নিচের কোন তথ্যটি ওয়াইফাই (Wi-Fi) সম্পর্কিত সঠিক নয়?
A
এর কাভারেজ অল্প জায়গা জুড়ে থাকে
B
এটি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে কাজ করে
C
এটি লাইসেন্সবিহীন স্পেকট্রাম ব্যবহার করে
D
এর গতি ওয়াইম্যাক্স (Wi-Max) এর চেয়ে বেশি
উত্তরের বিবরণ
Wi-Max এবং Wi-Fi হলো দুটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি, যা ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের সাথে ডিভাইস সংযোগে ব্যবহৃত হয়। Wi-Max এর গতি Wi-Fi এর তুলনায় অনেক বেশি এবং এর কাভারেজও বিস্তৃত। বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
Wi-Fi:
-
ওয়াই-ফাই বা Wireless Fidelity হলো একটি জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি, যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে ডিভাইসকে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে।
-
ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটকে ইন্টারনেট বা লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে ওয়্যারলেসভাবে সংযুক্ত করে।
-
ঘরের ভিতরে প্রায় ৩২ মিটার এবং বাইরে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এর কাভারেজ থাকে।
-
এটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে লাইসেন্সবিহীন স্পেকট্রাম ব্যবহার করে।
-
গতি অপেক্ষাকৃত কম, প্রায় ১০-৫০ Mbps।
-
এতে হাফ ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়।
-
বর্তমানে এটি IEEE 802.11g স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিত।
-
-
Wi-Max:
-
Wi-Max হলো একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চলে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।
-
এর কাভারেজ প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এর খরচ অপেক্ষাকৃত বেশি।
-
গতি অনেক বেশি, দূরত্বের উপর নির্ভর করে ১০-১০০ Mbps হতে পারে।
-
এতে ফুল ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়।
-
এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড নামে পরিচিত।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
স্ট্যাটিক র্যাম কোন উপাদান দিয়ে তৈরি?
Created: 3 weeks ago
A
ট্রানজিস্টর
B
রেজিস্টার
C
ফ্লিপ-ফ্লপ
D
ক্যাপাসিটর
স্ট্যাটিক র্যাম (SRAM) মূলত ফ্লিপ-ফ্লপ (Flip-Flop) ব্যবহার করে তৈরি হয়। একটি ফ্লিপ-ফ্লপ হলো এমন একটি সার্কিট যা এক বিট বা এক বাইট তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং বিদ্যুৎ চলমান অবস্থায় তা ধরে রাখতে পারে। SRAM-এ প্রতিটি মেমরি সেল সাধারণত চার থেকে ছয়টি ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করে, যা ডেটা সংরক্ষণ এবং রিড/রাইট অপারেশন সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে SRAM অনেক দ্রুত এবং DRAM-এর তুলনায় স্থিতিশীল থাকে, কারণ এটি রিফ্রেশের প্রয়োজন হয় না। SRAM মূলত ক্যাশ মেমরি এবং প্রসেসরের ব্লকে দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্ট্যাটিক র্যাম (Static RAM) সম্পর্কে তথ্য:
-
স্ট্যাটিক র্যাম ফ্লিপ-ফ্লপ দ্বারা গঠিত, যা বাইনারি বিট ০ ও ১ ধারণ করে।
-
ধারণকৃত ডেটা মেমোরিতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।
-
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে মেমোরিতে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায়।
-
স্ট্যাটিক র্যাম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, তাই এটি ভিডিও র্যাম, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
ফ্লিপ-ফ্লপ সম্পর্কিত তথ্য:
-
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট, যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের জন্য দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
-
ফ্লিপ-ফ্লপ মূলত সিঙ্গেল বিট নিয়ে কাজ করে এবং একাধিক বিট ধারণ করতে পারে না।
-
এটি এক বিটের "০ অথবা ১" হতে পারে।
-
এজন্য ফ্লিপ-ফ্লপকে বাইস্টেবল মাল্টিভাইব্রেটর বলা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি ওয়েব ব্রাউজার নয়?
Created: 1 month ago
A
ওপেরা
B
সাফারি
C
গুগল ক্রোম
D
গুগল
ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট খুলতে, ব্রাউজ করতে এবং তথ্য দেখতে সাহায্য করে। তালিকাভুক্ত অপশনগুলোর মধ্যে ওপেরা, সাফারি এবং গুগল ক্রোম সবই পরিচিত ওয়েব ব্রাউজার। অন্যদিকে “গুগল” হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন, যা ওয়েবসাইট বা তথ্য খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি নিজে কোনো ব্রাউজার নয়। তাই ওয়েব ব্রাউজার নয় এমনটি হলো— গুগল।
ওয়েব ব্রাউজারের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটরে থাকা সমস্ত তথ্য ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
-
যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page/World Wide Web (WWW) প্রদর্শন করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
-
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ওয়েব সার্ভারে রাখা সংযোগযোগ্য ওয়েব পেইজ পরিদর্শন করা হয় Web Browsing এর মাধ্যমে।
-
Web Browsing করে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে আনা যায়।
-
এই সকল ওয়েব ব্রাউজার সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত ওয়েব সার্ভার কম্পিউটারে থাকা ওয়েব পেইজ প্রদর্শন করে।
-
১৯৯০ সালে টিম বার্নার্স লি সর্বপ্রথম WorldWide Web নামে ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন।
-
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার: Internet Explorer (মাইক্রোসফট এজ), Mozilla Firefox, Safari, Opera, Google Chrome ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine):
-
সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি সফটওয়্যার টুল যা ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে তথ্য খুঁজে বের করে।
-
উদাহরণ: Google, Yahoo, Bing, MSN ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
প্রধানত ডিবাগিং-এর উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 month ago
A
কোড কম্পাইল করা
B
ডকুমেন্টেশন লেখা
C
কোডে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করা
D
পারফরম্যান্স উন্নত করা
ডিবাগিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো কোডে থাকা ত্রুটি বা বাগ খুঁজে বের করা এবং তা সংশোধন করা (গ)। প্রোগ্রাম লেখার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল ঘটতে পারে, যা কোডকে সঠিকভাবে কার্যকর হতে বাধা দেয়। ডিবাগিং প্রক্রিয়া শুধু সিনট্যাক্স জনিত ভুল নয়, বরং লজিক্যাল বা রানটাইম ত্রুটি শনাক্ত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামার বুঝতে পারে কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে এবং কোন পরিবর্তন করলে কোডটি সঠিকভাবে কাজ করবে।
প্রোগ্রাম ডিবাগিং সম্পর্কে তথ্য:
-
প্রোগ্রাম তৈরির সময় বিভিন্ন কারণে ত্রুটি (Bug) দেখা দিতে পারে, যা প্রোগ্রামের সঠিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
-
ডিবাগিং প্রক্রিয়ায় প্রোগ্রামার কোডের ত্রুটিপূর্ণ অংশ সনাক্ত এবং সংশোধন করে।
-
এটি সফটওয়্যার উন্নয়নের একটি অপরিহার্য ধাপ, যা প্রোগ্রামের স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
-
ডিবাগিং শুধুমাত্র কোড পরীক্ষা নয়, বরং প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
0
Updated: 1 month ago