'অন্ধকূপ হত্যা' (Black Hole Tragedy) নামক ঘটনাটি কোন নবাবের শাসনামলের সাথে জড়িত?
A
সিরাজ-উদ-দৌলা
B
আলীবর্দী খান
C
নবাব মুর্শিদকুলী খান
D
মীর কাসিম
উত্তরের বিবরণ
অন্ধকূপ হত্যা হলো ১৭৫৬ সালের ২০ জুনের ঘটনাসংক্রান্ত এক কাহিনী, যা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কর্তৃক কলকাতা দখলের সময় সংঘটিত হওয়ার কথা বলা হয়। এই ঘটনার মূল বিবরণ এসেছে ইংরেজ সেনাপতি জন জেফেনিয়াহ হলওয়েল-এর লেখা থেকে।
-
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালের জুনে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দখল করেন।
-
দখলের সময় ১৪৬ জন ইংরেজ সৈন্যকে একটি ক্ষুদ্র বন্দিশালায় আবদ্ধ রাখা হয়, যা ছিল ১৮ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থের।
-
গ্রীষ্মের অতি উত্তাপে এবং অসহনীয় পরিস্থিতিতে বন্দিরা রাতযাপন করতে বাধ্য হন।
-
কাহিনী অনুযায়ী, ১২৩ জন ইংরেজ মারা যান। জীবিতদের মধ্যে ছিলেন হলওয়েল।
-
হলওয়েল এই শোকাবহ ঘটনার বিস্তৃত বর্ণনা দেন এবং নবাবকে এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
-
নবাবের আক্রমণের কারণে (১৬-২০ জুন, ১৭৫৬) ফোর্ট উইলিয়ামের ইংরেজরা পলায়ন করতে বাধ্য হয়। জন জেফেনিয়াহ হলওয়েলসহ ১৭০ জন ইংরেজ সময়মতো জাহাজে উঠতে ব্যর্থ হয়ে বন্দি হন।
-
উনিশ শতকের প্রথম দিকের অধিকাংশ ইংরেজ ইতিহাসবিদ এই কাহিনী বিশ্বাস করতেন এবং অন্ধকূপ হত্যাকে প্রাচ্যশাসকদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার নিদর্শন হিসেবে দেখতেন।
-
তবে পরবর্তীকালের ইতিহাসবিদরা হলওয়েলের কাহিনীর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং মনে করেন এই ঘটনা নবাবের অজ্ঞাতেই ঘটেছিল।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
জনমত গঠন
B
শান্তি রক্ষা করা
C
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ
D
জনগণের সেবা করা
রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন
-
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হল রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জন এবং সরকার গঠন।
-
ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে তারা নিজেদের কর্মসূচি ও মতাদর্শ বাস্তবায়ন করে।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
-
শাসক দলের লক্ষ্য হল ক্ষমতায় স্থায়ী থাকা।
-
বিরোধী দলের লক্ষ্য হল নিজেদের আদর্শ ও নীতিমালার ভিত্তিতে শাসক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং সরকারের কার্যক্রম যাচাই করা।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশে বসবাসরত কোন নৃগোষ্ঠীর মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
গারো
D
সাঁওতাল
গারো নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এরা মূলত উত্তর-মধ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে, পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও তাদের বসতি রয়েছে। নৃ-বৈজ্ঞানিক দিক থেকে তারা মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
বসবাস: টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর।
-
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা; শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী; টাঙ্গাইলের মধুপুর।
-
নৃ-বিজ্ঞান অনুযায়ী: মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার বোড়ো উপশাখা।
-
সমাজব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক।
-
উত্তরাধিকারী কন্যা: নক্না।
-
আত্মপরিচয়: আচিক্ মান্দে।
-
প্রধান গোত্র: সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
-
প্রধান ধর্ম: খ্রিস্টধর্ম (ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক সম্প্রদায়)।
-
প্রধান উৎসব: ওয়ানগালা (ধান কাটার উৎসব, ফসল উৎসব)।
-
তুলনামূলকভাবে: চাকমা, মারমা ও সাঁওতাল সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
আদি ইতিহাস
-
আদি বাসভূমি ছিল চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিনকিয়াং প্রদেশ।
-
পরবর্তীতে তারা তিব্বত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করে।
-
প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ হাজার বছর আগে গারো পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে।
-
সর্বশেষ তারা ময়মনসিংহ অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে ক্ষুদ্র সামন্তরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কত সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৮৬ সালে
B
১৯৮৭ সালে
C
১৯৯৫ সালে
D
১৯৯৬ সালে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও সমাজ সংস্কারক, যিনি ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনের মাধ্যমে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের জন্য দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
-
তিনি ক্ষুদ্রঋণ নামক বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হিসেবে স্বীকৃত।
-
তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
২০০৬ সালে, তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
-
এছাড়াও তিনি র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড, বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কারে সম্মানিত হন।
-
তিনি ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সেই সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
-
তার লেখা আত্মজীবনীমূলক বই ‘Banker to the Poor’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
-
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো: ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের জন্য’, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’, ‘বাংলাদেশ ২০১০’, ‘যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন’, ‘Creating a World Without Poverty’, ‘সামাজিক ব্যবসা’, ‘A World of Three Zeros’, এবং ‘বালক পরিব্রাজকের দিনলিপি’।
-
তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত তার “তিন শূন্য” বা “থ্রি জিরো” তত্ত্বের জন্য, যার লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য, বেকারত্ব, এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।
-
এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন, এবং সামাজিক ব্যবসাকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেন।
0
Updated: 1 month ago