'MERCOSUR' প্রতিষ্ঠা লাভ করে কত সালে?
A
১৯৯০ সালে
B
১৯৯১ সালে
C
১৯৯২ সালে
D
১৯৯৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
MERCOSUR হলো দক্ষিণ আমেরিকার একটি বাণিজ্য গোষ্ঠী।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ২৬ মার্চ, ১৯৯১
-
সদর দপ্তর: মন্টিভিডিও, উরুগুয়ে
-
প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি: Treaty of Asuncion
-
চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান: আসুনসিয়ন, প্যারাগুয়ে
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে
-
বর্তমান সদস্য দেশ (সেপ্টেম্বর, ২০২৫): ৫টি
-
আর্জেন্টিনা
-
ব্রাজিল
-
প্যারাগুয়ে
-
উরুগুয়ে
-
ভেনেজুয়েলা
-
-
সহযোগী সদস্য দেশ: ৭টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
0
Updated: 1 month ago
দক্ষিণ আমেরিকার চির বসন্তের দেশ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পেরু
B
ইকুয়েডর
C
বলিভিয়া
D
চিলি
ইকুয়েডর (Ecuador)
নামার্থ: ‘নিরক্ষীয় অঞ্চল’
অবস্থান: উত্তর-পশ্চিম দক্ষিণ আমেরিকা
আয়তন: ৯৯,১১২ বর্গ মাইল (২৫৬,৭০০ বর্গ কিমি)
রাজধানী: কুইটো
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: বর্তমান ইকুয়েডরের অধিকাংশ এলাকা ইনকা সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য:
নিরক্ষরেখায় অবস্থিত
সিয়েরা ব্যতীত বেশিরভাগ এলাকা আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু অনুভব করে
ওরিয়েন্ট: সারা বছর ধরে অস্থির সামুদ্রিক গ্রীষ্মমন্ডলীয় বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত
উদ্বোধনী উপাধি: দক্ষিণ আমেরিকার চির বসন্তের দেশ
তথ্যসূত্র: Britannica.com
0
Updated: 2 months ago
আয়তনে দক্ষিণ আমেরিকার ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
সুরিনাম
B
চিলি
C
পেরু
D
বলিভিয়া
দক্ষিণ আমেরিকা (South America) সম্পর্কে তথ্য
-
আয়তন ও আকৃতি:
-
দক্ষিণ আমেরিকা হলো চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ।
-
মহাদেশের আকৃতি ত্রিকোণাকৃতি।
-
-
প্রধান শিখর ও নদী:
-
সর্বোচ্চ স্থান: আকাঙ্কাগুয়া
-
দীর্ঘতম ও পৃথিবীর প্রশস্ততম নদী: আমাজান
-
-
দেশ ও দ্বীপপুঞ্জ:
-
মোট ১২টি স্বাধীন দেশ রয়েছে।
-
আয়তনে বৃহত্তম দেশ: ব্রাজিল
-
আয়তনে ক্ষুদ্রতম দেশ: সুরিনাম
-
ফকল্যান্ড দ্বীপ মহাদেশের অন্তর্গত।
-
-
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
-
ইকুয়েডরকে ‘চির বসন্তের দেশ’ বলা হয়।
-
নিরক্ষরেখা মহাদেশটির উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।
-
তথ্যসূত্র: Worldatlas.com & Britannica.com
0
Updated: 2 months ago
উত্তর আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকার সাথে যুক্ত করেছে-
Created: 1 week ago
A
বেরিং প্রণালী
B
পানামা যোজক
C
গ্রেট লেকস্
D
ফ্লোরিডা প্রণালী
উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ স্থাপন করেছে পানামা যোজক। এটি দুটি মহাদেশকে যুক্ত করার একটি সরু স্থলপথ, যা বিশ্বের মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শুধু মহাদেশ নয়, উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের জলবায়ু, প্রাণীজগৎ এবং মানবসভ্যতার মধ্যেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
পানামা যোজক হলো একটি সরু স্থলপথ যা উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই যোজকটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার চওড়া এবং এর অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভৌগোলিক অবস্থান: পানামা যোজকটি প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি মধ্য আমেরিকার একটি ক্ষুদ্র দেশ পানামার ভেতর দিয়ে বিস্তৃত।
-
উৎপত্তি: প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে টেকটোনিক ফল্ট ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ফলে পানামা যোজক গঠিত হয়। এটি পূর্বে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে জল প্রবাহ বন্ধ করে দেয়, ফলে দুটি পৃথক সাগরজ প্রাণীজগৎ সৃষ্টি হয়।
-
ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব: পানামা যোজক বা ইস্থমাস অব পানামা হলো সেই অঞ্চল যেখানে পরবর্তীতে খনন করে পানামা খাল নির্মাণ করা হয়। এই খাল আজ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ।
-
মানব সভ্যতার প্রভাব: এই স্থলযোজকটি প্রাচীন যুগে মানব ও প্রাণীর অভিবাসনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। উত্তর আমেরিকার প্রাণীরা দক্ষিণে এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণীরা উত্তরে স্থানান্তরিত হতে পারত।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: পানামা খাল নির্মিত হওয়ার পর এই যোজকের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক মূল্য আরও বৃদ্ধি পায়। এটি ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার মধ্যে দ্রুত বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুবিধা এনে দেয়।
-
পরিবেশগত প্রভাব: পানামা যোজক গঠনের ফলে মহাসাগরীয় প্রবাহে পরিবর্তন ঘটে এবং বৈশ্বিক জলবায়ুতে প্রভাব পড়ে, যা পরবর্তীতে বরফযুগের সূচনাতেও ভূমিকা রেখেছিল বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
অতএব, পানামা যোজক শুধু ভৌগোলিক সংযোগের প্রতীক নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানব সভ্যতার বিকাশে একটি ঐতিহাসিক সংযোগস্থল।
0
Updated: 1 week ago