'জলা ও জ্বলা' শব্দজোড়ের অর্থ কী?
A
যন্ত্রণা - প্রজ্বলিত হওয়া
B
জলাশয় - পোড়া
C
তেজ - দীপ্ত হওয়া
D
দগ্ধ - খাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় কাছাকাছি উচ্চারণের অনেক শব্দ আছে, যেগুলোর অর্থ ও ব্যবহার ভিন্ন। সঠিক প্রয়োগ না জানলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। নিচে ‘জলা’, ‘জ্বলা’ ও ‘জ্বালা’ শব্দের অর্থ দেওয়া হলো—
-
জলা অর্থ জলাশয়।
-
জ্বলা অর্থ পোড়া।
‘জ্বলা’ শব্দের অর্থ
-
বিশেষ্য —
১. প্রজ্বলিত হওয়া (যেমন: আগুন জ্বলা)
২. দীপ্ত হওয়া (যেমন: আলো জ্বলা)
৩. পোড়া (যেমন: কাঠ জ্বলা)
৪. জ্বালা করা (যেমন: চোখ জ্বলা)
৫. উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া বা বিকৃত হওয়া (যেমন: রং জ্বলা)
৬. বিরক্ত বা ক্রুদ্ধ হওয়া (যেমন: রাগে জ্বলা) -
বিশেষণ — দগ্ধ।
‘জলা’ শব্দের অর্থ
-
বিশেষ্য — পানি জমে থাকে এমন নিম্নভূমি।
-
বিশেষণ — জলমগ্ন।
‘জ্বালা’ শব্দের অর্থ
-
বিশেষ্য —
১. প্রদাহ (যেমন: চোখ জ্বালা করা)
২. অগ্নিশিখা
৩. বিরক্তিকর বিষয় (যেমন: কী জ্বালা!)
৪. সন্তাপ (যেমন: বিরহজ্বালা)
৫. যন্ত্রণা (যেমন: ক্ষুধার জ্বালা)
৬. বাংলায় তেজ।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন–
Created: 1 month ago
A
রাজা মনি মোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর
C
রাজা রামমোহন রায়
D
অক্ষয় কুমার দত্ত
‘সাধুভাষা’ পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন রাজা রামমোহন রায়। বাংলার আদি গদ্যরূপকে তিনি ‘সাধুভাষা’ নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। এই সাধুভাষা পরবর্তীকালে দীর্ঘদিন বাংলার গদ্যের প্রধান রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ -
Created: 1 month ago
A
বিভাবসু
B
সোম
C
মৃগাঙ্ক
D
শশধর
বাংলা ভাষায় সূর্য ও চাঁদ শব্দের সমার্থক শব্দগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
-
‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক: রবি, তপন, ভানু, ভাস্কর, আদিত্য, সবিতা, প্রভাকর, দিবাকর, বিভাবসু, দিনমণি, মার্তণ্ড, অংশুমালী, অরুণ।
-
‘চাঁদ’ শব্দের সমার্থক: চন্দ্র, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, বিধু, সোম, নিশাকর, সুধাংশু, সুধাকর, ইন্দু, সিতাংশু, হিমাংশু, মৃগাঙ্ক।
0
Updated: 1 month ago
"যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।" - কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
সরল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
জটিল বাক্য
D
আশ্রিত খণ্ডবাক্য
“যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।” — এটি একটি জটিল বাক্য।
জটিল বাক্য হলো এমন বাক্য, যেখানে একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকে।
উদাহরণ—
-
যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
-
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।
-
যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।
জটিল বাক্য গঠনে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও যোজক—
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহেতু-সেহেতু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago