যে সাইবার আক্রমণ সংঘটিত হলে গ্রাহকের বৈধ অনুরােধসমূহ কোন একটি web server সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয় সেটি কী নামে পরিচিত?
A
Phishing
B
Man-in-the-Middle
C
Denial of Service
D
উপরের কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণপদ্ধতি রয়েছে, যা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জানা জরুরি।
-
Denial of Service (DoS): এটি একটি সাইবার আক্রমণ, যেখানে গ্রাহকের বৈধ অনুরোধসমূহ একটি ওয়েব সার্ভার সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়। এই আক্রমণের ফলে কম্পিউটার বা ডিভাইস তার মূল কার্যকারিতা ঠিকমতো পালন করতে পারে না।
-
DDoS Attack:
-
DDoS এর পূর্ণরূপ হলো Distributed Denial of Service।
-
এটি এক ধরণের সাইবার অপরাধ।
-
DDoS আক্রমণে একাধিক নেটওয়ার্ক বা কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি সিস্টেম বা ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত লোড সৃষ্টি করা হয়, যা সিস্টেমের কার্যক্রমকে ধীর করে বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।
-
DoS আক্রমণে একটি একক নেটওয়ার্ক লক্ষ্য করা হয়, আর DDoS আক্রমণে একাধিক নেটওয়ার্ককে একইসাথে লক্ষ্য করা হয়।
-
-
Man-in-the-Middle (MITM): দুই কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগের সময় একটি তৃতীয় পক্ষ হ্যাকার হিসাবে অনুপ্রবেশ করলে সেটিকে ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক বলা হয়। এর মাধ্যমে হ্যাকার টার্গেটের গোপনীয় তথ্য, যেমন ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য, চুরি বা সংগ্রহ করতে পারে।
-
Phishing: ফিশিং হলো এমন একটি হ্যাকিং পদ্ধতি যেখানে হ্যাকার একটি লোভনীয় অফার বা ইমেইল ব্যবহার করে আসল ওয়েবসাইটের নকল তৈরি করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যেমন লগইন ক্রেডেনশিয়াল বা আর্থিক তথ্য, চুরি করা হয়।

0
Updated: 15 hours ago
কোন মাধ্যমে আলোর পালস ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
তামার তার
B
কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
C
অপটিকাল ফাইবার
D
ওয়্যারলেস মিডিয়া
ফাইবার অপটিক ক্যাবল
ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলো একটি আলোক পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার দ্বারা গঠিত। এই ফাইবারগুলোতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না, বরং ডেটা প্রেরণের জন্য আলোর পালস ব্যবহৃত হয়।
ফাইবার তৈরিতে সাধারণত সিলিকা বা মাল্টি-কমপোনেন্ট কাঁচ ব্যবহার করা হয়, যা বৈদ্যুতিকভাবে অন্তরক। অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা প্রেরণ হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন (total internal reflection) পদ্ধতির মাধ্যমে, অর্থাৎ আলোর পালস উৎস থেকে গন্তব্যে পৌঁছায় প্রায় কোনও শক্তি ক্ষয় ছাড়াই।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তিনটি প্রধান অংশ
-
কোর (Core)
-
ফাইবারের ভিতরের অংশ, যা আলোর পথে থাকে।
-
ব্যাস প্রায় ৮ থেকে ১০০ মাইক্রন।
-
-
ক্ল্যাডিং (Cladding)
-
কোরকে ঘিরে থাকা বাইরের স্তর।
-
কোরের ভিতরের আলো বাইরে বের না হতে সাহায্য করে।
-
-
জ্যাকেট (Jacket)
-
পুরো ফাইবারকে আবৃত করে।
-
এটি ফাইবারকে বাহ্যিক চাপ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
-
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি output device নয়?
Created: 15 hours ago
A
monitor
B
microphone
C
printer
D
speaker
মাইক্রোফোন একটি ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে। কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহৃত হয়, যেগুলোকে মূলত ইনপুট, আউটপুট এবং ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
ইনপুট ডিভাইস:
-
ইনপুট ডিভাইস হলো সেই হার্ডওয়্যার বা ডিভাইস, যার মাধ্যমে কম্পিউটার বিভিন্ন পরিবেশ বা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা গ্রহণ করে।
-
উল্লেখযোগ্য ইনপুট ডিভাইসগুলো হলো: Keyboard, Mouse, Trackball, Joystick, Touch Screen, Barcode Reader, Point-of-sale, OMR, OCR, Scanner, Digitizer, Lightpen, Graphics pad, Digital Camera ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস:
-
আউটপুট ডিভাইস হলো সেই হার্ডওয়্যার, যা কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত তথ্য বা ফলাফল প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো: Monitor, Printer, Plotter, Speaker, Multimedia Projector, Image setter, Film Recorder, Headphone ইত্যাদি।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস:
-
এমন ডিভাইসগুলো, যা একইসাথে ইনপুট ও আউটপুট হিসেবে কাজ করে, তাদেরকে ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো: Hard Disk, CD/DVD, Touch screen, Pendrive, Modem ইত্যাদি।

0
Updated: 15 hours ago
Mobile Phone-এর কোনটি input device নয়?
Created: 2 weeks ago
A
Keypad
B
Touch Screen
C
Camera
D
Power Supply
পেরিফেরাল ডিভাইস
কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত যে হার্ডওয়্যারগুলো ডেটা ইনপুট বা আউটপুট হিসেবে কাজ করে, সেগুলোকে কম্পিউটার পেরিফেরাল ডিভাইস বলা হয়। পেরিফেরাল ডিভাইসগুলো মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে:
ইনপুট ডিভাইস
যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী বা পরিবেশ থেকে তথ্য কম্পিউটারে পৌঁছায়, সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
কীবোর্ড (Keyboard)
-
মাউস (Mouse)
-
ট্র্যাকবল (Trackball)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
-
বারকোড রিডার (Barcode Reader)
-
পয়েন্ট-অফ-সেল (Point-of-sale)
-
OMR, OCR
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
লাইটপেন (Lightpen)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)
আউটপুট ডিভাইস
যেসব ডিভাইস কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শন করে, সেগুলোকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
ফিল্ম রেকর্ডার (Film Recorder)
-
হেডফোন (Headphone)
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
যেসব ডিভাইস একই সময়ে তথ্য গ্রহণ ও প্রদর্শন করতে পারে, সেগুলোকে ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
হার্ড ডিস্ক (Hard Disk)
-
CD/DVD
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
-
পেনড্রাইভ (Pendrive)
বিঃদ্রঃ পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply) কোনো ইনপুট ডিভাইস নয়।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago