‘মহাকীর্তি’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
A
মহতী যে কীর্তি
B
মহা যে কীর্তি
C
মহান যে কীর্তি
D
মহান কীর্তি যার
উত্তরের বিবরণ
মহাকীর্তি সমাসটি কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান হয়। পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়। যেমন: মহতী যে কীর্তি - মহাকীর্তি।
0
Updated: 1 month ago
সুযোগ-সুবিধা প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্রের নাম-
Created: 1 month ago
A
আবেদনপত্র
B
চুক্তিপত্র
C
মানপত্র
D
স্মারকলিপি
সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অভাব - অভিযােগ, সমস্যা নিরসনে অথবা সুযােগ - সুবিধা প্রার্থনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্রের নাম আবেদনপত্র।
0
Updated: 1 month ago
দ্রৌপদী কে?
Created: 2 months ago
A
রামায়ণে সীতার সহচরী
B
মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রী
C
রামায়ণে লক্ষ্মণের প্রণয়প্রার্থী নারী
D
মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
মহাভারত ও বাংলা মহাভারত
-
দ্রৌপদী মহাভারতের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র। তিনি পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র – যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব – অর্থাৎ পঞ্চপাণ্ডবের সম্মিলিত স্ত্রী ছিলেন।
-
মহাভারত মূলত ঋষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস রচিত একটি সংস্কৃত মহাকাব্য। এর প্রধান উপজীব্য হলো কুরু-বংশের দুই শাখা – ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুর্যোধনসহ শতকৌরব ও পান্ডুপুত্র পাণ্ডবদের মধ্যে বিরোধ, যা শেষ পর্যন্ত কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধে রূপ নেয়।
-
কৌরবদের নাম এসেছে তাঁদের প্রপিতামহ কুরু-এর নাম থেকে, আর পান্ডবদের নাম এসেছে তাঁদের পিতা পাণ্ডু-এর নাম থেকে। এদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধই ইতিহাসে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
ভারতের প্রায় সব আঞ্চলিক ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ ও পুনর্লিখন দেখা যায়। তবে বাংলা মহাভারত কেবল অনুবাদ নয়; বরং রচয়িতাদের নিজস্ব জীবনবোধ, সমাজচেতনা ও কাব্যশৈলীর কারণে এটি মৌলিক রূপ লাভ করেছে।
-
বাংলা মহাভারতের রচয়িতা একাধিক। প্রথম বাংলা মহাভারত রচনা করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, যা পরিচিত কবীন্দ্র মহাভারত নামে।
-
পরে সপ্তদশ শতকে কাশীরাম দাস পদ্যে মহাভারত রচনা করেন। তাঁর রচিত কাশীদাসী মহাভারত আঠারোটি পর্ব ও একশত পর্বাধ্যায়ে বিভক্ত, যা বাঙালি পাঠকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ।
-
এই গ্রন্থের বিভিন্ন পর্বে নানা কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
-
আদিপর্ব → কুরু-পাণ্ডব বংশবিবরণ, জতুগৃহদাহ ও দ্রৌপদীর সঙ্গে পাণ্ডবদের বিবাহ।
-
সভাপর্ব → যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা (দ্যূতক্রীড়া) ও পরাজয়।
-
বনপর্ব → পাণ্ডবদের বনবাস।
-
বিরাটপর্ব → বিরাট নগরে অজ্ঞাতবাস।
-
উদ্যোগপর্ব → যুদ্ধের প্রস্তুতি প্রভৃতি।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
"প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে।" - গানটির গীতিকার কে?
Created: 2 months ago
A
শাহ আবদুল করিম
B
রাধারমন
C
শেখ ওয়াহিদ
D
কুদ্দুস বয়াতি
“পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে”—এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হলেন লোককবি শেখ ওয়াহিদুর রহমান। গানটি গেয়েছেন সুফিয়া কাঙালিনী।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান (জন্ম: ১৯৩৯) মূলত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক নির্জন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। ফলে তাঁর গানে গ্রামীণ মাটি, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক স্বাদ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তিনি যদিও খুব পরিচিত নাম নন, তবে তাঁর অনেক গান আমরা শুনি—কিন্তু গীতিকারের নাম উল্লেখ না থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে গানগুলোকে “অজ্ঞাত গীতিকার” হিসেবে ধরা হয়। অথচ শেখ ওয়াহিদ এই লোকগানের জগতে যথেষ্ট পরিচিত ও সম্মানিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে মজার ছলে “দুষ্ট ছেলে” নামে ডাকতেন।
তিনি সহজ-সরল ভাষায় গান লিখে ‘বাউল কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর গানে বৈচিত্র্য অনন্য—পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, গণসঙ্গীত, মরমি ও আধ্যাত্মিক ধারা ছাড়াও শাক্ত পদাবলি লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো:
-
আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে
-
অপূর্ব তটিনী ওগো
-
অমৃত কূপের সুধা খেলে
-
অলি দরবেশ কারে বলে
-
আল-আরাবি নাবীজি আমার
-
আদমকে বানাইয়া খোদা
এছাড়াও তিনি বহু বিয়ের গানও রচনা করেছেন। যেমন—
-
মেনদি বাটো তোমরা সখি
-
মিতু আসবে নওশা সেজে
-
আজ ঝিলমিল ঝিলমিল
-
পালকি চড়ে যাইগো ভাবি
-
বিয়াই মজলিসে দেখবে
-
সখীরা সব সাজাও কন্যা
তাঁর গান শুনলেই বোঝা যায়—শেখ ওয়াহিদ লোকবাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
উৎস: ‘শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র’ – শেখ ওয়াহিদুর রহমান
0
Updated: 2 months ago