ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব কবে ও কোথায় উত্থাপিত হয়?
A
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে
B
১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে
C
১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল, কলকাতায়
D
১৯৪৭ সালের ৩ জুন, করাচিতে
উত্তরের বিবরণ
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান প্রস্তাব নামেও পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রস্তাবটি জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত হয় এবং ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে সুপরিচিত।
-
প্রস্তাবের ভিত্তি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
প্রস্তাবে সরাসরি ‘পাকিস্তান’ শব্দ ব্যবহৃত হয়নি, তথাপি এটি মুসলিমদের পৃথক আবাসভূমির স্বপ্ন বপন করে।
-
এই প্রস্তাব ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারণা সৃষ্টি করে।
-
কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ লাহোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন নৃগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক?
Created: 2 months ago
A
চাকমা
B
ত্রিপুরা
C
লুসাই
D
গারো
গারো জনগোষ্ঠী
-
গারো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
-
এরা দেশের টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর জেলায় বসবাস করে।
-
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
নৃ-বিজ্ঞানীদের মতে, গারোরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর তিব্বতীবর্মণ শাখার বোড়ো উপশাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
আদি বাসভূমি বর্তমান চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিন-কিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকে তারা দেশত্যাগ করে পরবর্তীকালে তিব্বতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছিল।
-
পরে ভারতের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য এলাকা এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলে এরা বসতি গড়ে।
-
গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
-
পরিবারে মা কর্তা ও সম্পত্তির অধিকারী, পিতা পরিবারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
-
সন্তানরা মায়ের পদবি অনুযায়ী পরিচিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস না হওয়ার প্রধান কারণ -
Created: 1 month ago
A
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো
B
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
C
ভারতের আপত্তি
D
চীনের অনুপস্থিতি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি, যা বাংলাদেশের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে মোট তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই তিনবারের প্রতিটি প্রস্তাবেই ভেটো দেয়।
-
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণ করে।
-
তার পাল্টা হিসেবে ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত সোভিয়েত ইউনিয়নের ২০তম নৌবহর ৭ম নৌবহরের পিছু নেয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago