পাকিস্তানের গণপরিষদে সর্বপ্রথম কে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন?
A
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
B
এ. কে. ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
প্রফেসর আবুল কাশেম
উত্তরের বিবরণ
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার কংগ্রেস দলীয় গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করেন।
-
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন।
-
তিনি সরকারি কাগজে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে, ২৫ ফেব্রুয়ারি অধিবেশনে তিনি সর্বপ্রথম বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হন।
-
অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গণপরিষদে কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, অথচ সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
-
তিনি ইংরেজি ও উর্দুর সঙ্গে বাংলারও ব্যবহার দাবী করেন।
-
উল্লেখযোগ্য, বাংলা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা, তাই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পাওয়া স্বাভাবিক ছিল।
-
তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষী বুদ্ধিজীবীরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন এবং বাংলার দাবিকে উপেক্ষা করা হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে "জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার" এর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩২ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৩ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
D
৩৫ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সন্নিবেশিত আছে, যা ২৬ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
৩২ নং অনুচ্ছেদ: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা।
-
আইনানুযায়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে জীবন বা ব্যক্তি-স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
-
-
৩৩ নং অনুচ্ছেদ: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কিত রক্ষাকবচ।
-
৩৪ নং অনুচ্ছেদ: জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
৩৫ নং অনুচ্ছেদ: বিচার ও দণ্ড সম্পর্কিত রক্ষা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
শাক্তধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে অনেক বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়।
পাল রাজবংশ:
-
পাল বংশ অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসন করেছিল।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় প্রায় একশ বছর অরাজকতা বিরাজ করেছিল, যা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
এই অরাজকতার অবসান ঘটান গোপাল, যিনি পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।
-
পালবংশের রাজারা প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
-
এই যুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পরে পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি হন।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
উল্লেখযোগ্য:
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
-
পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
“প্রতিবাদী তারুণ্য” ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পুরস্কার- ২০২৫ পেয়েছেন -
Created: 1 month ago
A
মীর মুগ্ধ
B
আবু সাঈদ
C
নাহিদ ইসলাম
D
আবরার ফাহাদ
স্বাধীনতা পুরস্কার – ২০২৫
-
সংজ্ঞা: স্বাধীনতা পুরস্কার হলো বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
-
প্রবর্তন: ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন।
-
প্রদত্ত সামগ্রী: ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৫ লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র।
২০২৫ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: জনাব বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
0
Updated: 1 month ago