আধুনিক ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET কত সালে যাত্রা শুরু করে?
A
১৯৯৫
B
১৯৮৩
C
১৯৭২
D
১৯৬৯
উত্তরের বিবরণ
ইন্টারনেটের সূচনা এবং এর প্রাথমিক ইতিহাসের মাধ্যমে আধুনিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি হয়। ARPANET-এর মাধ্যমে এটি শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে। বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ:
-
ইন্টারনেটের প্রাথমিক সংস্করণ ARPANET (Advanced Research Projects Agency Network) নামে পরিচিত, যা ১৯৬৯ সালে প্রথম চালু হয়।
-
এটি চারটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে প্রথম সফলভাবে ডেটা আদান-প্রদান করেছিল।
-
-
ইন্টারনেটের উদ্ভব ও প্রাথমিক সংযোগ:
-
ইন্টারনেট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি প্রোগ্রাম, যা ARPANET-এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
-
১৯৬৯ সালের ২৯শে অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (UCLA) এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SRI)-এর মধ্যে প্রথম হোস্ট-টু-হোস্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
এই সংযোগের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট পাঠানো সম্ভব হয়।
-
-
ARPANET-এর উদ্দেশ্য ও সীমাবদ্ধতা:
-
নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করা এবং তথ্য আদান-প্রদান সহজ করা।
-
যদিও ARPANET ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
-
-
প্রধান উন্নয়ন ও ঘটনা:
-
১৯৭১ সালে প্রথম ই-মেইল প্রোগ্রাম তৈরি হয়, যা ARPANET-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।
-
১৯৮৩ সালে ARPANET-এ TCP/IP প্রটোকলকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা আধুনিক ইন্টারনেটের 'অফিসিয়াল জন্মদিন' হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯০ সালে ARPANET বন্ধ হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হতে শুরু করে।
-
বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৯৬ সালে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি কন্ট্রোল ইউনিট সম্পর্কে সত্য?
Created: 3 weeks ago
A
মেমরি, CPU এবং I/O ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে
B
লজিক্যাল ক্যালকুলেশন করে
C
প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে
D
ALU এর সমতুল্য
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
Central Processing Unit- CPU
তথ্য প্রযুক্তি
মেমরির ধারণক্ষমতা - Memory Capacity
কন্ট্রোল ইউনিট (CU) হলো কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা CPU-এর অন্যান্য উপাদানগুলোকে পরিচালনা এবং সমন্বয় করে। এটি মূলত মেমরি, ইনপুট/আউটপুট (I/O) ডিভাইস এবং Arithmetic Logic Unit (ALU)-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে কম্পিউটার প্রোগ্রাম অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। CU নিজে কোনো লজিক্যাল ক্যালকুলেশন বা গণনা করে না; এটি শুধু নির্দেশাবলী পড়ে এবং কার্যকর করার জন্য সিগন্যাল পাঠায়। CU প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে পারে না, বরং প্রোগ্রামকে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে। ALU-এর সমতুল্য নয়, কারণ ALU গণনা ও লজিক্যাল অপারেশন সম্পাদন করে, যেখানে CU প্রধানত নির্দেশনামূলক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে।
কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান পাঁচটি অংশ:
-
ইনপুট ইউনিট (Input Unit)
-
নিয়ন্ত্রণ ইউনিট (Control Unit)
-
গাণিতিক যুক্তি ইউনিট (Arithmetic Logic Unit)
-
মেমোরি ইউনিট (Memory Unit)
-
আউটপুট ইউনিট (Output Unit)
নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit) সম্পর্কিত তথ্য:
-
CU-এর প্রধান কাজ হলো মেমোরি থেকে নির্দেশনা কোড পড়া ও ডিকোড করা।
-
মাইক্রোপ্রসেসরের অন্য অংশগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ সংকেত তৈরি করা, যেমন—গাণিতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ALU-কে নির্দেশ প্রদান।
-
নিয়ন্ত্রণ ইউনিট কম্পিউটারের সমস্ত অংশকে পরিচালনা ও সমন্বয় করতে নিয়োজিত থাকে।
-
এটি প্রতিটি নির্দেশ পরীক্ষা করে এবং কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংকেত তৈরি করে।
-
CU নিয়ন্ত্রণ করে কখন মেমোরিতে তথ্য প্রয়োজন হবে, সহায়ক মেমোরি থেকে কখন প্রধান মেমোরিতে তথ্য নিতে হবে, কখন ইনপুট থেকে উপাত্ত নিতে হবে এবং কখন ফলাফল প্রদর্শন করতে হবে।
0
Updated: 3 weeks ago
পাওয়ার ব্যাকআপের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপায় হলো -
Created: 2 weeks ago
A
ট্রান্সফরমার
B
ব্যাটারি
C
জেনারেটর
D
সোলার প্যানেল
সঠিক উত্তর: পাওয়ার ব্যাকআপের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপায় হলো ব্যাটারি।
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেম (Power Backup System):
পাওয়ার ব্যাকআপ হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ (main power line) বন্ধ হয়ে গেলে বা ব্যাহত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে। এই সিস্টেমে মূল শক্তি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
কাজের প্রক্রিয়া:
-
যখন মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ (AC Power) বন্ধ হয়ে যায়, তখন ব্যাটারিতে সঞ্চিত DC (Direct Current) শক্তি ব্যবহার করা হয়।
-
ইনভার্টার বা পাওয়ার ব্যাকআপ ডিভাইস এই DC শক্তিকে পরিবর্তন করে AC (Alternating Current)-এ রূপান্তরিত করে, যা ঘরোয়া বা অফিসের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির জন্য উপযোগী।
-
ফলে কম্পিউটার, লাইট, ফ্যান, রাউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলো বিদ্যুৎ চলে গেলেও নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে।
পাওয়ার ব্যাকআপের প্রধান উপাদান:
-
ব্যাটারি (Battery): শক্তি সঞ্চয়ের মূল মাধ্যম।
-
ইনভার্টার (Inverter): ব্যাটারির DC বিদ্যুৎকে AC তে রূপান্তর করে।
-
চার্জার ইউনিট (Charger Unit): মূল বিদ্যুৎ আসলে ব্যাটারি পুনরায় চার্জ করে।
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধরন:
১. IPS (Instant Power Supply): বিদ্যুৎ চলে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাটারির বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
২. UPS (Uninterrupted Power Supply): কম্পিউটার ও সংবেদনশীল যন্ত্রে ব্যবহার হয়; বিদ্যুৎ চলে গেলেও একটুও সময় না নিয়ে শক্তি সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
৩. EPS (Emergency Power Supply): জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন হাসপাতাল বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়।
৪. QPS (Quick Power Supply): স্বল্প সময়ের জন্য দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপ:
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপাদান হলো ব্যাটারি, যা চার্জ হয়ে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনের সময় তা সরবরাহ করে।
0
Updated: 2 weeks ago
বাইনারি সংখ্যা (110101)2 এর দশমিক মান কত?
Created: 1 month ago
A
53
B
54
C
55
D
56
বাইনারি সংখ্যা 110101-এর দশমিক মান হলো 53। বাইনারি সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য প্রতিটি অংককে ২ এর উপযুক্ত ঘাতের সাথে গুণ করতে হয় এবং প্রাপ্ত মানগুলোকে যোগ করতে হয়।
বাইনারি থেকে দশমিক রূপান্তর করার ধাপ:
-
প্রতিটি বাইনারি অংককে তার স্থানীয় মান অনুযায়ী ২ এর ঘাত দিয়ে গুণ করা হয়, ঘাত শুরু হয় ০ থেকে ডান দিক থেকে বাম দিকে।
-
সব গুণফলকে যোগ করলে সংখ্যার দশমিক মান পাওয়া যায়।
উদাহরণ:
বাইনারি সংখ্যা: 110101
উৎস:
0
Updated: 1 month ago