন হাবসিকে পরাজিত করে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং "আলাউদ্দিন হুসেন শাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারের লোক। তাঁর শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত।
দক্ষ শাসনকর্ম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হতো। তাঁর সময়েই শ্রীচৈতন্য দেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করা হয়।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের কৃতিত্ব
অত্যুজ্জ্বল রাজত্বকাল
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে তাঁর রাজত্বকাল অন্যতম সেরা অধ্যায়। তাঁর শাসনামলে বাংলার সীমানা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
সামরিক সাফল্য
-
কামরূপ ও কামতা জয় করেন।
-
ঊড়িষ্যা ও ত্রিপুরার কিছু অংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
আরাকানিদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
প্রশাসনিক দক্ষতা
তিনি হাবসি দাসদের প্রভাবমুক্ত করে প্রশাসনকে সুসংগঠিত করেন।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতায় এসে অরাজকতা দূর করে দেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
বিদেশি আক্রমণ প্রতিরোধ
দিল্লীর লোদী সম্রাটদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাংলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেন।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন, যা সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা
হুসেন শাহ ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। তাঁর আমলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রূপ গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও পরাগল খানের মতো কবিরা কীর্তি গড়ে তোলেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 5 days ago
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা বাতিল করেন কে?
Created: 13 hours ago
A
লিয়াকত আলী খান
B
চৌধুরী মোহাম্মদ আলী
C
জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ
D
ইস্কান্দর মির্জা
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিক লীগকে মোকাবিলার জন্য ৪টি রাজনৈতিক দল 'যুক্তফ্রন্ট' নামে জোট গঠন করে।
- যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
- ১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- যুক্তফ্রন্ট প্রধানত পূর্ব বাংলার চারটি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। যথা:
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
৩. নেজামে ইসলাম পার্টি: মওলানা আতাহার আলী।
৪. বামপন্থী গনতন্ত্রী দল: হাজী মোহাম্মদ দানেশ।
• যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা:
- ১৯৫৪ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট ৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক। অন্যান্য মন্ত্রী-
১. অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র- এ কে ফজলুল হক।
২. বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার- আবু হোসেন সরকার।
৩. বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ মন্ত্রী- আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
৪. শিক্ষা, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প - সৈয়দ আজিজুল হক।
- পরবর্তীতে ১৫ মে,১৯৫৪ সালে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা গঠিত হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৪ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ট মন্ত্রী হিসবে কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
- রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফজলুল হক মন্ত্রীসভা বাংলাকে স্বাধীন করবে এমন অজুহাতে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন।
- ফজলুল হক মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ৫৬ দিন যার মধ্যে পূর্নাঙ্গ মন্ত্রীসভা দ্বায়িত্বে ছিল মাত্র ১৫ দিন।

0
Updated: 13 hours ago