
A
৮
B
১৭
C
৯
D
২৫
উত্তরের বিবরণ
আইসোটোপ হলো এমন পরমাণু, যাদের প্রোটন সংখ্যা সমান হলেও ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের পরমাণু একে অপরের থেকে সামান্য ভৌত বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। নিচে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
-
আইসোটোপ: যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।
-
ভারী আইসোটোপের স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক সাধারণত কিছুটা বেশি হয়, তবে এ পার্থক্য অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষাযোগ্য।
-
বর্তমানে মোট আইসোটোপের সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
ভর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কোনো পরমাণুর ভর সংখ্যা (A) = প্রোটন সংখ্যা (Z) + নিউট্রন সংখ্যা (n)।
-
ভর সংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বাদ দিলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়।
উদাহরণ:
-
অক্সিজেন (O)-এর ভর সংখ্যা = ১৭, প্রোটন সংখ্যা = ৮
-
নিউট্রন সংখ্যা = ১৭ – ৮ = ৯
0
Updated: 1 month ago
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কী?
Created: 2 months ago
A
অক্সিজেন পরিবহন করা
B
রোগ প্রতিরোধ করা
C
রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করা
D
উপরে উল্লিখিত সব কয়টিই
হিমোগ্লোবিনের কাজ
-
রক্তের হিমোগ্লোবিন প্রধানত শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
-
এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেয়, যাতে কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।
-
হিমোগ্লোবিন কার্বন ডাই-অক্সাইডও বের করতে সাহায্য করে, যা কোষের বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয়।
-
এছাড়া, হিমোগ্লোবিন রক্তকে লাল রঙ প্রদান করে।
0
Updated: 2 weeks ago
সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে কোন ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
Na2O
B
ZnO
C
Al2O3
D
CuO
সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে ব্যবহৃত মূল পার্টিকেল হলো Zinc Oxide (ZnO)। এর কার্যকারিতা ন্যানো কণার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক বেশি। ন্যানো শব্দের অর্থ হলো very small বা অত্যন্ত ক্ষুদ্র।
যেমন, 1 nm মানে হলো 1 × 10⁻⁹ m। ন্যানোস্কেল সিস্টেমে কণার আকার 1 nm থেকে 50 nm এর মধ্যে হলে তাকে ন্যানো কণা বলা হয়।
ন্যানো কণার শ্রেণিবিভাগ
১. Nano-layer (ন্যানো-লেয়ার): যদি কণার আকার one dimension বা একমাত্রিক হয় এবং আকার 1 nm – 100 nm এর মধ্যে থাকে, তাকে ন্যানো-লেয়ার বলা হয়।
২. Nano-tube (ন্যানো টিউব বা ন্যানো-ওয়্যার): যদি কণার আকার two dimensions বা দ্বিমাত্রিক হয়, তবে তাকে ন্যানো-টিউব বা ন্যানো-ওয়্যার বলা হয়।
৩. Nano-particle (ন্যানো পার্টিকেল): যদি কণার আকার three dimensions বা ত্রিমাত্রিক হয়, এবং 1 nm – 100 nm এর মধ্যে থাকে, তবে তাকে ন্যানো পার্টিকেল বলা হয়।
ন্যানো কণার ভৌত ধর্মের পরিবর্তন
সাধারণ অবস্থায় কোনো পদার্থের আকার ভৌত ধর্মকে তেমন প্রভাবিত করে না। কিন্তু nanoparticle size ছোট বা বড় হলে optical, magnetic, electrical, mechanical বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন দেখা যায়। কারণ surface area অনেক বেশি বেড়ে যায়।
কিছু উদাহরণ:
-
(a) Normal অবস্থায় Gold এর রং সোনালী হলুদ এবং Silicon ধূসর। কিন্তু nano size এ Gold ও Silicon লাল রঙের দেখা যায়।
-
(b) Gold এর গলনাঙ্ক সাধারণ অবস্থায় 1064°C। কিন্তু মাত্র 2.5 nm size হলে গলনাঙ্ক নেমে আসে প্রায় 300°C এ।
-
(c) Photovoltaic cell-এ সৌর রশ্মি শোষণের ক্ষমতা পদার্থের আকারের ওপর নির্ভর করে। Nano কণা যত ছোট, তত বেশি solar radiation absorb করতে পারে।
-
(d) ZnO সাধারণ অবস্থায় UV রশ্মি প্রতিহত করে। কিন্তু nano ZnO আরও বেশি UV রশ্মি প্রতিহত করতে সক্ষম। এজন্যই sunscreen lotion তৈরিতে Nano ZnO ব্যবহার করা হয়।
-
(e) সাধারণত অদ্রবণীয় গুঁড়া কোনো liquid-এ মিশ্রিত করলে তা উপরে ভাসে বা নিচে বসে যায়। কিন্তু Nano-powder সূক্ষ্ম হওয়ায় dispersion force এবং ion-dipole interaction এর মাধ্যমে সাসপেনশন অবস্থায় থাকে।
-
(f) Nano কণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হলো magnetic property ও electrical conductivity। যেমন, ferroelectric solid যদি 10 nm আকারের হয় তবে room temperature এ superparamagnetism প্রকাশ করে, যা memory storage-এর জন্য উপযোগী নয়। আবার Graphene ও Carbon nanotube সাধারণ graphite-এর তুলনায় অনেক বেশি conductive।
এই কারণে ন্যানো প্রযুক্তি আজকের আধুনিক বিজ্ঞানে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 4 weeks ago
যে সকল নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা সমান নয়, তাদের কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোটোন
C
আইসোমার
D
আইসোবার
আইসোটোন:
যেসব পারমাণবিক কণার নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা বা ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোটোন বলে।-
আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা একই, কিন্তু ভর সংখ্যা বা নিউট্রনের সংখ্যা আলাদা হয়, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়। -
আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভর সংখ্যা বা মোট নিউক্লিয়ন সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোবার বলে। -
আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা উভয়ই একই, কিন্তু তাদের ভৌত বা রাসায়নিক গঠন আলাদা, তাদেরকে আইসোমার বলা হয়।
সূত্র: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago