নিচের কোনটি সাধুরীতির উদারহরণ?
A
তখন গভীর ছায়া নেমে আসে সর্বত্র
B
তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে
C
তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসে সর্বত্র
D
তখন গভীর ছায়ায় সর্বত্র ঢেকে গিয়েছে
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষার ব্যাকরণের নিয়ম অনেকটা সুনির্ধারিত এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট অনুকরণে পরিকল্পিত যে নতুন সর্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে । প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর হলঃ তখন গভীর ছায়া নামিয়া আসিল সবখানে ।

0
Updated: 22 hours ago
সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?
Created: 2 months ago
A
কবিতার পংক্তিতে
B
গানের কলিতে
C
গল্পের কলিতে
D
নাটকের সংলাপে
সাধু ভাষা
সাধু ভাষা বাংলা লেখ্য গদ্যের একটি প্রাচীন রূপ, যা চলিত ভাষার চেয়ে অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী এবং ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। বর্তমান সময়ে চলিত ভাষা বেশি প্রচলিত এবং তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত। ভাষার এই দ্বৈত রীতি—সাধু ও চলিত—কে বলা হয় দ্বি-ভাষারীতি।
সাধু ভাষার বাক্য গঠন অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও নিয়মমাফিক হয়। এতে প্রায়শই তৎসম শব্দের ব্যবহার দেখা যায়, যা মৌখিক চলিত ভাষার তুলনায় অনেক বেশি পূর্ণতা এবং শুদ্ধতা বহন করে। সর্বনাম, ক্রিয়াপদসহ অন্যান্য ব্যাকরণিক রূপ সাধু ভাষায় বেশ পরিপূর্ণ এবং সুনির্ধারিত।
এই রীতি কঠোর ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর শব্দ ও পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও গঠনমূলক। সাধু ভাষা সাধারণত গুরুগম্ভীর স্বরে গড়ে ওঠে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে তৎসম শব্দের সন্নিবেশ ঘটে।
নাটকের সংলাপ বা সাধারণ বক্তৃতার জন্য সাধু ভাষার রীতি তুলনামূলকভাবে অনুপযুক্ত, কারণ এর গম্ভীরতা ও কঠোরতা সেসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
সাধুরীতিতে কোন পদটি দীর্র্ঘরূপ হয় না?
Created: 2 weeks ago
A
বিশেষ্য
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
সাধুরীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়ার পূর্ণ ও দীর্ঘরূপ ব্যবহৃত হয় এবং সাধু রীতিতে অব্যয় পদটির দীর্ঘরুপ হয় না।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি সাধু রীতির বৈশিষ্ঠ্য?
Created: 2 weeks ago
A
গুরুগম্ভীর
B
পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট
C
তৎসম শব্দবহুল
D
সবগুলোই
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
(ক) বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
(খ) এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল।
(গ) সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য উপযোগী নয়।
(ঘ) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago