নিম্নে বর্ণিত কোনটি ভাষার গুণ নয়?
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
উত্তরের বিবরণ
বাক্য
-
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলা হয়।
-
কয়েকটি পদ একত্রিত হলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্য হয় না।
-
বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।
-
এছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহ মিলিতভাবে একটি অখণ্ড ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ভাষার বিচারে বাক্যের তিনটি গুণ:
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা।
২. আসত্তি:
-
মনোভাব প্রকাশের জন্য পদসমূহ এমনভাবে সাজানো যাতে বাক্যের অর্থ ও ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিলবন্ধন।
-
উদাহরণ: "বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়।" — এখানে পদসমূহের অর্থ ও ভাব একত্রে সমন্বিত।

0
Updated: 16 hours ago
'বাবা' কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
অহমিয়া
D
তুর্কি
‘বাবা’ শব্দ
‘বাবা’ শব্দটি এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে। এর অর্থ হলো পিতা বা জনক।
তুর্কি ভাষা থেকে আগত আরও কিছু শব্দ
বাংলা ভাষায় তুর্কি উৎসের আরও কয়েকটি শব্দ পাওয়া যায়, যেমন—
-
বাবা
-
কোর্মা
-
খাতুন
-
উজবুক
-
চাকু
-
তোপ
-
বাবুর্চি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 2 weeks ago
১৭) 'রপ্তানি' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 4 weeks ago
A
তুর্কি
B
ফরাসি
C
পর্তুগিজ
D
ফারসি
রপ্তানি [বিশেষ্য পদ]
-
এটি একটি ফারসি ভাষার শব্দ।
-
অর্থ: বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য বিদেশে প্রেরণ।
‘ফারসি’ ভাষার আরও কিছু শব্দ
খোদা, গুনাহ, দোজখ, ফেরেশতা, আমদানি, জিন্দা, রপ্তানি, বেহেশত, নমুনা, রোজা, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 4 weeks ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
No subjects available.
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago