ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য সাগরপৃষ্ঠের ন্যূনতম তাপমাত্রা কত হওয়া প্রয়ােজন?
A
২৬.৫° সে.
B
৩৫° সে.
C
৩৭.৫° সে.
D
৪০.৫° সে.
উত্তরের বিবরণ
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য বিশেষ কিছু পরিবেশগত শর্তের উপস্থিতি প্রয়োজন, যা মূলত সমুদ্র ও আকাশের তাপমাত্রা এবং বায়ুর চাপের সাথে সম্পর্কিত।
এই ধরনের দুর্যোগ সাধারণত গভীর সমুদ্রে জন্ম নেয় এবং পরে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। সাইক্লোন সৃষ্টির মূল কারণগুলো নিম্নরূপ:
-
সাগরের ন্যূনতম তাপমাত্রা ২৬.৫° থেকে ২৭° সেলসিয়াস হতে হবে।
-
উচ্চ তাপমাত্রা ও নিম্নচাপ সাইক্লোনের প্রধান কারণ।
-
ঝড়ের সময় বায়ুপ্রবাহের গতি প্রায় ৬৫ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় সারা বছর এই ধরনের উপযুক্ত তাপমাত্রা বিদ্যমান।
-
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
0
Updated: 1 month ago
ইস্টের সংশ্লিষ্টতা নেই কোন শিল্পে?
Created: 2 months ago
A
মদ্য শিল্পে (Wine industry)
B
রুটি শিল্পে (Bakery)
C
সাইট্রিক এসিড উৎপাদন
D
এক কোষীয় প্রোটিন (Single-cell-protein) তৈরিতে
ইস্ট
-
ইস্ট হলো এক ধরনের ছত্রাকজাতীয় এককোষী অণুজীব।
-
এটি বেকারি শিল্পে রুটি- বিস্কুট ফোলাতে এবং মদ্য শিল্পে ইথানল (মদ) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
ইস্ট থেকে এককোষী প্রোটিন (Single Cell Protein) উৎপাদন করা যায়, যা মানুষের ও প্রাণীর খাবারে ব্যবহারযোগ্য।
-
যেহেতু ইস্টে বিভিন্ন ভিটামিন থাকে, তাই তা ট্যাবলেট আকারেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
-
তবে লক্ষ্যণীয়, সাইট্রিক এসিড বা ভিটামিন সি তৈরিতে ইস্টের কোনো ভূমিকা নেই।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
ইউরিয়া সার থেকে উদ্ভিদ কী খাদ্য উপাদান গ্রহন করে?
Created: 2 months ago
A
ফসফরাস
B
নাইট্রোজেন
C
পটাশিয়াম
D
সালফার
ইউরিয়া সার
-
বাংলাদেশের ব্যবহৃত নাইট্রোজেনজাতীয় সারগুলির মধ্যে ইউরিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয়।
-
ইউরিয়াতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সর্বাধিক থাকে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রকৃতিতে, গৃহপালিত পশুর মূত্রেও ইউরিয়া থাকে এবং এটি মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে যোগ হতে পারে।
-
উদ্ভিদ মূলত ইউরিয়া থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।
-
জমিতে ইউরিয়া প্রয়োগ করলে, অনেক ফসল এটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি শোষণ করতে পারে।
-
যদি উদ্ভিদের পত্রে নাইট্রোজেনের অভাব দেখা যায়, তবে ইউরিয়ার দ্রবণ তৈরি করে সিঞ্চন পদ্ধতিতে পাতায় প্রয়োগ করলে উদ্ভিদ তা পত্র-রন্ধ্রের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
-
এর ফলে, রোগাক্রান্ত বা দুর্বল শিকড়যুক্ত উদ্ভিদও দ্রুত সতেজ এবং সুস্থ হয়ে ওঠে।
উৎস: উদ্ভিদ পুষ্টি ও সার ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হত না?
Created: 3 months ago
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বনেট
লবণ
-
ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃) এক ধরনের লবণ, যা পানিতে গলে না বা দ্রবীভূত হয় না।
-
সাধারণ খাবারে যে লবণ ব্যবহৃত হয় তা হলো –
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) – যা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি,
-
সোডিয়াম গ্লুটামেট (C₅H₈NO₄Na) – যা খাবারের স্বাদ বাড়ায় (বিশেষ করে চাইনিজ খাবারে)।
-
-
মাটির অম্লতা (এসিডিটি) দূর করতে চুনাপাথর (CaCO₃) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বাড়াতে আমরা যে সার ব্যবহার করি, তার অনেকগুলোই আসলে লবণ। যেমন –
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO₃)
-
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO₄) একটি লবণ যা কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দমন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বেশিরভাগ লবণ পানিতে গলে যায়, তবে কিছু লবণ পানিতে গলে না এবং শৈবাল (algae) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
যেমন:-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃)
-
সিলভার সালফেট (Ag₂SO₄)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
এইভাবেই লবণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় – খাবার, কৃষি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই।
0
Updated: 3 months ago