
A
৮
B
১৭
C
৯
D
২৫
উত্তরের বিবরণ
আইসোটোপ হলো এমন পরমাণু, যাদের প্রোটন সংখ্যা সমান হলেও ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের পরমাণু একে অপরের থেকে সামান্য ভৌত বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। নিচে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
-
আইসোটোপ: যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।
-
ভারী আইসোটোপের স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক সাধারণত কিছুটা বেশি হয়, তবে এ পার্থক্য অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষাযোগ্য।
-
বর্তমানে মোট আইসোটোপের সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
ভর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কোনো পরমাণুর ভর সংখ্যা (A) = প্রোটন সংখ্যা (Z) + নিউট্রন সংখ্যা (n)।
-
ভর সংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বাদ দিলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়।
উদাহরণ:
-
অক্সিজেন (O)-এর ভর সংখ্যা = ১৭, প্রোটন সংখ্যা = ৮
-
নিউট্রন সংখ্যা = ১৭ – ৮ = ৯

0
Updated: 16 hours ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 3 weeks ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হত না?
Created: 1 month ago
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বনেট
লবণ
-
ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃) এক ধরনের লবণ, যা পানিতে গলে না বা দ্রবীভূত হয় না।
-
সাধারণ খাবারে যে লবণ ব্যবহৃত হয় তা হলো –
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) – যা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি,
-
সোডিয়াম গ্লুটামেট (C₅H₈NO₄Na) – যা খাবারের স্বাদ বাড়ায় (বিশেষ করে চাইনিজ খাবারে)।
-
-
মাটির অম্লতা (এসিডিটি) দূর করতে চুনাপাথর (CaCO₃) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বাড়াতে আমরা যে সার ব্যবহার করি, তার অনেকগুলোই আসলে লবণ। যেমন –
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO₃)
-
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO₄) একটি লবণ যা কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দমন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বেশিরভাগ লবণ পানিতে গলে যায়, তবে কিছু লবণ পানিতে গলে না এবং শৈবাল (algae) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
যেমন:-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃)
-
সিলভার সালফেট (Ag₂SO₄)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
এইভাবেই লবণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় – খাবার, কৃষি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই।

0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।

0
Updated: 1 month ago