কোন চিহ্নটি ই-মেইল ঠিকানায় অবশ্যই থাকবে?
A
$
B
#
C
&
D
@
উত্তরের বিবরণ
ইমেইল হলো ডিজিটাল মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি, যা একজন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অন্য একজন বা একাধিক প্রাপকের কাছে বার্তা বা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। ইমেইলের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৭১ সালে, যখন রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিসন আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম ইমেইল সিস্টেম চালু করেন।
-
ই-মেইল ঠিকানা সর্বদা @ চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।
-
একটি ইমেইল ঠিকানা ইউজার আইডি এবং ডোমেইন নেম নিয়ে গঠিত। উদাহরণস্বরূপ, [email protected]এ @ এর পূর্বে থাকে ইউজার আইডি এবং @ এর পরে থাকে ডোমেইন নেম।
-
ইমেইল সার্ভারগুলো বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য POP, IMAP, এবং SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করে।
-
ইমেইল ঠিকানায় ব্যবহৃত সংক্ষেপের অর্থ:
-
CC: Carbon Copy
-
BCC: Blind Carbon Copy
-

0
Updated: 16 hours ago
নিম্নের কোন রােগটি DNA ভাইরাসঘটিত?
Created: 16 hours ago
A
ডেঙ্গুজ্বর
B
স্মলপক্স
C
কোভিড-১৯
D
পােলিও
স্মলপক্স একটি DNA ভাইরাসঘটিত রোগ যা ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণত ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে হয় DNA অথবা RNA থাকে, কিন্তু উভয়টি একসাথে কখনো থাকে না। অন্যান্য জীবদেহে DNA ও RNA একসাথে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো নিচে সাজানো হলো:
-
স্মলপক্স রোগটি DNA ভাইরাসঘটিত।
-
ভেরিওলা ভাইরাস মানবদেহে স্মলপক্স বা গুটি বসন্ত সৃষ্টি করে।
-
ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে DNA ও RNA থাকে, তবে একই সাথে দুইটি কখনো থাকে না।
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে তাদেরকে DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্পিস সিমপ্লেক্স (মানব), Tipula irridescent, Rabbitpox, Vaccinia (bovine), ভেরিওলা (মানব), Pustular dermatitis (Sheep), এডেনা গ্রুপ, প্যাপিলোমা (মানব), পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated প্রভৃতি।
RNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে তাদেরকে RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (মানব), পোলিও (মানব), রুবেলা (মানব), পীতজ্বর (মানব), ডেঙ্গু (মানব), Encephalitis (মানব), Leukemia (cat), মাম্পস (মানব), Measles (মানব), Cold (মানব), Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Potato yellow dwarf, Vesicular stomatitis (cattle), Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, fd (Pseudomonas), Cucumber mosaic, f2, fr1, R17 কলিফাজ প্রভৃতি।

0
Updated: 16 hours ago
কোনটি জারক পদার্থ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
জারণ-বিজারণে জারক ও বিজারক পদার্থ
১. জারক পদার্থ (Oxidant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিডেন্ট বলে।
-
ইলেকট্রন গ্রহণ করার পর জারক নিজেই বিজারিত (কম্পাউন্ড বা পদার্থ কম আয়ন বা কম শক্তিশালী অবস্থায় আসে) হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
উদাহরণ:
SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂
২. বিজারক পদার্থ (Reductant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন দানে সক্ষম, তাকে বিজারক বা রিডাক্ট্যান্ট বলে।
-
ইলেকট্রন দানের পর বিজারক নিজেই জারিত হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন দানের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
উদাহরণ:
H, Li, Na, K, Rb — এগুলো তীব্র বিজারক।
Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂ — এগুলোও বিজারক হিসেবে কাজ করে।
৩. বিশেষ কিছু মন্তব্য:
-
SO₂ একসাথে জারক ও বিজারক উভয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো কাজ করে, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় পরিবেশে এটি বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে গেলে পরমাণুর আকার-
Created: 1 week ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
হ্রাস পায়
C
হঠাৎ কমে যায়
D
অপরিবর্তিত থাকে
পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius)
-
সংজ্ঞা: পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হলো পরমাণুর কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) থেকে সবচেয়ে বাইরের ইলেকট্রন পর্যন্ত দূরত্ব। এটি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম অনুসরণ করে।
1️⃣ একই পর্যায়ে (Period) পরিবর্তন
-
বাম থেকে ডান দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমে যায়।
-
কারণ, একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লেও প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
-
পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লে নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ইলেকট্রনও বৃদ্ধি পায়।
-
নিউক্লিয়াসের অধিক প্রোটন ও বাইরের ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেলে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের দিকে টানে, ফলে পরমাণুর আকার ছোট হয়।
2️⃣ একই গ্রুপে (Group) পরিবর্তন
-
উপরের দিক থেকে নিচের দিকে গেলে নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়, তাই পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায়।
-
যদিও নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা ও বাইরের ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ার কারণে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, নতুন শক্তিস্তরের যোগ পারমাণুর আকারকে বড় করে।
-
ফলস্বরূপ, গ্রুপের নিচের মৌলের আকার উপরের মৌলের চেয়ে বড় হয়।
সংক্ষেপে:
-
Period: বাম → ডান = আকার ↓
-
Group: উপরে → নিচে = আকার ↑
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago