'ধুম-ধূম' প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ দুইটি কী অর্থ প্রকাশ করে?
A
বলিষ্ঠ - অনেক
B
উজ্জ্বল - প্রাচুর্য
C
প্রাচুর্য - ধোঁয়া
D
দাপট - নতুন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ আছে যেগুলো উচ্চারণে কাছাকাছি হলেও অর্থে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বাক্যের অর্থ বদলে যেতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দজোড় দেওয়া হলো—
-
ধুম অর্থ প্রাচুর্য।
-
ধূম অর্থ ধোঁয়া।
-
দৃপ্ত অর্থ বলিষ্ঠ।
-
দীপ্ত অর্থ উজ্জ্বল।
-
দেশ অর্থ রাজ্য।
-
দ্বেষ অর্থ হিংসা।
-
ধরণ অর্থ ধরা।
-
ধরন অর্থ প্রকার।
-
ধাতৃ অর্থ বিধাতা।
-
ধাত্রী অর্থ দাই।
-
ধাপ অর্থ সিঁড়ির সোপান।
-
দাপ অর্থ দাপট।
-
ধোয়া অর্থ ধৌত।
-
ধোঁয়া অর্থ ধূম।
-
নভ অর্থ আকাশ।
-
নব অর্থ নতুন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অপপ্রয়োগ?
Created: 3 weeks ago
A
আরক্ত
B
সুস্বাগত
C
যদ্যপি
D
বিবিধ
সমার্থ শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ: বিস্তারিত বিশ্লেষণ
সুস্বাগত:
-
অর্থ: স্বাগত, অভ্যর্থনা।
-
সমস্যা: এখানে ‘সু’ যোগ করা অনাবশ্যক। মূল শব্দ স্বাগত যথেষ্ট অর্থবোধক। অতিরিক্ত ‘সু’ ব্যবহারে শব্দের গঠন ও শুদ্ধতা নষ্ট হয়।
-
উদাহরণ (অশুদ্ধ): অতিথিকে সুস্বাগত জানাই।
-
উদাহরণ (শুদ্ধ): অতিথিকে স্বাগত জানাই।
শুদ্ধ ব্যবহারবিধি:
-
বিবিধ — বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
যদ্যপি — ‘যদিও’ বা ‘যদ্যপিও’ এর সমার্থক; কোনো বিষয় ঘটলেও বা সত্য হলেও।
-
আরক্ত — রক্তহীন, রক্তবিহীন; সাধারণভাবে রক্তহীনতা বা নীরবতা বোঝাতে।
সম্পর্ক:
-
সমার্থ শব্দের বাহুল্য বা অপ্রয়োজনীয় সংযোজন শব্দের শুদ্ধ ব্যবহারকে বিকৃত করে।
-
‘সুস্বাগত’ উদাহরণে এটি স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
0
Updated: 3 weeks ago
'সে কৌতুক করার কৌতূহল সংবরণ করতে পারল না।'- এই বাক্য কী কারণে ত্রুটিপূর্ণ?
Created: 1 month ago
A
বানান ভুল আছে
B
বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ নয়
C
অর্থ অনুযায়ী শব্দের প্রয়োগ হয়নি
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
এই প্রশ্নে মূল সমস্যা হলো শব্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বাক্য বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
-
"কৌতূহল" শব্দের অর্থ হলো কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ, অনুসন্ধিৎসা বা কুরিয়োসিটি (Curiosity)। এটি সাধারণত তথ্য, ঘটনা বা রহস্য বোঝার ইচ্ছাকে নির্দেশ করে।
-
বাক্যে ব্যবহৃত "কৌতুক করার কৌতূহল" বলতে বোঝানো হয়েছে রসিকতা করার আগ্রহ, যা "কৌতূহল" শব্দের প্রকৃত অর্থের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
-
কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য যথাযথ শব্দ হবে "আগ্রহ", "ইচ্ছা" বা "প্রবৃত্তি"।
-
সঠিক রূপে বাক্য লেখা যেতে পারে:
-
"সে কৌতুক করার আগ্রহ সংবরণ করতে পারল না।"
-
"সে কৌতুক করার ইচ্ছা দমন করতে পারল না।"
-
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
ক) বানান ভুল নেই; "কৌতুক", "কৌতূহল", "সংবরণ" শব্দগুলির বানান সঠিক।
-
খ) বাক্যের পদবিন্যাস যথাযথ; কর্তা–কর্ম–ক্রিয়ার অবস্থান ঠিকভাবে আছে। যেমন: "সে" (কর্তা), "কৌতুক করার কৌতূহল" (কর্ম), "সংবরণ করতে পারল না" (ক্রিয়া)।
-
ঘ) বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেনি; "কৌতুক করার" বিশেষণটি "কৌতূহল" বিশেষ্যকে সঠিকভাবেই বিশেষিত করছে।
0
Updated: 1 month ago
'অনল প্রবাহ' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল। প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মাত্র নয়টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনল প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, অভিভাষণ এবং মরক্কো সংকটে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
অনল প্রবাহ, আকাঙ্ক্ষা, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, নব উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী, প্রেমাঞ্জলি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম, নূরুদ্দীন
তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago