IBM কোন ধরনের কম্পিউটার তৈরিতে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো?
A
ল্যাপটপ কম্পিউটার
B
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
C
মিনি কম্পিউটার
D
স্মার্টফোন
উত্তরের বিবরণ
IBM (International Business Machines) হলো একটি প্রখ্যাত আমেরিকান কম্পিউটার প্রস্তুতকারক কোম্পানি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর সদর দপ্তর নিউ ইয়র্কের আরমঙ্কে অবস্থিত।
IBM-এর ইতিহাস ও বিশেষত্ব
-
১৯১১ সালে তিনটি ছোট কোম্পানি একত্রিত হয়ে “Computing-Tabulating-Recording Company” নামে IBM প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রাথমিকভাবে তারা পাঞ্চ-কার্ড ট্যাবুলেটর এবং অন্যান্য অফিস সরঞ্জাম তৈরি করত।
-
IBM বিশেষভাবে পরিচিত মেইনফ্রেম কম্পিউটার তৈরির জন্য, যা মধ্যম থেকে বৃহৎ আকারের কম্পিউটার এবং বিশাল সংখ্যার ডিজিটাল তথ্য দ্রুত প্রক্রিয়া করতে সক্ষম।
-
১৯৮১ সালে IBM বাজারে আনে Personal Computer।
-
১৯৯৫ সালে IBM অধিগ্রহণ করে Lotus Development Corporation, যা গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ছিল।
-
IBM-এর সুপারকম্পিউটার বিভাগ তোশিবা ও সনি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে সেল ব্রডব্যান্ড ইঞ্জিন ডিজাইন করেছে।
0
Updated: 1 month ago
"হ্যাপটিক গ্লাভস" - কোন ডিভাইস হিসেবে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
ইনপুট ডিভাইস
B
আউটপুট ডিভাইস
C
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
D
কোনোটিই নয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
ডিজিটাল কম্পিউটার
তথ্য প্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তির ধারণা (Information Technology - IT)
উত্তর: গ) ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
ব্যাখ্যা:
-
হ্যাপটিক গ্লাভস ব্যবহারকারীর হাতের গতি শনাক্ত করে (ইনপুট) এবং একই সময়ে স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করে (আউটপুট)।
-
এটি VR বা AR পরিবেশে ভার্চুয়াল অবজেক্ট স্পর্শ করলে বাস্তবের মতো প্রতিক্রিয়া দেয়।
-
তাই এটি ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে দুইমুখী যোগাযোগের মাধ্যম।
অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইসের ধরন:
-
ইনপুট ডিভাইস: Keyboard, Mouse, Scanner, Digital Camera ইত্যাদি।
-
আউটপুট ডিভাইস: Monitor, Printer, Speaker, Projector ইত্যাদি।
-
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস: Hard Disk, CD/DVD, Touch Screen, Pendrive ইত্যাদি।
উৎস: মৌলক কম্পিউটার শিক্ষা (বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), Cornell University.
0
Updated: 1 month ago
কোন মোডে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপ ডেটা গ্রহণ করতে পারে?
Created: 3 weeks ago
A
ইউনিকাস্ট
B
ব্রডকাস্ট
C
মাল্টিকাস্ট
D
মাল্টিপ্লেক্স
সঠিক উত্তর হলো গ) মাল্টিকাস্ট (Multicast)।
ডেটা যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাল্টিকাস্ট হলো এমন একটি ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, যেখানে একটি প্রেরক নোড থেকে প্রেরিত ডেটা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের প্রাপকদের কাছে পাঠানো হয়। এটি ব্রডকাস্টের মতো হলেও পার্থক্য হলো—সব নোড নয়, বরং অনুমোদিত গ্রুপের সদস্যরাই তথ্যটি গ্রহণ করতে পারে।
মাল্টিকাস্ট (Multicast)
-
মাল্টিকাস্ট মোড ব্রডকাস্ট মোডের সঙ্গে অনেকটা সাদৃশ্যপূর্ণ, তবে এতে ডেটা নেটওয়ার্কের সকল নোডের কাছে নয়, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গ্রুপের সদস্যদের কাছে প্রেরণ করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ভিডিও কনফারেন্সিং-এর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র যাদের অ্যাক্সেস অনুমোদিত আছে, তারাই ডেটা গ্রহণ করতে পারে বা অংশ নিতে পারে।
-
মাল্টিকাস্ট ব্যবস্থায় ব্যান্ডউইথের অপচয় কম হয় এবং এটি নেটওয়ার্কের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের শ্রেণিবিন্যাস
ডেটা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রেরক থেকে প্রাপকের কাছে তথ্য প্রেরণের ধরণ ও প্রাপকের সংখ্যা অনুযায়ী ট্রান্সমিশন মোড তিন প্রকার:
১. ইউনিকাস্ট (Unicast)
২. ব্রডকাস্ট (Broadcast)
৩. মাল্টিকাস্ট (Multicast)
ইউনিকাস্ট (Unicast)
-
ইউনিকাস্ট মোডে একটি প্রেরক থেকে শুধুমাত্র একটি প্রাপক ডেটা গ্রহণ করতে পারে।
-
একাধিক প্রাপক একসাথে ডেটা গ্রহণ করতে পারে না।
-
এজন্য সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স, ও ফুল-ডুপ্লেক্স মোডকেও ইউনিকাস্ট মোড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
যেমন: একটি কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট আরেকটি কম্পিউটারে ইমেইল পাঠানো।
ব্রডকাস্ট (Broadcast)
-
ব্রডকাস্ট মোডে একটি নোড থেকে প্রেরিত ডেটা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে।
-
উদাহরণস্বরূপ, টেলিভিশন সম্প্রচার—একটি সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে পাঠানো মুভি বা সংবাদ সকল দর্শক একইসাথে দেখতে পারেন।
-
এক্ষেত্রে একটি প্রেরক থেকে সকল প্রাপকই ডেটা গ্রহণ করে।
0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 month ago
A
শুধু ০ ও ১ ব্যবহার করে
B
কম্পিউটারের মূল সংখ্যা পদ্ধতি
C
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
D
ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো একটি ভিত্তি-২ সংখ্যা পদ্ধতি, যেখানে শুধুমাত্র দুটি ডিজিট, ০ এবং ১, ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষভাবে কম্পিউটার এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স-এর জন্য উপযোগী।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মূল তথ্য:
-
এটি ২-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি, যেখানে কেবল ০ এবং ১ ব্যবহার করা হয়।
-
এই দুটি অংককে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে যেকোনো সংখ্যা প্রকাশ করা যায়।
-
বাইনারি পদ্ধতির বেজ হলো ২।
-
উদাহরণ: (110)₂, (1101)₂ ইত্যাদি।
-
কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে সমস্ত ডেটা সংরক্ষণ করে।
-
কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে দশমিক (Decimal) সংখ্যা পদ্ধতি (০–৯) সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago