প্রোগ্রামের প্রতিটি স্টেটমেন্ট একে একে মেশিন কোডে রূপান্তর করে কোন অনুবাদক প্রোগ্রাম?
A
কম্পাইলার
B
ইন্টারপ্রেটার
C
অ্যাসেম্বলার
D
ডিবাগিং
উত্তরের বিবরণ
ইন্টারপ্রেটার (Interpreter) হলো একটি প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামের প্রতিটি স্টেটমেন্ট একে একে মেশিন কোডে রূপান্তর করে এবং এক্সিকিউট করে।
ইন্টারপ্রেটারের বৈশিষ্ট্য:
-
পুরো প্রোগ্রাম একবারে পরীক্ষা না করে প্রতিটি স্টেটমেন্ট আলাদাভাবে মেশিন কোডে রূপান্তর ও কার্যকর করে।
-
প্রতিটি স্টেটমেন্ট সম্পন্ন হলে পরবর্তী স্টেটমেন্ট কার্যকর হয়।
-
ডিবাগিং সহজ: কারণ কোনো স্টেটমেন্টে সমস্যা হলে তা তৎক্ষণাৎ দেখা যায়।
-
গতিসীমা: প্রতিটি স্টেটমেন্ট আলাদাভাবে রূপান্তরিত হওয়ায় সময় তুলনামূলকভাবে বেশি লাগে।
অন্যান্য অনুবাদক প্রোগ্রাম:
-
কম্পাইলার (Compiler): পুরো প্রোগ্রাম পরীক্ষা করে Syntax ঠিক থাকলে একবারে মেশিন কোডে রূপান্তর করে। প্রোগ্রাম দ্রুত চলে, কিন্তু ভুলগুলো একসাথে দেখানো হয়।
-
অ্যাসেম্বলার (Assembler): অ্যাসেম্বলি ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন কোডে অনুবাদ করে।
প্রোগ্রাম ডিবাগিং:
-
প্রোগ্রামে থাকা ভুলকে বাগ (Bug) বলা হয়।
-
ভুল খুঁজে বের করা ও সংশোধন করাকে ডিবাগিং (Debugging) বলা হয়।
-
সাধারণত তিন ধরনের ভুল হতে পারে: ডেটা ভুল, যুক্তিগত ভুল, এবং সিনট্যাক্স ভুল।
0
Updated: 1 month ago
পাইথন কোন ধরণের প্রোগ্রামিং ভাষা?
Created: 1 month ago
A
নিম্নস্তরের
B
মেশিন ভাষা
C
উচ্চস্তরের
D
অ্যাসেম্বলি
পাইথন হলো একটি উচ্চস্তরের (গ) প্রোগ্রামিং ভাষা, যা মানুষের বোধগম্য শব্দ ও সিনট্যাক্স ব্যবহার করে, ফলে প্রোগ্রাম লেখা সহজ এবং বোধগম্য হয়। উচ্চস্তরের ভাষা হিসেবে পাইথন প্রোগ্রামারকে হার্ডওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্ত রাখে এবং মূলত লজিক বা সমস্যার সমাধানে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। পাইথনের ব্যবহারিক ক্ষেত্রগুলোতে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। এটি ইন্টারপ্রেটেড এবং অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড ভাষা, যার কোড সহজে পড়া ও লেখা যায়। এই কারণে পাইথন নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
পাইথন (Python) সম্পর্কে তথ্য:
-
পাইথন হলো একটি অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড, উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা।
-
এটি ১৯৯১ সালে গুইডো ভ্যান রোসাম (Guido van Rossum) কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত হয়।
-
পাইথন নির্মাণের সময় প্রোগ্রামারকে সরল এবং কার্যকর কোড লেখার সুবিধা দেওয়া লক্ষ্য করা হয়।
-
পাইথন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্য, এবং নতুন ও অভিজ্ঞ উভয় প্রোগ্রামারের জন্য সহজ, দক্ষ ও বহুমুখী প্রোগ্রামিং ভাষা।
0
Updated: 1 month ago
ক্যাশ মেমোরি সিস্টেমে, অ্যাক্সেস টাইম সাধারণত কোন এককে পরিমাপ করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
Minutes
B
Milliseconds
C
SecondsSeconds
D
Nanoseconds
ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory) এবং অ্যাকসেস টাইম
ক্যাশ মেমোরির মূল লক্ষ্য হলো প্রসেসরের জন্য দ্রুততম ডেটা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা। এটি প্রধান মেমোরির তুলনায় অনেক দ্রুতগতির হওয়ায় CPU ডেটা বা নির্দেশনা তৎক্ষণাৎ পেতে পারে।
অ্যাকসেস টাইম (Access Time):
-
এটি হলো একটি মেমরি অবস্থান থেকে ডেটা পড়া বা লেখা সম্পন্ন করতে লাগা সময়।
-
ক্যাশ মেমোরির ক্ষেত্রে অ্যাকসেস টাইম খুবই ক্ষুদ্র, কারণ এটি প্রসেসরের কাছাকাছি অবস্থান করে এবং উচ্চগতির SRAM ব্যবহার করে তৈরি।
-
সাধারণত Nanoseconds (ন্যানোসেকেন্ড) এককে পরিমাপ করা হয়। এটি মিলিসেকেন্ড বা সেকেন্ডের তুলনায় অনেক ছোট, যা দ্রুত প্রসেসিং সক্ষম করে।
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সময় পরিমাপ:
-
সিক টাইম (Seek Time): চৌম্বক ডিস্কের রিড-রাইট হেডকে সঠিক ট্র্যাকে নিয়ে যেতে লাগা সময়।
-
ল্যাটেন্সি টাইম (Latency Time): রিড-রাইট হেডকে ট্র্যাকে নিয়ে যাওয়ার পর সঠিক শব্দে পৌঁছাতে লাগা সময়।
-
লিখন অপারেশন (Write Operation): মেমরির নির্দিষ্ট সেলে নতুন ওয়ার্ড সংরক্ষণ করা।
🔹 উপসংহার: ক্যাশ মেমোরির অ্যাক্সেস টাইম ন্যানোসেকেন্ডে পরিমাপ করা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
দশমিক ১০ এর হেক্সাডেসিমাল রূপ কত?
Created: 3 weeks ago
A
A
B
8
C
9
D
B
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রচলিত সংখ্যা পদ্ধতি, যার ভিত্তি (Base) হলো ১০। এই পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট ১০টি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি হলো ১৬ ভিত্তিক একটি পদ্ধতি, যেখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা এবং A থেকে F পর্যন্ত অক্ষর ব্যবহৃত হয়। এখানে A মানে ১০, B মানে ১১, C মানে ১২, D মানে ১৩, E মানে ১৪ এবং F মানে ১৫ বোঝায়। তাই, যখন দশমিক ১০ সংখ্যাটিকে হেক্সাডেসিমালে রূপান্তর করা হয়, তখন সেটি A দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, দশমিক ১০ = হেক্সাডেসিমাল A।
দশমিক, বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমাল রূপান্তরের একটি সহজ তুলনামূলক টেবিল নিচে দেওয়া হলো:
দশমিক ---- বাইনারি ---- অক্টাল ---- হেক্সাডেসিমাল
৮ ------------ ১০০০ ---------- ১০ ------------ ৮
৯ ------------ ১০০১ ---------- ১১ ------------ ৯
১০ ----------- ১০১০ ---------- ১২ ------------ A
১১ ----------- ১০১১ ---------- ১৩ ------------ B
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য:
-
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা ১৬ ভিত্তিক (Base 16)।
-
এখানে ব্যবহৃত হয় ০–৯ সংখ্যাগুলো এবং A–F অক্ষরগুলো।
-
A, B, C, D, E, F যথাক্রমে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ বোঝায়।
-
G, H, Z ইত্যাদি অক্ষর এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় না, কারণ এগুলো হেক্সাডেসিমাল ভিত্তিতে স্বীকৃত নয়।
সংখ্যা পদ্ধতির ধরন:
-
সংখ্যা প্রকাশ বা লেখার নিয়মকে সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) বলা হয়।
-
ভিত্তি (Base) অনুযায়ী সংখ্যা পদ্ধতির চারটি প্রধান ধরন রয়েছে—
১. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (Decimal Number System) – ভিত্তি ১০
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Binary Number System) – ভিত্তি ২
৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (Octal Number System) – ভিত্তি ৮
৪. হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি (Hexadecimal Number System) – ভিত্তি ১৬
0
Updated: 3 weeks ago