নিত্য অতীত:
অতীত কালে কোনো কাজ নিয়মিত বা প্রায়ই ঘটত বোঝালে তাকে নিত্য অতীত কাল বলে।
উদাহরণ—
– খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতাম।
– তিনি রোজ সকালে হাঁটতে বের হতেন।

সাধারণ অতীত:
অতীত কালে কোনো কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়ে গেছে বোঝালে তাকে সাধারণ অতীত কাল বলা হয়।
উদাহরণ—
– তখন বাতিটা জ্বলে উঠল।

ঘটমান অতীত:
অতীত কালে কোনো কাজ চলমান বা সম্পাদনাধীন অবস্থায় ছিল—এমন বোঝালে তা ঘটমান অতীত কাল।
উদাহরণ—
– তারা মাঠে খেলছিল।

পুরাঘটিত অতীত:
অতীতে কোনো কাজ আরও আগে সম্পন্ন হয়েছে এবং তার পর অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে, এমন পরিস্থিতি বোঝালে তাকে পুরাঘটিত অতীত কাল বলে।
উদাহরণ—
– খবরটা তুমি আমাকে চিঠিতে জানিয়েছিলে।

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল:
যে ক্রিয়া সম্ভবত ঘটে গিয়েছে এবং সেটি বোঝাতে সাধারণ ভবিষ্যৎ কালবোধক শব্দ ব্যবহার করা হয়, এমন হলে তার কালকে পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল বলে।

বৈশিষ্ট্য:

• ভবিষ্যতের কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত হয়ে যাবে।

উদাহরণ:

• বাংলাদেশ জিতে থাকবে।

• কাঞ্চন বোধহয় কঠিন অঙ্কটা বুঝে থাকবে।
  (এখানে "বুঝে থাকবে" নির্দেশ করছে যে ভবিষ্যতের নির্দিষ্ট এক সময়ে অঙ্ক বোঝার কাজ সমাপ্ত হবে)

উৎস:
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, অষ্টম শ্রেণি; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

অতীত কালের প্রকারভেদ

১। সাধারণ অতীত:
অতীতে সম্পন্ন হওয়া কাজকে বোঝায়।
যেমন—

• তারা সেখানে বেড়াতে গেল।

• তখন বাতিটা জ্বলে উঠল।

২। ঘটমান অতীত:
অতীতে চলমান অবস্থায় যে কাজ হচ্ছিল তাকে বোঝায়।
যেমন—

• আমরা তখন বই পড়ছিলাম।

• তারা মাঠে খেলছিল।

৩। পুরাঘটিত অতীত:
অতীতে কোনো একটি কাজ বহু আগে সম্পন্ন হয়েছে এবং পরে আরেকটি কাজ ঘটেছে— এমন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
যেমন—

• বৃষ্টি শেষ হওয়ার আগেই আমরা বাড়ি পৌঁছেছিলাম।

• খবরটা তুমি আমাকে চিঠিতে জানিয়েছিলে।

৪। নিত্য অতীত:
অতীতে কোনো কাজ প্রায়ই বা নিয়মিতভাবে ঘটতো বোঝালে নিত্য অতীত হয়।
যেমন—

• খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতাম।

• তারা সাগরের তীরে ঝিনুক কুড়াত।

• তিনি রোজ সকালে বাগানে পানি দিতেন।