'অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট' প্রবাদ প্রবচনটি কী অর্থ প্রকাশ করে?
A
যোগ্যতা বা ক্ষমতাহীনের আড়ম্বর
B
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা
C
সাধারণ লোকের বিরাট বিষয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ
D
অতিরিক্ত লোকের খবরদারিতে কাজ পণ্ড
উত্তরের বিবরণ
বাংলা প্রবাদ-প্রবচন সংক্ষিপ্তভাবে জীবন ও কাজের নানা বাস্তবতা প্রকাশ করে। এগুলো থেকে শিক্ষণীয় দিকগুলো বোঝা যায়। নিচে কয়েকটি প্রবাদ-প্রবচনের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
-
অধিক/অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট অর্থ অতিরিক্ত লোকের নজরদারিতে কাজ ব্যর্থ বা পণ্ড হয়।
-
ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার অর্থ যোগ্যতা বা ক্ষমতাহীন ব্যক্তির ভণ্ডামি বা আড়ম্বর।
-
আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর অর্থ সাধারণ লোকের বড় বিষয় বা ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় আগ্রহ প্রকাশ।
-
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে বা তাদের অজান্তে কাজ হাসিলের চেষ্টা।
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
কোনটি অনুবর্ণের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 5 days ago
A
অর্ধস্বর অর্ধস্বর
B
অর্ধস্বর
C
দ্বিস্বর
D
বর্ণসংক্ষেপ
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ: অনুবর্ণ
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়। অনুবর্ণের মধ্যে প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে: ফলা, রেফ এবং বর্ণসংক্ষেপ।
ফলা
-
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে বা ডান পাশে ঝুলে থাকে। এধরনের রূপগুলোকে ফলা বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ন-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
য-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
রেফ
-
রেফ হলো র-এর একটি অনুবর্ণ।
-
এটি মূলত অন্য ব্যঞ্জনের উপরে বসে র-এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করে।
বর্ণসংক্ষেপ
-
যুক্তবর্ণ লেখার সময় কখনও কখনও ব্যঞ্জনবর্ণকে সংক্ষেপে লেখা প্রয়োজন হয়।
-
এই সংক্ষিপ্ত রূপগুলোকে বর্ণসংক্ষেপ বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ৎ বর্ণটি ত-এর একটি বর্ণসংক্ষেপ, যা বাংলা বর্ণমালায় স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 5 days ago
'উৎকর্ষতা' কি কারণে অশুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
সন্ধিজনিত
B
প্রত্যয়জনিত
C
উপসর্গজনিত
D
বিভক্তিজনিত
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• উৎকর্ষ এটি বিশেষ্য পদ,
- (উৎ + √কৃষ্ + অ) প্রত্যয় সাধিত শব্দ।
• আর এর সাথে 'তা’ (বিশেষ্য) প্রত্যয় যুক্ত করলে ‘উৎকর্ষতা’ হয় যা বিশেষ্যের দ্বিত্ব প্রয়োগ। অর্থাৎ ‘উৎকর্ষতা’ শব্দে তা-প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
• ‘উৎকর্ষতা’ শব্দের এর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'উৎকর্ষ বা উৎকৃষ্টতা'।
• নিয়ম:
‘তা’ ‘ত্ব’ এবং ‘য’ হলো বিশেষ্যবাচক প্রত্যয়। যা কেবল বিশেষণ শব্দকে বিশেষ্য করে। তাই বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে আবারো ‘তা’ ‘ত্ব’ বা য যুক্ত করলে তা ভুল হবে। যেমন: কৃপণ বিশেষণ শব্দের সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে কৃপণতা হয়েছে।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান ও ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ডাক্তারখানা
B
অনুগমন
C
দিলখোলা
D
সম্রাট
উত্তর: ক) ডাক্তারখানা।
এটি একটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ।
ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা।
অপশন বিশ্লেষণ
খ) অনুগমন:
এটি একটি উপসর্গ ও প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ।
গঠন: অনু (উপসর্গ) + √গম্ (ধাতু) + অন (প্রত্যয়) = অনুগমন।
গ) দিলখোলা:
এটি একটি সমাসবদ্ধ শব্দ, অর্থাৎ দুটি স্বাধীন শব্দ একত্রে মিলেছে — দিল + খোলা।
এখানে কোনো প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়নি।
ঘ) সম্রাট:
এটি একটি তৎসম শব্দ।
👉 গঠন: সম্ (উপসর্গ) + রাজ্ (ধাতু/শব্দ)।
এখানে উপসর্গ আছে, কিন্তু প্রত্যয় নেই।
উপসংহার
-
অনুগমন: উপসর্গ ও প্রত্যয়—দুটোই আছে।
-
সম্রাট: শুধু উপসর্গ আছে।
-
দিলখোলা: সমাসবদ্ধ শব্দ, প্রত্যয় নেই।
-
ডাক্তারখানা: শুধু প্রত্যয়যোগে গঠিত, তাই এটিই সঠিক উত্তর।
সংক্ষেপে প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন একটি শব্দাংশ, যা মূল শব্দের শেষে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
যেমন:
-
বাঘ + আ = বাঘা → এখানে 'আ' হলো প্রত্যয়।
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য → এখানে 'তব্য' হলো কৃৎ প্রত্যয়।
যদি শব্দের পরে প্রত্যয় যোগ হয় → তদ্ধিত প্রত্যয় (যেমন: ডাক্তারখানা)
যদি ধাতুর পরে প্রত্যয় যোগ হয় → কৃৎ প্রত্যয় (যেমন: কর্তব্য)
তথ্যসূত্র: বাংলা ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০২৫)

0
Updated: 1 month ago