'উনপাঁজুরে' বাগ্ধারার অর্থ কী?
A
হতবুদ্ধি
B
অমিতব্যয়ী
C
ব্যক্তিত্বহীন
D
সামান্য ব্যক্তি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা বাগ্ধারা সংক্ষিপ্তভাবে মানুষের স্বভাব, দুর্বলতা বা বিশেষ পরিস্থিতি প্রকাশ করে। নিচে কয়েকটি বাগ্ধারার অর্থ দেওয়া হলো—
-
উনপাঁজুরে অর্থ দুর্বল ও ব্যক্তিত্বহীন।
-
আক্কেল গুড়ুম অর্থ হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়া।
-
উড়নচণ্ডী অর্থ অমিতব্যয়ী বা অস্থিরচরিত্র।
-
চুনোপুটি অর্থ সামান্য বা তুচ্ছ ব্যক্তি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গল্প কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রিমেহের নেগার
B
কাণ্ডারী হুশিয়ার
C
রাক্ষুসী
D
বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী
কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। বাংলা সাহিত্যে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাতি অর্জন করেন। নজরুলের কবি ও শিল্পী জীবনের শুরু এ লেটোদল থেকেই।
নজরুল তাঁর সাহিত্যকর্ম এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলায় পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে সমাদৃত। নজরুল ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী, যা ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে সওগাত পত্রিকার মে-জুন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
-
গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
ব্যথার দান
-
রিক্তের বেদন
-
শিউলিমালা
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
নিষ্প্রভ
B
নিষ্তব্ধ
C
নিষ্পন্দ
D
পুরষ্কার
শুদ্ধ বানান: নিষ্প্রভ
অর্থ: প্রভাহীন, অনুজ্জ্বল বা দীপ্তিহীন। শব্দটি এমন কোনো বস্তুর অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা আলো, উজ্জ্বলতা বা দীপ্তি হারিয়েছে।
অশুদ্ধ বানানগুলোর শুদ্ধ রূপ:
-
পুরস্কার
-
নিস্পন্দ
-
নিস্তব্ধ
বানানের নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত অ-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়।
উদাহরণ: পুরঃ + কার = পুরস্কার। -
বিসর্গযুক্ত ই-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়।
উদাহরণ: বহিঃ + কার = বহিষ্কার।
সহজ নিয়মে মনে রাখার উপায়:
-
অ-যুক্ত বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘স’ হবে।
উদাহরণ: নমস্কার, পুরস্কার, বনস্পতি, তিরস্কার, বাচস্পতি ইত্যাদি। -
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘ষ’ হবে।
উদাহরণ: আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। -
তবে ‘স্প’, ‘স্ত’, ‘স্থ’ থাকলে ‘ষ’ হয় না।
উদাহরণ: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ ইত্যাদি।
0
Updated: 2 weeks ago
'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago