তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন —
A
অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া
B
অধ্যাপক আবুল কাশেম
C
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
D
হাসান ইকবাল
উত্তরের বিবরণ
তমদ্দুন মজলিশ হলো একটি ইসলামী আদর্শাশ্রয়ী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশে ইসলামী আদর্শ ও ভাবধারা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
-
সংগঠনটি ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম-এর উদ্যোগে
-
প্রারম্ভিক নাম: পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ
-
প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক আবুল কাশেমের অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর, হাসান ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সিনিয়র ছাত্র।
-
প্রফেসর আবুল কাশেম ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
-
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে মজলিশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে কবে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
২০২৫ সালে
B
২০২৬ সালে
C
২০২৭ সালে
D
২০৩০ সালে
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (Least Developed Countries - LDC) হলো এমন দেশগুলোর তালিকা, যেগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
তথ্যগুলো হলো:
-
জাতিসংঘ বিশ্বে সব দেশকে উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশ হিসেবে ভাগ করে।
-
উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলকভাবে দুর্বল, তাদেরকে স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
-
প্রথম LDC তালিকা তৈরি হয় ১৯৭১ সালে।
-
বর্তমানে ৪৪টি দেশ এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
-
বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে LDC তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হবে।
অর্থাৎ, LDC তালিকা হলো তুলনামূলকভাবে দুর্বল দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, যা দেশের উন্নয়নগত অগ্রগতি মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড।
0
Updated: 1 month ago
কোনাে নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী তিনি মামলা করতে পারেন?
Created: 1 month ago
A
১০৩নং অনুচ্ছেদ
B
১০২নং অনুচ্ছেদ
C
১০৫নং অনুচ্ছেদ
D
১০৪নং অনুচ্ছেদ
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সংবিধান হাইকোর্টকে মামলা গ্রহণ ও আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করেছে, যা সংবিধানের ১০২নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে প্রযোজ্য। এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধানিক উপায়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ:
-
৪৪(১) নং অনুচ্ছেদ: এই অনুচ্ছেদের অধীনে প্রদত্ত অধিকারসমূহ রক্ষা করার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
-
৪৪(২) নং অনুচ্ছেদ: হাইকোর্টের ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ না করে সংসদ আইন দ্বারা অন্য আদালতকে হাইকোর্টের এখতিয়ার সীমার মধ্যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা যেতে পারে।
-
-
অনুচ্ছেদ ১০২: সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের অধীনে হাইকোর্টে মামলা বা রিট দায়ের করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
অন্য সংবিধানিক বিধানসমূহ:
-
১০৩: আপীল বিভাগের এখতিয়ার
-
১০৪: আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারি ও নির্বাহ
-
১০৫: আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা
0
Updated: 1 month ago
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ কত সালে দেশে সামরিক আইন জারি করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৮১ সালে
B
১৯৮২ সালে
C
১৯৮৩ সালে
D
১৯৮৪ সালে
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে সামরিক আইন জারি
-
পটভূমি:
-
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহতের পর, উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
-
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল:
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাত্তার পদে আসার মাত্র চার মাসের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে।
-
রাষ্ট্রপতি সাত্তার অপসারিত হন।
-
এরশাদ নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
সামরিক আইন কার্যক্রম:
-
সংবিধান স্থগিত, জাতীয় সংসদ বাতিল, এবং মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
-
সামরিক সরকার দেশে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
-
পরিণতি:
-
টানা ৯ বছর আন্দোলনের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আন্দোলনের কারণে এরশাদ পতিত হন।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
উৎস:
i) ইতিহাস ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বিবিসি বাংলা
0
Updated: 1 month ago