বাংলাদেশ সর্বপ্রথম কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে?
A
জাতিসংঘ
B
কমনওয়েলথ
C
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা
D
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
১৯৭২ সালের ১৮ই এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে, যা দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা যোগদান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৮ এপ্রিল কমনওয়েলথে ৩৪তম দেশ হিসেবে যোগ দেয়।
-
এই সদস্যপদ ছিল বাংলাদেশর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে প্রথম পদচিহ্ন।
অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগদান:
-
জাতিসংঘ (UN): ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, ১৩৬তম সদস্য।
-
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC): ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি, লাহোর সম্মেলনে যোগদান।
-
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM): ১৯৭৩ সালে সদস্য পদ লাভ।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানে প্রস্তাবনার প্রথম ভাগে কী ঘোষণা করা হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
গণপরিষদে গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
B
সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা
C
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
D
মূলনীতি গ্রহণ
প্রস্তাবনা
সংবিধান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ১১টি অধ্যায় বা ভাগ, ৭টি তফসিল এবং ৪টি মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা রয়েছে, যা পাঁচটি ভাগে বিভক্ত:
-
১ম ভাগ: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য় ভাগ: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য় ভাগ: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ ভাগ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম ভাগ: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
0
Updated: 3 weeks ago
প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদকাল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২-১৯৭৭
B
১৯৭৩-১৯৭৮
C
১৯৭৪-১৯৭৯
D
১৯৭৫-১৯৮০
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা:
- বাংলাদেশে মোট ৮টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
- প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮)।
- দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮০-১৯৮৫)।
- তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮৫-১৯৯০)।
- চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯০-১৯৯৫)।
- পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯৭-২০০২)।
- ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫)।
- সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০)।
তথ্যসূত্র -
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ ‘সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া’ সম্পর্কিত?
Created: 1 month ago
A
৬৭ (১) নং
B
৬৯ নং
C
৬৮ নং
D
৭০ (১) নং
সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হওয়ার শর্তাবলি
সংবিধানের ৬৭ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
কোনো সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হবে, যদি—
-
শপথ গ্রহণ না করলে: নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করতে এবং শপথপত্র/ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন।
-
তবে শর্ত থাকে যে, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথাযথ কারণে সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
-
-
অবিরাম অনুপস্থিত থাকলে: সংসদের অনুমতি ছাড়া একটানা নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন।
-
সংসদ ভেঙে গেলে।
-
অযোগ্য হলে: সংবিধানের ৬৬(২) দফার অধীনে অযোগ্য হয়ে পড়েন।
-
দলীয় সীমানা লঙ্ঘন করলে: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সংবিধানের ৬৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
কোনো সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে নিজের পদ ত্যাগ করতে পারেন।
-
স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার আসন শূন্য হবে।
-
যদি স্পিকারের পদ শূন্য থাকে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, তবে ডেপুটি স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করলে সেই মুহূর্ত থেকে সদস্যপদ শূন্য গণ্য হবে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago