২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় কোন দাবিতে?
A
দ্রব্যমূল্য হ্রাস
B
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
C
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার
D
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল
উত্তরের বিবরণ
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহারের বিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়।
-
আন্দোলনের শুরু হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের জুনের রায়ের পর, যখন পুরনো ৫৬% কোটা পুনর্বহাল করা হয়।
-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
সরকার আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করলে জনরোষ আরও তীব্র হয়।
-
আন্দোলনকারীরা “জুলাই বিপ্লব” নামে গণজাগরণ শুরু করে, যা পরবর্তীতে “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়।
-
৫ আগস্ট ২০২৪ এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে।
-
এই অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা হয়েও সদস্য ছিল না -
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
-
গঠিত: ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে
-
প্রধান উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা: ৬৩টি
-
উদ্দেশ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা
-
একে অপরকে আক্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করা
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে সমবেতভাবে সহায়তা করা
-
সংখ্যালঘু সমস্যা ও ম্যান্ডেট বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
-
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থান:
-
যুক্তরাষ্ট্র লীগ অব নেশনসের প্রধান উদ্যোক্তা, তবে কখনো সদস্য হয়নি
-
১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এটি প্রত্যাখ্যান করে
-
প্রধান কারণ: যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল বাইরের রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, যা আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশ হওয়ার সাথে সাংঘর্ষিক ছিল
-
পরবর্তীতে, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দেয়
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি লীগ অব নেশনসের সদস্য ছিল
-
লীগ অব নেশনস বিলুপ্ত হয় ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬ (জাতিসংঘের ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রিটানিকার মতে ১৯ এপ্রিল)
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারী যোদ্ধাদের মধ্যে কে বীর প্রতীক উপাধি পান?
Created: 1 month ago
A
তারামন বিবি
B
কাকলী রায়
C
সুলতানা বেগম
D
রওশন আরা
মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে নারীরাও পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ প্রকৃত অর্থেই ছিল জনযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বাত্মকভাবে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ও স্বীকৃতি:
-
মোট গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে মোট বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন
বীর প্রতীকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা:
১. ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
২. তারামন বিবি
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব?
Created: 1 month ago
A
৫১নং অনুচ্ছেদ
B
৫৩নং অনুচ্ছেদ
C
৫২নং অনুচ্ছেদ
D
৫৪নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্পর্কিত বিধান অনুচ্ছেদ ৫২(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তবে সংসদ তাকে অভিশংসন করতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
প্রধান বিষয়গুলো হলো:
-
অভিশংসনের অভিযোগ আনার জন্য সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাবের নোটিশ স্পিকারের নিকট জমা দিতে হবে।
-
নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা ৩০ দিনের পরে প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উত্থাপন করা যাবে না।
-
যদি সংসদ অধিবেশনরত না থাকে, তবে স্পিকার অবিলম্বে সংসদ আহ্বান করবেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৫১: রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
-
অনুচ্ছেদ ৫৩: অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
-
অনুচ্ছেদ ৫৪: রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি বা সাময়িক অক্ষমতার ক্ষেত্রে স্পিকারের দায়িত্বগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago