সারাংশের মূল উদ্দেশ্য কী?
A
অন্তর্নিহিত তাৎপর্য তুলে ধরা
B
ভাবের অংশ প্রকাশ করা
C
বাইরের ভাব বিশ্লেষণ করা
D
অন্যভাবে ফুটিয়ে তোলা
উত্তরের বিবরণ
সারাংশ মানে হলো কোনো লেখা, বক্তব্য বা ঘটনার মূল বক্তব্যকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা। এতে অপ্রয়োজনীয় বা গৌণ অংশ বাদ দিয়ে মূল ভাব ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো কেন ভুল—
-
খ) ভাবের অংশ প্রকাশ করা → কেবল আংশিক ভাব প্রকাশ করলে তা পূর্ণ সারাংশ হয় না।
-
গ) বাইরের ভাব বিশ্লেষণ করা → বিশ্লেষণ নয়, সারাংশে কেবল মূল বক্তব্য সংক্ষেপে ধরা হয়।
-
ঘ) অন্যভাবে ফুটিয়ে তোলা → অন্যভাবে লেখা মানে ব্যাখ্যা বা রূপান্তর, যা সারাংশ নয়।
তাই সারাংশের মূল উদ্দেশ্য হলো অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে সংক্ষেপে তুলে ধরা।

0
Updated: 1 day ago
‘মহকুমা’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
Created: 1 week ago
A
তুর্কি
B
আরবি
C
ফারসি
D
ফরাসি
মহকুমা - আরবি শব্দ। এ ভাষা থেকে আগত আরও কয়েকটি শব্দ হলো - তসবি, তওবা, বাকি, নগদ, রায়, কলম, দোয়াত, এজলাস, উকিল ইত্যাদি।

0
Updated: 1 week ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কৌতুক নাটক হচ্ছে-
Created: 1 week ago
A
বৈকুণ্ঠের খাতা
B
জামাই বারিক
C
বিবাহ-বিভ্রাট
D
হিতে বিপরীত
‘বৈকুণ্ঠের খাতা’
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশিত: ১৮৮৭
-
ধরণ: কৌতুক নাটক
-
কাহিনী সংক্ষেপ: নাটকের কেন্দ্রবিন্দু একজন সরল ও আত্মভোলা বৃদ্ধ। তাঁর চারপাশে নানা রকম হাস্যরসাত্মক ঘটনা ঘটে।
-
বিশেষত্ব: সংলাপের প্রাণবন্ততা এবং চরিত্রের অভিনয়গত বৈশিষ্ট্য নাটকটির জনপ্রিয়তার মূল।
-
চরিত্রসমূহ: কোনো কোনো চরিত্রে লেখকের আত্মীয়-বন্ধুদের ছায়াপাত লক্ষ্য করা যায়।
তুলনামূলক তথ্য:
-
‘জামাই বারিক’ – দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন
-
‘বিবাহ-বিভ্রাট’ – নওরীন জাহান রচিত গ্রন্থ
-
‘হিতে বিপরীত’ – সুকুমার রায়ের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা
-
পরিবার: অভিজাত ঠাকুর পরিবার; পিতা – দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিতামহ – প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
-
পেশা ও দক্ষতা: কবি, গল্পকার, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্য: বনফুল (বাল্যকালে প্রকাশিত)
-
নোবেল পুরস্কার: ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ), জোড়াসাঁকোর বাড়ি
নাট্যকর্মের তালিকা (কিছু প্রধান)
-
বিসর্জন
-
রাজা
-
অচলায়তন
-
চিরকুমার সভা
-
তাসের দেশ
-
শারদোৎসব
-
প্রায়শ্চিত্ত
-
ডাকঘর
-
বসন্ত
-
চণ্ডালিকা
-
নটীর পূজা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 3 days ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
-
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
-
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই।
-
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়।

0
Updated: 3 days ago